জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
মা বলেছে কেউ মাগনা টাকা দিলে নিবি না।
আরে বৃষ্টি আমি এই টাকা তোমাকে খুশি মনে দিচ্ছি।
না স্যার আমি নিমু না। মা আরো বলেছে ভিক্ষা করা ভালো না। আমরা কম খাবো , কম পরবো, কষ্ট করে চলবো তবুও ভিক্ষা করবো না। কোনো কাস্টোমার বাড়তি টাকা দিলেও ফেরত দিতে হবে। মানুষ দয়া করে মাগনা মাগনা ভিক্ষা দেয়।
আমি চুপ করে ভাবলাম কলেজের শিক্ষকেরও শিক্ষা নেওয়ার আছে এই পথশিশুর কাছ হতে। মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করলো। কিন্তু দ্রুত নিজেকে সংবরণ করলাম।
বৃষ্টি তুমি মার কথা বলো কিন্তু বাবার কথা একবারও বলো নাই। বাবা কী করে ।
বাবা নাই।
নাই মানে কী?
নাই মানে নাই(জোরে জোরে হাসে বৃষ্টি)। মা বলে আমার ছোট বোনটা জন্মের কয়েক মাস পর স্টেশনের বস্তির আরেক বেঠিরে বিয়ে করে কোথায় চলে যায় জানে না। আর কোনোদিন আমাদের খোঁজ নেয়নি। মা অনেক খোঁজ করেছে বাবার। তারপর হতে মা ফুল বিক্রি করা শুরু করে সাথে আমরা দুইবোন থাকি। এখনো করে তবে আজ মার অসুখ তাই আমি আসছি স্যার।
একদমে অনেক কথা বলে বৃষ্টি থামে। মালার প্যাকেজটা কাঁধে নিয়ে চিন্তিত মুখে বৃষ্টির ফোঁটা নিয়ে খেলা করে।
আচ্ছা তুমি পড়ো না বৃষ্টি।
হ্যাঁ পড়ি বৌদ্ধধর্মের মিশিনারি একটা স্কুলে। ওখানে আমাকে সকালে নাস্তা দেয় এবং দুপুরে ভাত দেয়ে খেতে। আজ কিছুই খাই নাই
কথা চলতে চলতে বৃষ্টিও কমে আসে। দুইজনে প্রস্তুত হচ্ছি গন্তব্যস্থলের জন্য আমাকে যেতে হবে কলেজে আর বৃষ্টির মালা বিক্রির তাগদা। ঠিক এইসময় একটা প্রাইভেট কার জোরে চলে যায়। যার কারণে রাস্তার কদমাক্ত পানিতে আমরা ভরে যাই। সাথে সাথে বৃষ্টি কান্না শুরু করে এবং বিট বিটি করে বকতে থাকে।
আমি বৃষ্টির মাথায় হাত রাখলাম, বিট বিট করে বললাম কান্না করে লাভ নাই বৃষ্টি ওরা এই দেশের মালিক। তাদের বাবার অবৈধ রোজগারে টাকার পাহাড় আছে। আমি তুমি রাস্তার এই নোংরা পানি। দাও সব মালা আমাকে দাও আমি কিনবো,দাম বলো।
বৃষ্টি চুপ থাকে কিছুক্ষণ ।
স্যার তিনশ টাকা লাগবে। মা বলেছে সব মালা তিনশ টাকা বিক্রী হবে।
এই পকেট ওই পকেট হতে তিনশ টাকা বৃষ্টির হাতে দিয়ে আমি মালা নিয়ে পা ফেলি ফুটপাথে। বৃষ্টির ভুবন জয় হাসি আমার যেনো রাজ্য জয়ের মত।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ (২)
আরে বৃষ্টি আমি এই টাকা তোমাকে খুশি মনে দিচ্ছি।
না স্যার আমি নিমু না। মা আরো বলেছে ভিক্ষা করা ভালো না। আমরা কম খাবো , কম পরবো, কষ্ট করে চলবো তবুও ভিক্ষা করবো না। কোনো কাস্টোমার বাড়তি টাকা দিলেও ফেরত দিতে হবে। মানুষ দয়া করে মাগনা মাগনা ভিক্ষা দেয়।
আমি চুপ করে ভাবলাম কলেজের শিক্ষকেরও শিক্ষা নেওয়ার আছে এই পথশিশুর কাছ হতে। মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করলো। কিন্তু দ্রুত নিজেকে সংবরণ করলাম।
বৃষ্টি তুমি মার কথা বলো কিন্তু বাবার কথা একবারও বলো নাই। বাবা কী করে ।
বাবা নাই।
নাই মানে কী?
নাই মানে নাই(জোরে জোরে হাসে বৃষ্টি)। মা বলে আমার ছোট বোনটা জন্মের কয়েক মাস পর স্টেশনের বস্তির আরেক বেঠিরে বিয়ে করে কোথায় চলে যায় জানে না। আর কোনোদিন আমাদের খোঁজ নেয়নি। মা অনেক খোঁজ করেছে বাবার। তারপর হতে মা ফুল বিক্রি করা শুরু করে সাথে আমরা দুইবোন থাকি। এখনো করে তবে আজ মার অসুখ তাই আমি আসছি স্যার।
একদমে অনেক কথা বলে বৃষ্টি থামে। মালার প্যাকেজটা কাঁধে নিয়ে চিন্তিত মুখে বৃষ্টির ফোঁটা নিয়ে খেলা করে।
আচ্ছা তুমি পড়ো না বৃষ্টি।
হ্যাঁ পড়ি বৌদ্ধধর্মের মিশিনারি একটা স্কুলে। ওখানে আমাকে সকালে নাস্তা দেয় এবং দুপুরে ভাত দেয়ে খেতে। আজ কিছুই খাই নাই
কথা চলতে চলতে বৃষ্টিও কমে আসে। দুইজনে প্রস্তুত হচ্ছি গন্তব্যস্থলের জন্য আমাকে যেতে হবে কলেজে আর বৃষ্টির মালা বিক্রির তাগদা। ঠিক এইসময় একটা প্রাইভেট কার জোরে চলে যায়। যার কারণে রাস্তার কদমাক্ত পানিতে আমরা ভরে যাই। সাথে সাথে বৃষ্টি কান্না শুরু করে এবং বিট বিটি করে বকতে থাকে।
আমি বৃষ্টির মাথায় হাত রাখলাম, বিট বিট করে বললাম কান্না করে লাভ নাই বৃষ্টি ওরা এই দেশের মালিক। তাদের বাবার অবৈধ রোজগারে টাকার পাহাড় আছে। আমি তুমি রাস্তার এই নোংরা পানি। দাও সব মালা আমাকে দাও আমি কিনবো,দাম বলো।
বৃষ্টি চুপ থাকে কিছুক্ষণ ।
স্যার তিনশ টাকা লাগবে। মা বলেছে সব মালা তিনশ টাকা বিক্রী হবে।
এই পকেট ওই পকেট হতে তিনশ টাকা বৃষ্টির হাতে দিয়ে আমি মালা নিয়ে পা ফেলি ফুটপাথে। বৃষ্টির ভুবন জয় হাসি আমার যেনো রাজ্য জয়ের মত।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ (২)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রবিউল হাসান ১৩/০৯/২০২৫খুব সুন্দর। শিক্ষামূলক গল্প।