www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মেয়ে ও মায়া মাদক ও রাষ্ট্র ।

মেয়ে ও মায়া , সমাজ ও রাষ্ট্র ।
১৬তম পর্ব।

ভাবতে অবাক লাগে গ্রামের নবম কিংবা দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়েটি অন্য একজন ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। আজকাল দশজন সাক্ষী হয়ে যে বিয়ে হয় সেটা ভেঙ্গে চুরে তছনছ হচ্ছে আর অবুঝ বালিকা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানকে হাসির খোরাক করতেছে। ইগোর কারণে ধৈর্য্য, সমঝোতা , সহমর্মিতা, সহনশীলতা এবং মানবতা ভুলে নারী পুরুষ উভয় অবিশ্বাসের জীবনে আটকে যাচ্ছে । সব কিছু মানিয়ে না চলার কারণে সংসারে অশান্তি নামক ঝড় সব উপড়ে ফেলছে । আর এত ছোট মেয়ে কি বুঝবে সংসারের । সংসার মানে রান্নাঘর দেখাশোনা আর সন্তান জন্ম দেওয়া হলে সংসার ভেঙ্গে যেত না । সংসার এক মহাসাগর । আর এখানে দক্ষ নাবিক হলে জাহাজ নিরাপদ শতভাগ। কিন্তু তারপরও হঠাৎ ঝড় এসে সব এলোমেলো করে দেয় । আর সেখানে মেয়েরা নিজের আপনজন ছেড়ে দেয় অন্য একজনের মিষ্টি কথায় যা কিনা ভুল প্রমাণিত হয়। মামনি তোমার পড়ালেখা কেমন হচ্ছে কিছু বলো না। আম্মু সব ঠিক আছে । কোন সমস্যা হলেতো বলবো। আমি তোমাকে পড়াশোনায় সাহায্য করা লাগবে ।
না আম্মু ,তবে মনটা যেন কেমন এলোমেলো লাগছে। আমারও তাই লাগছে । তোমার দাদি চলে যাবে তাই । আসলে ঠিক আম্মু , প্রতিদিন দাদির কথা মনে পড়ে। কিছুই করার নেই মা , আমরা অসহায় বিধির কাছে।
মানুষ যাহা চায় তা হয় না কিংবা করতে পারে না । এইটা মানুষের হাতে না । যদি হতো তাহলে মানুষ নিজের স্বার্থমত চলতো । স্বার্থমত চলতে না পারাটাই সৃষ্টিকর্তার বড় রহস্য। এই জন্য মানুষ নিজ নিজ ধর্ম চর্চা করে। মানুষ বিজ্ঞান নিয়ন্ত্রণ করে আর মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে বিধাতা । যদি কেউ বিজ্ঞানের জয় দেখে নিজের ধর্মকে ভুলে যায় সেটা তার ব্যক্তিগত । সেই ব্যক্তি মরণের পর তাকে নিজ ধর্ম মেনেই মাটি চাপা দেওয়া হয়। ধর্ম অবিশ্বাসকারী লোকটা কিন্তু নিজের লোককে প্রভাবিত করতে পারিনি বলে মরণের পর ধর্মীয় রীতি মেনে তার জন্য প্রার্থনাও করা হয়।


আমরা কালকে সকালে চলে যাবো মা জলি। শুনো যদি কোন সময় টাকাপয়সার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বলবে আমাকে । আমার সহায় সম্পদ সব তোমার নামে করে দিয়েছি । মাহিনের সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। ব্যাংকের এবং জমির সমস্ত ডকুমেন্ট রবিনের মায়ের কাছে আছে । সব মিলে অর্ধ কোটি টাকার পরিমাণ হবে। তুমি কয়েক দিনের মধ্য নিয়ে আসতে চেষ্টা করিও । আগে বললে তুমি নিতে রাজি হতে না তাই বলা হয়নি। আমি ও মাহিন এখন ঢাকায় হোটেলে আছি। আমি যদি কোন অবিচার করে থাকি মা হিসাবে ভুলে যেও । দুঃখ লাগছে মৌরিকে দেখতে পাচ্ছি না বলে । আর মৌরিকে অনেক যাচাই বাচাই করে বিয়ে দিবে যে ছেলে তোমাকে সম্মান করবে তাকে পছন্দ করবে। যদি সে বিদেশে গিয়ে পড়তে চায় বারণ করিও না । তবে তোমাকে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করতে হবে । মরার আগে তোমার আবার মন ভাঙ্গার কথা শুনলে আমি কষ্ট সহ্য করতে পারবো না। হ্যালো তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো মা । কাঁদিয়া লাভ নাই । নিজেকে শক্ত করো বেঁচে থাকার লড়াই করার জন্য। কানাডা তোমাদের যাওয়ার কথা ছিল অথচ আমি যাচ্ছি মরতে। এইটাই বিধির বিধান। আপনার দোয়া আমার চলার পথের পাথেয় । যেত ঝড় তুফান আসুক আমি ভেঙ্গে পড়বো না । আমি শুধু আপনার সেবা যত্ন নিয়ে চিন্তিত থাকবো । কোন চিন্তা করার দরকার নেই আমি ঠিক আছি । সেখানে গিয়ে দেখি তারা কেমন আচরণ করে । এইসব দেশে আইন কানুন ভালো । সিনিয়র সিটিজেনদের সরকার গুরুত্ব দেয়। অতএব অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে। ঠিক আছে ভালো থাকো । মৌরিকে তার দাদির ভালবাসা।


তোমার দাদি আজ কানাডায় চলে গিয়েছে ফোন করেছে । কি কাগজপত্র রেখে গিয়েছে তাই কালকে আমি দাদির বাড়ি যেতে হবে এবং পরের দিনই চলে আসবো । বাসায় তুমি একা একদিন থাকতে পারবে ? আমাকে নেওয়া যাবে না আম্মু ,যেতে ইচ্ছে করছে যে কিন্তু আসা যাওয়া অনেক ঝামেলা না, তাই বলছি বাসায় থাকতে। সেখানে থাকা খাওয়া কেমন হয় বলা যায় না । বাসায় সব রান্নাবানা তৈরি করে দিয়ে যাবো তাহাছাড়া আমি যাবো আর আসবো । তুমি কি ভয় । না না আম্মু ভয় পাবো কেন , একটা দিন শুধু একা । হুম একদিন মাত্র ,অনেক প্রয়োজনীয় তাই যেতে হচ্ছে । না গেলে তোমার দাদি শুনলে রাগ করবে । ঠিক আছে আম্মু যাও । তবে সাবধানে যেও এবং একদিন শুধু । ওখানে গিয়ে তুমি কোন কাজে জড়াবে না । ঘরবাড়ি যে আছে সেই থাক।


আমি আম্মুকে স্টেশন পৌঁছে দিয়ে নিজ কাজে চলে যাই। কি এমন কাগজ যে আম্মুকে জরুরী যেতে হল। আসলে হয়তো জানা যাবে বিস্তারিতভাবে । এই মামা যাবেন , আগে বলতাম এই খালি কিংবা এই রিক্সা । এখন বলি এই মামা । একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই এই মামা হয়ে যায় অনেক বড় দাদা। তখন দশ টাকার ভাড়া পঞ্চাশ টাকায়ও যেতে চায় না। দেশটাতে সবাই রাজা । সুযোগ ফেলে অন্যকে জিম্মি করে স্বার্থ আদায় করা । ঢাকায় রাস্তার রিক্সা কিংবা অটো রিক্সা যেটাই বলি এরা অরাজকতার রাজা। এদের আচরণে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় । মধ্যবিত্ত এদের ছাড়া রাস্তায় চলার উপায় নেই ।আর এরা চলে জোটবদ্ধ হয়ে , সিন্ডিকেট হয়ে । আমার মাঝে মাঝে এদের আচরণে কান্না আসে চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে বাংলাদেশ তুমি আমার মাতৃভূমি না। (চলবে ) ।

মেয়ে ও মায়া , মাদক ও রাষ্ট্র ।
১৭তম পর্ব

আম্মু কোন দিন আমাকে একা বাসায় রেখে কোথায়ও যায়নি একদিনের জন্য। অথচ গতকালই দাদি গেল মাত্র আর আজ আম্মু বাড়ি চলে গেল । কি এমন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে গেল দাদি যে আম্মু জরুরী যেতে হল এমন কি আমাকেও বললো না। আসলে আম্মুু যেমন একজন আদর্শবাদী শাশুড়ী পেয়েছে তেমনি দাদিও একজন মায়াময় , চমৎকার বউমা পেয়েছিল। যদি বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে এমন বউ শাশুড়ী হয় তাহলে সংসারের কলহ অনেক কমে যাবে। অনেক ঘর ফুলের কানন হবে। কিন্তু দেখি উল্টোটা বউ শাশুড়ী বনা বনি নাই। ঘরের বউকে অনেক শাশুড়ী আপন করে নিতে পারে না । আবার বউমাও নতুন পরিবেশে নতুন মানুষদের আপন করে নিতে পারে না। শুরু হয় পারিবারিক কলহ । শাশুড়ী ভুলে যায় সে একদিন এই ঘরে নতুন ছিল । এই ঘরে অনঅভিজ্ঞ একজন পুত্রবধূ ছিল । শুরুতে শুরু করে বউমার দোষ ত্রুটি খোঁজার । যার কারণে বউমা হয়ে পড়ে বীতশ্রদ্ধ তার মন মেজাজ হয়ে পড়ে খিটখিটে এবং ঘৃণা সঞ্চারক। নতুন পরিবেশে নতুন মানুষদের বুঝতে এবং জানতে সময় লাগে। তার উপর যৌথ সংসারের সব কাজ চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এতে সে হাঁফিয়ে উঠে । একটা মেয়ে বাবা ভাইদের আদরে থেকে পড়াশোনা করে । সে অনেক কাজ করার অভ্যস্ত হয় না । কিন্তু স্বামীর সংসারে পুরা পরিবারের থালা-বাসন ধোয়া কিংবা রান্নাঘরে থাকতে হয় বলে মেয়েটি একা থাকতে চায় স্বামীকে নিয়ে এইটা তার অপরাধ নয়। শাশুড়ী নিজের মেয়েকে যে নয়নে যত্নশীল হয় ঠিক সেই নয়নে বউমার প্রতি যত্নহীন হয় ।

এর উপর আছে বউয়ের বাড়ি হতে এইটা সেটা না পাওয়ার লাঞ্ছনা গঞ্জনা । ঘরের সবাই মিলে কানাঘুষা করে , চলে তিরস্কার । তখন আর সংসারে সুখ থাকে না । বউমার কাছে সুখ হয়ে পড়ে অদুরা ও আপেক্ষিক । মানুষ বুঝতে চায় না সোনার খাটে সুখ বিচরণ করে না। পরিমিতবোধ এবং জীবনের সাথে মানিয়ে চলা সুখের অপর নাম। বউমাটারও ঘরের সবার প্রিয় হতে চাওয়া উচিত । আবার অনেক সময় চাইলেও হয়তো পারে না । বউ শাশুড়ী একেঅপরের প্রিয় হলে এবং চাওয়া পাওয়ার সমন্বয় থাকলে আনন্দ ধরা দেয়। ছোট ছোট পাপ্তিকে সহজে গ্রহন করলে তখন না পাওয়ার বেদনা থাকে না। সহজে গ্রহন করা মানুষ অল্পতেই তৃপ্তি হয়। এই তৃপ্তিই সুখ এই তৃপ্তি আনন্দ । অতৃপ্ত মানুষ কখনো সুখী হয় না এবং আনন্দিত হয় না। আর তখন হতাশার জন্ম হয়। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। শাশুড়ীর ভয়ে এবং দম্ভে নতুন বউমা প্রথম প্রথম চুপ থাকলেও আস্তে আস্তে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে। দম্ভ অার অহংকার এই দুইয়ের পিছনে কাজ করে এক ধরনের মূর্খতা । অাশ্চার্য জনক বিষয় হলো শিক্ষা যেখানে বিনয়ী হওয়ার কথা বলে সেখানে কিছু শিক্ষিত মানুষের দম্ভে সংসার ভেঙে খান খান হয়। আজকাল স্বামী স্ত্রীর কারণে যেখানে বিয়ে ভাঙ্গার মহামারী শুরু হচ্ছে সেখানে পরিবার অন্য সদস্যদের কারণে সংসার ভেঙ্গে যাওয়া খুবই দুঃখজনক । যে সংসারে অন্য লোকের কারণে বিয়ে ভাঙ্গে সেই সংসারে স্বামী বা পুত্র নীরব দর্শক মাত্র। এমন হলে যৌথ পরিবার থাকবে না । যা নষ্ট করবে আমাদের হাজার বছরের কালচারের ইতিহাস।


আজ ঘুম আসবে না একটুও , আম্মু নেই পাশে বসে আমাকে গল্প বলার । একা একা ভয়ও লাগছে যেন। করিডোরে দাঁড়াতেও যেন ভয় লাগছে । আকাশে কালো মেঘের বসতবাড়ি আজ। পাশের বাড়ির ছাদ জোড়া জোনাকির অপূর্ব খেলা । ছোটকালে দাদির বাড়ির উঠানে কত জানাকি আমি ধরেছি । জোনাকির আলো অংশটা দাদির কপালে দিতাম। এই জোনাকির মত তুমি আমার কপালের আলো। বৃষ্টি পড়ায় জোনাকি পানিতে ভিজে আমিও ভিজতাম যদি আম্মু থাকতো । ভিজে ভিজে জোনাক জল হতাম। ধ্যাত, ঝড় হাওয়ায় মজা নাই । শুধু ভারী বর্ষণে প্রণাম করি বিধাতাকে যেন পাপ মোচন করে ধুয়ে সাধ্বী করে।
ইস যদি আম্মু আমাকে নিয়ে যেত তাহলে সকালে এই বৃষ্টিতে অনেক মজা হতো। রাস্তায় হেঁটে দেখতাম বর্ষায় গ্রাম। বাতাস বেশ উদভ্রান্তের মত পাগলা ঘোড়া ।বাতাসের এই ধকল সয়ে গাছগুলো একনাগাড়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাছের পাতাগুলো বাতাসের চোটে ছিড়ে যাচ্ছে। কয়েকটা হাঁস মাথা উচু করে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুসুলধারে বৃষ্টির জাপটার লোভ বিসর্জন দিয়ে বাড়িতে ফিরতে হতো দাদি আর আম্মুর ভয়ে। খালি জমির জলে বৃষ্টি ফোঁড়ায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঢেউ সৃষ্টি হয় , তবে বাতাসের ক্ষিপ্রতায় সেটা একটার সাথে আরেকটা মিলে যায় ।
একটা ডাল-পাতা কুড়ানো লোক অনেকগুলো কদমডাল মাথায় নিয়ে দ্রুত হেটে চলে যাচ্ছে। আমি ডাকতে লোকটা শুনতেই পেলো , আমায় কদমফুল দিলো। ইচ্ছেদের কদমফুলের ছোঁয়া দিতে বৃষ্টি- বাতাসে, কদমফুল কুড়াতে কত নেমে ছিলাম রাস্তায়।
কাদামাখা বিধ্বস্ত কদমফুলগুলো বৃষ্টির স্বচ্ছ জলে ধুয়ে আবার সৌন্দর্যে সতেজ হলো। এমনি করে ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষগুলোও আবার বাড়িঘর সাজিয়ে সতেজ হাসি হাসবে।


প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলার গাছের কোন বিকল্প নেই সুন্দরবন বার বার প্রমান করে দেয়। তবুও আমরা গাছ লাগাতে অনিহা প্রকাশ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন জাতীয় স্বার্থেই গাছ কাটা হয়। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মুখে এ ধরনের উক্তি সত্যিই হতাশাজনক।একজন বিজ্ঞ লোক কেমন বোকার মত কথা বলে। অবশ্যই এতে এইসব লোকের মতলব থাকে। এরা সবসময় আমজনতাকে বোকা ভাবে। তবে কিছু লোক সর্বদা গাছের পেছনে লেগেই থাকে , গাছ কেটে তারা যেন পরিবেশ সুন্দর দেখতে পান। গাছ ফুল ফল দেয় , ছায়া দেয়, অক্সিজেন দেয় , গাছ প্রাকৃতিক দূর্যোগ হতে আমাদের বাঁচায়। সুনন্দবনের কাছে রামপালের বিদ্যুত কেন্দ্র যে কতটা পরিবেশের ক্ষতি করবে সময় বলে দিবে কিন্ত তখন কিছুই করার থাকবে না । কয়লার দূষনে জর্জরীত হবে পরিবেশ।
প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র ধ্বংস হবে ধীরে ধীরে । অথচ এখন আমরা দেখছি উন্নয়নকেই । সবসময় ঘূর্ণিঝড় হতে সুন্দরবন আমাদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে তার প্রমান ফণী বুলবুল এবং আমফান। একটা দেশ তখনি উন্নয়নের সহজ রাস্তায় আছে বুঝা যাধে যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগকে সহজেই মোকাবিলা করতে পারে । খাগড়াছড়ি , বান্দরবন এবং রাঙ্গামাটি আমাদের জন্য সুইজারল্যান্ড আর সেখানের গাছ আজ উজাড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আজ ধ্বংসের কাছে। দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকার গাছের চোরাচালানে ব্যস্ত সেখানের নেতারা তাদের সাথে আছে উপজাতী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
(চলবে)

মেয়ে ও মায়া , মাদক ও রাষ্ট্র ।
১৮তম পর্ব।

এই নেন ভাবী আপনার জিনিস বুঝে নেন। দেখে নেন সব ঠিক আছে কিনা। আমি খুব যত্ন করে রেখেছি । কি যে বলেন রবিনের মা। আপনাদেরকে আমার শাশুড়ী অনেক বিশ্বাস করে বলে সব আপনার কাছে দায়িত্ব দিয়েছে । সব ঠিক আছে , আমি আবার সকালে ফিরতে হবে ঢাকায়। ছুটি নেই তাহছাড়া মৌরি একা । আচ্ছা শিউলী মেয়েটা এমন করলো কেন। সে নিজ ইচ্ছায় আমার সাথে থাকবে বললো। এখন কোন খোজ খবর আমরা জানি না । তার মা বললো বিয়ে করে ওই ছেলের সাথে আছে । তবে শিউলীর বাবা বলেছে কোন খোজ খবর নিবে না। গ্রামে সবার কাছে একটা লজ্জা পেয়েছে বেচারা । এতে কিসের লজ্জা তবে মেয়েটা ছোট । মানুষের কুতসিত চেহারা একনো তার অজানা। কোথায়কার কার ছেলে , কোন ছেলে এবং কি করে কি তার সামাজিক অবস্থা জানা দরকার ছিলো তাড়াতাড়ি । আমরা এত কিছু বুঝি না ভাবী । মনে হয় মেয়েটা ঢাকা চলে যাবে শুনে প্রলোভন দিয়ে তাড়াতাড়ি নিয়ে গিয়েছে। মেয়েটা আমার বাসা হতে পালালে সবাই আমাকে ভুল বুঝতো । তখন আমার লজ্জিত হতে হতো। পড়তে হতো আইন আদলতের ঝামেলায়। এই দুনিয়া যেমন কঠিন জায়গা তেমনি মানুষগুলি কঠিন। জীবন একটা দৌড় খেলা এখানে নিজের জায়গা ঠিক রেখে দৌড়াতে হবে । অল্প একটু নড়াচড়া করলেই ছিটকে পড়বে প্রতিযোগিতা হবে । আর যে মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য্য ধরে দৌড়াবে সে পৌছে যাবে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে। আচ্ছা বলো রবিনের বাবা কেমন আছে ছেলেটা ঠিকভাবে পড়াশোনা করে কিনা । হুম, ভালো আছে তবে ছেলেটা স্কুলে যাইতে চায় না। বুঝেছি পড়াশোনায় তেমন মন নেই , কি করবে আর চেষ্টা করতে হবে , এতো সহজে হাল ছেড়ে দিবে ? না , অনেক বকাঝকা করে স্কুলে যেতে বাধ্য করি।


আজও টিপটিপ বৃষ্টি ঝরছে । গ্রামের কাঁচা রাস্তাঘাট খুব সাবধানে পথ চলতে হচ্ছে , প্রচন্ড পিচ্ছিল রাস্তা । যেমন আমার জীবন , ঠিক ব্যালেন্স নিয়ে হাঁটতে হয়। তবে কোন পূণ্য আছে বলে শাশুড়ী মার ভালোবাস আমার চলার শক্তি। ভালোবাসা জোর করে আদায় হয় না। অর্জন করে নিতে হয়,নিষ্ঠা, সততা,গুণ ও আন্তরিকতা দিয়ে এর পরও যে ভালোবাসা অর্জিত হয় না, সেটা প্রকৃত ভালোবাসা নয়, বরং এক তরফা ভালোবাসা । অতএব মাহিনের প্রতি দয়ার কোন সুযোগ থাকাও উচিত না । কারণ একতরফা ভালোবাসা মূল্যহীন। শাশুড়ী হয়ে সে ভালোবাসার মূল্য দিয়েছে ভালোবাসা দিয়ে , নিজের জীবনের শেষ সহায় সম্পদ এবং সম্পত্তি দিয়ে । জীবনটা দেওয়া এবং নেওয়ার ক্ষেত্র । মানুষ হতে মানুষ নেয় এবং দেয় । তবে কিছু মানুষ শুধু নিতে জানে , দিতে নয় । গাছের ফুল ফুটে গাছের প্রয়োজনেই, মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে মৌমাছির প্রয়োজনেই। পাখি ডাকে পাখির প্রয়োজনেই। এভাবে সকল প্রাণী তার নিজ নিজ প্রয়োজনে তার অবস্থান থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তাদের থেকে শুধু সুফলই গ্রহণ করি। আর মানব জাতি প্রকৃতির জন্য এবং মানুষের জন্য কি করি ? কিছুই করি না। যার প্রতিশোধ প্রকৃতি নিবে
প্রকৃতির ঋণ শোধ না করলে তার স্নেহমূর্তি পরিত্যাগ করে আমাদের উপর রুদ্রমূর্তি ধারণ করবেই। চারদিকে শুধুই বিপর্যয়নেমে আসবে। প্রতিকার খুঁজে বের করতে হবে দ্রুত। এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিকার ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে গোটা পৃথিবী হুমকিতে পড়বে। তখন আর দৌড়ানোতে শেষ রক্ষা হবে না। তাই সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসবেন প্রাণী জগত রক্ষাকবচ হয়ে।


আম্মু তোমার শাশুড়ী আম্মা এখনো ফোন দিলো না। এমন করে মজা করার কি আছে মৌরি , সুযোগ হলে ফোন উনি অবশ্যই দিবে এবং ফোন দিয়েই মৌরেকে খোজ করা শুরু করবে , তখন দেখবো আমি । এই যে মামনি এই দিকে আসো দেখে যাও একটা জিনিস । আম্মু এই চিঠি দাদির হাতের লেখা , খুবই সুন্দর । কেন এত জরুরী একা একা আমি দাদির বাড়ি গিয়েছি, এখন দেখো দাদির কাজ , এইটা হলো জমির দলিল আর এইটা সই করা ব্যাংক চেক। সব মিলে উনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন অর্ধ কোটি টাকা। এইবার বলো আমার শাশুড়ী মা নাম্বার ওয়ান কিনা। আম্মু রাগ করো না জাস্ট ফান করেছি আমি । তবে হ্যা সব কিছু নিয়ে মজা করা ঠিক হয় না । জীবন নিয়ে মজা চলে না মা । তুমি বিদেশ যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকো । আর আমি আস্তে আস্তে চেষ্টা করবো । আমার পছন্দ লন্ডন যাওয়া , তোমার যদি কোন পছন্দ থাকে বলো । তবে তোমার মেধার উপর নির্ভর করবে অনেক কিছূ । ঠিক আছে মা । আমিও লন্ডন যাওয়ার কথা ভাবছি । (চলবে)।

মেয়ে ও মায়া , মাদক ও রাষ্ট্র ।
১৯তম পর্ব।

আমি ভালোবাসলে যে আামাকেও ভালোবাসতে হবে, এমন কথা নেই। ভালোবাসা , না বাসার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কিন্তু আঘাতের কি দরকার ছিল।
ভালোবাসার সাথে আঘাতের একটা যোগসূত্র থাকে বলে আঘাতের অধিকারও দেওয়া থাকে হয়তো। আর পৃথিবীতে এই আঘাতের এত অপপ্রয়োগ হয় যেটা খুবই দুঃখজনক । আর এইটা খুবই সাধারণ একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িছে। আরে একটু অন্যরকম আঘাত দিতে মাহিন। যা অন্য কেউ কখনো আগে দেয়নি? সইতে কিংবা বইতে না পারার মতো অন্য রকম কিছু দিতে । অথচ আমি তোমাকে অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা ভাবতাম , একটু অন্যরকম ভাবতাম। আর তুমি হয়ে গেলে অন্য দশজনের একজন। যেটা আমাকে খুব বাস্তব হতে সাহায্য করে।আজকাল আমার মেয়েটাকে ভয় করি কারণ তোমার রক্ত শরীরে বহন করে সে বেড়ে উঠছে। তুমি তোমার মায়ের আদর্শ পাওনি আর তোমার মেয়ে তার মায়ের আদর্শ পাবে কিনা তা আকাশে । তবে হয়তো অচিরে কানাডায় তোমার সাথে দেখা হবে আমরা মা মেয়ের।


আচ্ছা আম্মু শিউলী যে পালিয়ে গেল একটা ছেলের সাথে , মেয়েটার কিন্তু বিয়ের বয়স হয়নি। তারা বিয়ে বিয়ে করতে জন্ম সনদ লাগবে জন্ম সনদ ছাড়া বিয়ে হলে আইন ভঙ্গ হবে। আর চাচা চাচী কি খোজ নিচ্ছে না। কোথায় আছে , কি করছে তাদেরতো বিয়ে হতে পারবে না । বয়স তাদের বড় বাধা বিয়েতে । আজ না হয় কাল তাদের ফেরত আসতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে সরকার কঠোর মনোভাব দেখায় । আম্মু আমার মেয়েটার জন্য মায়া হচ্ছে। আমি এত কিছু খবর নেওয়ার সময় পাই নাই । তাহাছাড়া রবিনের মা বিস্তারিতভাবে সব কথা জানে না। আর সবচেয়ে ভালো কথা তুমি ওই মেয়ে সাথে নিয়ে আসো নাই। যদি আমাদের বাসা হতে পলাতক হতো তাহলে থানা পুলিশ এইসবে বিরাট এক ঝামেলায় পড়তে হতো। তাহাছাড়া নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হতো এখন সব দিকে মুক্ত। আমি তোমার মামাকে বলে দিয়েছি তোমার জন্য কানাডা অথবা লন্ডন স্টুডেন্ড ভিসার জন্য চেষ্টা করতে । তুমি মামার সাথে কথা বলে তাকে সহযোগিতা করবে। আমি ব্যস্ত থাকবো বলে তাকে বলেছি। এখন সব কিছু ঠিকমতো হলেই ভালো। আম্মু তুমি গ্রেট । তুমি বিশাল আকাশ আমার ।


আজকাল শহরের ছেলেমেয়ে ফুসকা খেতে খেতে প্রেমে পড়ে আর সেই প্রেম ফুসকার বিল দিয়ে জমাট বাঁধায়। কিন্তু গ্রামের ছেলেমেয়ে কেমন করে প্রেম করে জানা হলো না। আমি একটা বৃষ্টির মত প্রেম করবো। বৃষ্টি যেমন টুপ করে আসে গাছপালাকে সজীব এবং সতেজ করে চলে যায় তেমন। তবে আমি প্রতিবারই তোমার জন্য আসবো শুধু আষাঢ় মাসে নয় । তোমাকে রাস্তার নিয়ন আলোয় স্নিগ্ধ দেখাতে। থাকবে না কোন বজ্রপাতের ঝিলিক । ঝুপ করে এসে টুপ করে ভিজিয়ে দিয়ে গেলে তুমি খিল খিল হাসবে । প্রতিবারই তুমি মুগ্ধ হবৈ । আষাড়ে সন্ধ্যা,বজ্রপাত,বৃষ্টি আর তুমি মিলেমিশে একাকার হবে । থাকবে না অস্বচ্ছতা বিপন্নতা ঝুকি এবং বিহ্বলতা । এইসব বাদ দিয়ে তোমার সাথে আমার থাকবে নিগাঢ় ভালবাসা । এই ভালোবায় থাকবে না কোন চতুরতা। হে প্রকৃতি তোমায় আমি ভালোবাসি। (চলবে ) ।

মেয়ে ও মায়া , মাদক ও রাষ্ট্র।
২০তম পর্ব।

মেয়েটা বাড়ি হতে বাহির হয়ে গেল আজ এত দিন আপনি একটু খোজ নিলেন না। কোথায় আছে কি খাচ্ছে কিছুই জানি না । মেয়েটার চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না । আমি তার মা , আমি তাকে ভুলে থাকতে পারবো না । আপনি খোজ নেন। থানা পুলিশ করেন। তুমি মা হলে আমিতো তার বাবা । আমার মন কাঁদছে কিন্তু বলতে পারছি না তাই সয়ে যেতে সব কিছু। লোকজনকে মুখ দেখানো কষ্টকর , মানুষ আমাকে দেখলে কানাঘুষো করে। মেয়ে জন্ম দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে লালনপালন করার পর পালিয়ে গিয়ে হাটে বাজারে লোকজনের কাছে লজ্জিত করে তাকে খোজে কি হবে । সে ফেরত আসবে না আরো অপমান হবো । তাই বুকে কষ্ট ধারণ করো প্রকাশ করো না। তুমি মনে করো না আমি কষ্ট পাচ্ছ না । আমি জানি আপনি কষ্ট প্রকাশ করছেন না । শিউলী একবার ফোন হলেও করতে পারতো আমাদের । কোন দরকার নেই ফোন করার আমি ভালো আছি। তুমিও ভালো আছো , সে যেখানে থাকে যেন ভালো থাকুক ।


সম্পূর্ণ নতুন এক জায়গায় নিয়ে আসে আমাকে। তাই সবই আমার অপরিচিত। নানা রংয়ের নতুন নতুন দালান মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। প্রায় সবগুলোই দালান পাঁচ ছয় তলা। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো বাগানও আছে । অাগে এইখানে এর আগে কোনদিন আমার আসা হয়নি এবং আসার প্রয়োজনও হয়নি। এতো অভিজাত পাড়ায় আমার আসা যাওয়ার কিবা দরকার । সুন্দর সুন্দর বাড়িগুলো ও অপলক দৃষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে দেখতে ইচ্ছে করে । নাহিদ বুঝতে পারে এবং আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে । অামি সম্বিত ফিরে পেয়ে অপ্রস্তুত হয়ে হাসি দিই । আমাদের রিক্সা সামনে এগিয়ে যায়। কিছু দুর যাওয়ার পর নাহিদ একটা পাঁচ তলা বাড়ির সামনে নামতে বলে ।
আমি আর নাহিদ দুজনে ঠিক করি বাড়ির লোক না চাইলেও আমরা দুজনে বিয়ে করবো। যেই ভাবা সেই কাজ , নাহিদ যেহেতু চাকরি করে সেহেতু তেমন কোন অসুবিধাই নেই। দু পক্ষের কারো বাড়ির হতে এই বিয়েকে মেনে নিবে না কোন রকমে। কারণ পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা । তাহাছাড়া আমার বয়স। নাহিদ আগে থেকে সব যোগাড় করে রাখে । তার কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় সেইদিনেই আমারা বিয়ে করে ফেলি ।


দিন চলে তার আপন রূপে । সাথে সাথে নাহিদও তার রূপ পরিবর্তন করে । আমার স্কুল সময়ে যে ছেলে রোজ দাঁড়িয়ে থাকতো আমাকে দেখার জন্য একটু কথা বলার জন্য আজ তার সাথে প্রয়োজনীয় কথাও বলা যায় না। আমি এখানে আসার পর হতে দেখছি সারা দিন ঘুম যায় সন্ধ্যা হলে বাহির হয় এবং ভোর বেলায় বাসায় ফিরে। কিছু জিজ্ঞাসা করলে এড়িয়ে যায় । আমাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কোন আগ্রহ দেখি না । এখন আমি একটা টিন সেড় ঘরে ভাড়া থাকি । কিন্তু সেটারও ভাড়া বাকি পড়ে আছে। ঘরের মালিক নেশাগ্রস্ত সোবহান মিয়া এসে গালি দেয় আর আমার দিকে তাকিয়ে থাকে । নাহিদ বলে আমি নাকি তার মেয়ের চেহারা । আমি জানি নাহিদ মিথ্যা বলে সান্তনা দেয় আমাকে কিন্ত কিছু করার নাই। মাথায় ঘুরপাক করে আমি নাহিদের স্ত্রী, আর যে আমাকে ভালোবেসে পরিবার পরিজন ত্যাগ করে বিয়ে করছে সেই লোক সোবহান মিয়ার কামুক নজর কেন সমর্থন করে। বাসা ভাড়ার টাকার জন্য আমার ভালোবাসায় তাহলে মরিচা পড়তে শুরু করেছে। হায় করুণাময়।

নাহিদ তুমি যদি কাজকর্ম না করো আমরা কিভাবে চলবো। তুমি কি করো আমি জানতে চাই । দেখো তোমার এত কিছু জেনে লাভ নাই। তোমার থাকা খাওয়ার সমস্যা না হলেই চলে। একটু কষ্ট করে চল। খেয়ে না খেয়ে এত দিন চলে আসছি। কিন্তু এইভাবে আর কত দিন চলবো । বাসা ভাড়া জমা হয়েছে দুই মাসের । তুমি ঠিকভাবে কাজকর্ম করলে সব ঠিক থাকতো । আচ্ছা বলো তুমি সারা রাত কি করো । ভোর রাতে কেন বাসায় ফিরো , তোমার মুখে কিসের যেন গন্ধ থাকে যা আমার ভালো লাগে না। এই শহরে আমি কিছুই জানি না , কিছুই চিনি না । সারা রাত একা একা ঘরে থাকতে ভয় লাগে । তুমি পাশে থাকলে মা -বাবা ভাই- বোনের কথা কম মনে পড়ে। রাত গডীর হলে ঘুম ভেঙ্গে যায় সোবহান মিয়ার চেহারা স্বপ্নে আসলে । তুমি রাতে বাসায় থাকলে হয়। এইসব তোমার ভুল ধারণা সোবহান মিয়া ভালো মানুষ। উনি এক জন জনদরদি রাজনৈতিক নেতা। পুরা পাড়ায় উনার সুনাম , পরোপকারী জনপ্রতিনিধি। মানুষ তোমার এইসব কথা শুনলে উনাকে বলে দিবে তখন আমাদের থাকার জায়গাও থাকবে না শিউলী। কিন্তু আমার ভালো লাগে না উনার স্বভাব চরিত্র। আরে বাদ দাও বাজে চিন্তা । আমি একটা কাজ পেলে এই বাসা ছেড়ে দিবো। (চলবে)।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৩৩৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩০/০৫/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • খুব ভাল হয়েছে, মহী ভাই।
  • জুয়েল কুমার রায় ০১/০৬/২০২০
    খুব ভালো উপস্থাপন।
  • অসাধারণ মুগ্ধতায় সবটা শেষ করলাম।
    মনোমুগ্ধকর লেখা এবং সাবলীল উপস্থাপন।
    মুগ্ধ হলাম৷
    সাবধানে থাকবেন
  • সুন্দর ও সাবলিল উপস্থাপন।
 
Quantcast