জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
“যেখানে ফুলের কদর নেই,
সেখানে ভালোবাসাও আবর্জনা।”
বৃষ্টি। ফুল। বৃষ্টির রং উজ্জল শ্যামলা চেহারাটা রাজরানীর মত, পোষাকটাও পরিপাটি । মুখে দুই একটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি।
স্যার স্যার ফুল নিবেন।
না না
নেন একটা স্যার, বেলা দশটা আজ এখনো একটা মালাও বিক্রি করতে পারি নাই মা বকা দিবে বিক্রি করতে না পারলে।
ফুলের হাতে ফুল। বয়স আর কত হবে আনুমানিক ৭/৮। শিশুটার বার বার এক কথায় বিরক্ত চলে আসে। তবে আমি বিরক্তি প্রকাশ না করে তার সাথে আলাপ জুড়ে দিই।
কী নাম তোমার ।
বৃষ্টি।
আরে কী নাম তোমার
স্যার বৃষ্টি।
আমি পকেট হতে একশ টাকার নোট বাহির করে হাতে নিয়ে এগিয়ে দিয়ে বলি সত্যিই বলো কী নাম তোমার ।
হ হ স্যার সত্যিই বলছি,বৃষ্টি আমার নাম।
চট্টগ্রামের ব্যস্ততম জায়গা সিআরবিতে গিয়ে একটা কাজে বৃষ্টির জন্য আটকা পড়ে যাই আমি। এতই বৃষ্টি যে গাড়িতে যাওয়া সম্ভব না। এই মেয়েটা প্রতিদিন এখানে ফুল বিক্রি করে কিন্তু কখনো ফুল কেনা হয়নি।
বৃষ্টির বেগ প্রচণ্ড হওয়ায় বৃষ্টির মন খারাপ আজ আর ফুলের ক্রেতা হবে না। মা বকা দিবে ঔষধ কিনে নিতে না পারলে।
বৃষ্টির স্বচ্ছ জল পৃথিবীতে এসে আকাশ হালকা হচ্ছে। যেই জলের কোনো রং নাই কোনো জাত বংশ নাই সব মনুষ্য ব্যবহার করতে পারে। এই জল কোথায় গিয়ে মিলবে কারো অজানা।
ঠিক যেনো শিশুটার মত। বৃষ্টি এখনো ধর্ম বুঝে না। জাত বংশ বুঝে না। তার পেটের ক্ষুধা সব জাতির মত। বৃষ্টি বড় হলে কোথায় মিলে যাবে আমার অজানা।
একটু পর বুঝলাম ফুুল বিক্রেতা শিশুটির নামও বৃষ্টি।
আমি দুঃখিত বৃষ্টি তোমার নাম বুঝতে না পারায়। আসলে এখন বৃষ্টি হচ্ছেতো তাই।
ফিক করে হেসে বলে বৃষ্টি, হ বদ্দা।
হাঃ হাঃ হাঃ (দুই জনে হাসি)।
টাকাটা নাও বৃষ্টি।
না স্যার, মা মানা করছে।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ। (১)
সেখানে ভালোবাসাও আবর্জনা।”
বৃষ্টি। ফুল। বৃষ্টির রং উজ্জল শ্যামলা চেহারাটা রাজরানীর মত, পোষাকটাও পরিপাটি । মুখে দুই একটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি।
স্যার স্যার ফুল নিবেন।
না না
নেন একটা স্যার, বেলা দশটা আজ এখনো একটা মালাও বিক্রি করতে পারি নাই মা বকা দিবে বিক্রি করতে না পারলে।
ফুলের হাতে ফুল। বয়স আর কত হবে আনুমানিক ৭/৮। শিশুটার বার বার এক কথায় বিরক্ত চলে আসে। তবে আমি বিরক্তি প্রকাশ না করে তার সাথে আলাপ জুড়ে দিই।
কী নাম তোমার ।
বৃষ্টি।
আরে কী নাম তোমার
স্যার বৃষ্টি।
আমি পকেট হতে একশ টাকার নোট বাহির করে হাতে নিয়ে এগিয়ে দিয়ে বলি সত্যিই বলো কী নাম তোমার ।
হ হ স্যার সত্যিই বলছি,বৃষ্টি আমার নাম।
চট্টগ্রামের ব্যস্ততম জায়গা সিআরবিতে গিয়ে একটা কাজে বৃষ্টির জন্য আটকা পড়ে যাই আমি। এতই বৃষ্টি যে গাড়িতে যাওয়া সম্ভব না। এই মেয়েটা প্রতিদিন এখানে ফুল বিক্রি করে কিন্তু কখনো ফুল কেনা হয়নি।
বৃষ্টির বেগ প্রচণ্ড হওয়ায় বৃষ্টির মন খারাপ আজ আর ফুলের ক্রেতা হবে না। মা বকা দিবে ঔষধ কিনে নিতে না পারলে।
বৃষ্টির স্বচ্ছ জল পৃথিবীতে এসে আকাশ হালকা হচ্ছে। যেই জলের কোনো রং নাই কোনো জাত বংশ নাই সব মনুষ্য ব্যবহার করতে পারে। এই জল কোথায় গিয়ে মিলবে কারো অজানা।
ঠিক যেনো শিশুটার মত। বৃষ্টি এখনো ধর্ম বুঝে না। জাত বংশ বুঝে না। তার পেটের ক্ষুধা সব জাতির মত। বৃষ্টি বড় হলে কোথায় মিলে যাবে আমার অজানা।
একটু পর বুঝলাম ফুুল বিক্রেতা শিশুটির নামও বৃষ্টি।
আমি দুঃখিত বৃষ্টি তোমার নাম বুঝতে না পারায়। আসলে এখন বৃষ্টি হচ্ছেতো তাই।
ফিক করে হেসে বলে বৃষ্টি, হ বদ্দা।
হাঃ হাঃ হাঃ (দুই জনে হাসি)।
টাকাটা নাও বৃষ্টি।
না স্যার, মা মানা করছে।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ। (১)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইকরামুল শামীম ০৭/০৯/২০২৫অনবদ্য
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৭/০৯/২০২৫অনন্য