www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন

জীবন চলে জীবনের গতিতে যেমন চলে পানি। পরিবারভক্ত সহজ সরল মজিদ মিয়া যেনো ছুটিতে এসে পরিবারে চলতে গিয়ে জীবনের গতি ছন্দহীন হচ্ছে পারিবারিক পলিট্রিক্সে । ভাই বোন সবাই মা বাপকে নিয়ে একপক্ষ আর মজিদ মিয়া যেনো অপর পক্ষ। তারা মনে করে মজিদ মিয়ার কাছে এখনো অনেক টাকা আছে ইচ্ছাকৃত সে টাকা দিচ্ছে না। অত্যন্ত হতাশ হয়ে খুব দুঃখী ভাব নিয়ে মজিদ মিয়া বলে মা বাপও আমাকে বিশ্বাস করছে না গভীর এক নিঃশ্বাস ফেলে বলে উনারাও তাদের কথাই শুনে।

জালানার গ্রীল ধরে পূর্বদিকে তাকিয়ে বিদ্যুৎ এর তারে বসা ভ্রমর এর সাথে কথা বলে মজিদ মিয়া। এই তার আমাদের টিনের চালে লাগানো ছিলো , বিল্ডিং করতে সমস্যা হবে তাই আমার হতে টাকা নিয়ে এই বিদ্যুৎ তারের খুটি দুরে সরিয়েছে। ঘরের পাশে ডোবা ও নালা ভরাট করতে মাটির টাকা সব আমি দিয়েছি আজ সেই ঘরে আমি পর । সবার এক ভাব এক তাল আরো দাও আরো দাও। তুমি টাকা দিলে আমরা পাত্রী দেখবো। তুমি টাকা দিলে আমরা বাজার হতে জিনিসপত্র কিনে আনবো। তুমি টাকা দিলে সকাল বিকাল উদর পূর্তি হবে। আহ, কার জন্য কী করা , কেউতো নয় পর।

চোখ হতে টপ টপ জল গড়িয়ে পড়ে বুকে। ভ্রমরটা উঠে এসে মজিদ মিয়ার মাথায় বসে। এখন আর সময় নেই মজিদ মিয়ার দশটা পাত্রী দেখে ভালো জায়গায় ভালো বংশে সুন্দর মেয়ে বিয়ে করার। এখন বিয়েটা হলেই চলে কারণ ছুটি ও টাকা দুইটাই শেষ পর্যায় ।

ধারদেনায় ডুবে মজিদ মিয়া একদিন ঠিকই বউ ঘরে আনে। রাজনীতির পুরাতন ধারা হরতাল অবরোধ যেনো সংসারে ভর করে। তিনদিনের মাথায় মা বলে বউটা ভালো কিন্তু বউয়ের মা ভালো না। বউও খোঁজ নিতে থাকে এত বড় পরিবার কেমন করে চলে, কোথায় হতে খরচের টাকা আসে। ছোট ভাই বিবাহিত বেকার তার বউ বাচ্চা কেমন করে খায়। আত্মীয়-স্বজন আসা যাওয়া করে বোনটা এখানে পড়ে থাকে স্বামীসহ। এইসব দেখে মজিদ মিয়ার বউ ধাঁধায় পড়ে যেনো। তাই সে নামতা শিখতে ধারাপাত খোঁজে।

গল্পঃ প্রবাস(৬)
২/৯/২৫
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৭৯৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৯/২০২৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • চমৎকার লেখা।
 
Quantcast