জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
সিআরবি দিয়ে আসা-যাওয়া কিংবা রেল স্টেশনে কাজ পড়লেই আমার দুইচোখ বৃষ্টিকে খোঁজ করে। আজ বহু দিন বৃষ্টির কোন খোঁজ খবর নিতে পারি নাই। এতদিন পথঘাট বৃষ্টির পানিতে নোংরা থাকতো তাই আর প্রাতঃভ্রমণেও বের হতে মন চায়নি। শরৎ কাল শেষ পর্যায় বৃষ্টির প্রভাব কমে গিয়ে রাস্তাঘাটে শিশির কণার সোনালী আভার বিচ্ছুরণ। রোজ এখন প্রাতঃভ্রমণে বের হই রোজ স্টেশন এবং সিআরবি চলে হাঁটতে হাঁটতে। এমনি প্রাতঃভ্রমণকারীদের কাছে ছুটে আসে ছোট্ট শিশুরা। কেউ ফুল নিয়ে ১০ টাকা, আবার কেউ ২০ টাকা দেয়। কেউ আবার ১০০ টাকা দিয়েও ফুল নিয়ে চলে যায়।
কিন্তু আমি ফুল কিনি না খোঁজ করি একটা শিশু যার নাম বৃষ্টি। এইভাবে কয়েকদিন চললে শিশুদের নজরে পড়ি আমি। তারা হয়তো মনে মনে ভয় পায় বিরক্ত হয়। আমারও অভাবের সংসার পরিবারের খরচ বহন যেখানে কষ্টদায়ক সেখানে রোজ ফুল কিনা বিলাসিতা। ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ,বাসা ভাড়া ,খাওয়া খরচ তারপর অসুখ-বিসুখ সব দিয়ে কোনো রকম চলে দিন। তাই রোজ কিছু কিছু জমা করে তাদের সবাইকে নিয়ে নাস্তা করবো ভালো হোটেলে।
ফুল বিক্রি করলেও তাদের মন পড়ে থাকে বইয়ের ভেতর। লেখাপড়া শেখার প্রবল ইচ্ছে তাদের। কিন্তু আর্থিক অনটন ও পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে স্কুলে ভর্তি হতে পারে না। মরিয়ম, আকলিমা, রহিমা ও আসমার সঙ্গে কথা বলে তাদের সুখদুঃখের কথায় আমার মন বিচলিত যেমন হলো তেমনি বিমোহিতও হলো। ফুলের মতো শিশুদের হাতেই ফুল। শখ করে নয়, এ ফুল বিক্রির জন্য রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকে। সড়কের ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলেই যাত্রীর সামনে আবদার- ‘একটা ফুল নেন স্যার।’ জীবন-বাস্তবতায় এসব শিশুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই নামতে হয়েছে উপার্জনে। কারও হাতে গোলাপ, কারও হাতে বেলি ফুলের মালা।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে লড়াই থাকে। যার কোনোটার দৈর্ঘ্য হয় ছোট, কোনোটার দৈর্ঘ্য হয় লম্বা। ছোট লড়াই জিতে নেওয়া যায়, কিন্তু লম্বা দৌড়ের লড়াই জেতা বেশ কঠিন। তেমনই এক লম্বা দৌড়ের লড়াই জিততে ফুল বিক্রেতা পথশিশশুরা ব্যস্ত ঠিক তেমনি আমিও ব্যস্ত সৎ জীবন যাপন পার করতে।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ। (৪)
কিন্তু আমি ফুল কিনি না খোঁজ করি একটা শিশু যার নাম বৃষ্টি। এইভাবে কয়েকদিন চললে শিশুদের নজরে পড়ি আমি। তারা হয়তো মনে মনে ভয় পায় বিরক্ত হয়। আমারও অভাবের সংসার পরিবারের খরচ বহন যেখানে কষ্টদায়ক সেখানে রোজ ফুল কিনা বিলাসিতা। ছেলেমেয়েদের পড়ার খরচ,বাসা ভাড়া ,খাওয়া খরচ তারপর অসুখ-বিসুখ সব দিয়ে কোনো রকম চলে দিন। তাই রোজ কিছু কিছু জমা করে তাদের সবাইকে নিয়ে নাস্তা করবো ভালো হোটেলে।
ফুল বিক্রি করলেও তাদের মন পড়ে থাকে বইয়ের ভেতর। লেখাপড়া শেখার প্রবল ইচ্ছে তাদের। কিন্তু আর্থিক অনটন ও পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে স্কুলে ভর্তি হতে পারে না। মরিয়ম, আকলিমা, রহিমা ও আসমার সঙ্গে কথা বলে তাদের সুখদুঃখের কথায় আমার মন বিচলিত যেমন হলো তেমনি বিমোহিতও হলো। ফুলের মতো শিশুদের হাতেই ফুল। শখ করে নয়, এ ফুল বিক্রির জন্য রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকে। সড়কের ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলেই যাত্রীর সামনে আবদার- ‘একটা ফুল নেন স্যার।’ জীবন-বাস্তবতায় এসব শিশুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই নামতে হয়েছে উপার্জনে। কারও হাতে গোলাপ, কারও হাতে বেলি ফুলের মালা।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে লড়াই থাকে। যার কোনোটার দৈর্ঘ্য হয় ছোট, কোনোটার দৈর্ঘ্য হয় লম্বা। ছোট লড়াই জিতে নেওয়া যায়, কিন্তু লম্বা দৌড়ের লড়াই জেতা বেশ কঠিন। তেমনই এক লম্বা দৌড়ের লড়াই জিততে ফুল বিক্রেতা পথশিশশুরা ব্যস্ত ঠিক তেমনি আমিও ব্যস্ত সৎ জীবন যাপন পার করতে।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ। (৪)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১৭/০৯/২০২৫লেখার গাম্ভীর্য ভাবটা আমার বেশ ভাল লেগেছে । কলম চলুক তার আপন গতিতে ।