www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

Devil Father (পর্ব -২২ শেষ পর্ব )

অ্যাভন হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়ে গেল । তাকে নিয়ে পত্রিকাতে ও টিভি চ্যানেলে নিউস হয়েছে , Youtube জুড়ে তারই গল্প । সবাই এখন অ্যাভনকে আর খারাপ ভাবে না। "জোঙা" কাহিনীটা সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, ওদিকে মুক্তিযুদ্ধ ট্রাইবুনালে রাজাকার,আলববর, আলশামসদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এক বছর দুই মাস কেটে গেছে অ্যাভন এখন উম্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়শোনা করে,পাশাপাশি অটোমোবাইলের নিয়ে কারিগরি কাজ শিখছে একটা Institute তে, অন্যদিকে সামিরার পদুউন্নতি হয়েছে সে এখন Celebrity তার গাওয়া গান বেশ পরিচিতি পেয়েছে । এখন আর আগের মত তাকে অফিসে যেতে হয় না, বাসায় তার পরিবারে সাথে বেশির ভাগ সময় কাঁটায়ে । তার ছোটও ভাই বেশ জনপ্রিয় একজন Short Film Director হয়ে গেছে ……
( সেমিনার হল )

সামিরা দাঁড়িয়ে তার মতিভেশনাল স্পিচ দিচ্ছিল। এতক্ষন দর্শকের সাড়িতে অ্যাভন বসে তার মোটিভেশনাল স্পিচ শুনছিল । মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম শেষ।
সামিরা চলে যাচ্ছে । পিছনে কিছু লোক এবং জার্নালিস্ট, তাকে ঘিরে রেখেছে । একটা ফোন কল এলো , সামিরার মোবাইলে সামিরা তার মোবাইলের দিকে তাকালো ।
সবাইকে Excuse Me বলে, ফোনটা রিসিভ করল ………….. ফোনের ওপাশ থেকে অ্যাভনের গলা অ্যাভন ঃ হ্যালো কাউন্সিলর কেমন আছেন ?
সামিরা : আরে আপনি।
অ্যাভন ঃ আমি আপনার পাশে, এতক্ষণ আপনার স্পিচ শুনছিলাম।
সামিরা পাশে তাকালো, দেখলো অ্যাভনকে । সামিরা লোকজনের কাছ থেকে
বিদায় নিয়ে অ্যাভনের কাছে গেল ।
সামিরাঃ হাই , কেমন আছেন?
অ্যাভনকে বলল ,,,,

অ্যাভন ঃ ভালো । আপনি তো দেখছি Celebrity হয়ে গেছেন এবং ভালো মোটিভেশনাল Speech দিচ্ছেন ।
সামিরা : Thankyou ……..বাসার সবাই ও আপনার ফ্রেন্ডরা কেমন আছে ?
অ্যাভন : সবাই ভালো আর মাঝে মাঝে সাবরিনা সাথে তো আমার কথা , শুধু আপনার সাথেই হয়ে না।
সামিরা : আমি তো আপনার ফ্রেন্ড না, আমি আপনার ( চিকিৎসক )
মনো বিশেষজ্ঞ, যে কথা হবে,অবশ্য আপু ও দুল্লাভাই সাথে কথা হয়, ওনারা আমার ফেসবুক অ্যাড আছেন ।
অ্যাভন : জানি
অ্যাভন : ওই হলো । আমি না ছাড়া, আমি বুঝতাম না , এই পৃথিবীটা কত সুন্দর । আমি আমার জীবনকে বদলে দিয়েছেন। এই বলে অ্যাভন তার ব্যাকপ্যাক থেকে একটি মেরুন কালারের বিয়ের কার্ড বার করলো। আমার বিয়ে।
সামিরা ঃCongrauation । বিয়ে করছেন কাকে ?
অ্যাভন : আমার খালাতো বোনকে তার নাম প্রাপ্তি । রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে থেকে মাস্টার্স Complete করেছে , ও রাজশাহীতেই থাকে ।
সামিরা ঃ আমার আম্মুর দেশের বাড়ি রাজশাহি শহরে “ঘোড়ামারা”।
অ্যাভন : জানি আপুর কাছ থেকে শুনেছি ।
আপনি কিন্তু আপনার বাবাকে নিয়ে অবশ্যই আসবেন ।
সামিরা ঃ হ্যাঁ, আমি অবশ্যই আসবো এবং সপরিবারে আসবো ।
সামিরা, এখন তাহলে চলি। ,,,,, আবার দেখা হবে ।
সামিরা ঃ Bye ……..
এই বলে সামিরা হাটতে শুরু করলো ………..
অ্যাভন হেটে চলে গেল।
সামিরা হেঁটে যেতেই কিছু মানুষ তাঁকে আবার ঘিরে ধরলো, অটোগ্রাফের জন্য
সামিরা তাদেরকে অটোগ্রাফ দিচ্ছে , Suddenly আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠলো, আকাশে কালো মেঘ জড় হয়েছে, ঝড় আসবে ।
নিজের Bag থেকে মোবাইল বের করে, নিজের গাড়ির ড্রাইভারকে ডাকলো চোখ ফিরাতে দেখল দেখলো একটা আশ্চয দৃশ্য । ডানপাশে তাজুল দাঁড়ানো তার পরনে কালো প্যান্ট এবং সাদা শার্ট। সামিরার দিকে সে তাকিয়ে হাসলো। তাজুল তার হাত উঁচু করে “ThumsUp “ দেখালো । সামিরার চোখে পানি এসে পরে তখন আবার সামিরার তাজুলের দিকে হেসে তাকালো এবং দেখলো তাজুল হাওয়াতে মিলিয়ে গেল আবার অন্য দিকে তাকাতেই দেখলো তার সামনে হিমি দাঁড়িয়ে আছে , হিমির পরনে Blue – Black কালারের পায়জামা-পাঞ্জাবি। সেও তার হাত উঁচু করে V- sign দেখাচ্ছে সামিরাকে “। সামিরার হিমির দিকে তাকিয়ে মনে মনে নিজেকে বললো, হিমি , তাজুল সত্যি আমি জিতে গেছি এখন আমার আর কোনো দুঃখ নেই । হিমি হেসে
তাকালো“ ।সামিরার হিমি ও তাজুলকে খুঁজতে থাকলো এপাশে , ওপাশে ।
এবং চোখ মুঝলো “এটা খুশির কান্না “ । আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠলো।
ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে হাজির, সামিরা গাড়ির দরজা খুলে তার ল্যাপটপ , ফাইল ব্যাগ রাখতেই আবার পিছনে ফিরে তাকালো সেই জায়গায় যেখানে ওরা দুইজনেই দাঁড়িয়ে ছিল, দেখলো, কেউ নেই সেখানে মানুষ চলাফেরা করছে ।

সামিরার জীবনে ওরা দু'জনেই থাকবে ও চিরকাল রইবে তারা তার গানের সুরে, সে তার জীবনে আর কাউকে জড়াবে না । ড্রাইভার ছেড়ে দিল , গাড়ি চলতে শুরু করলো।সামিরা গাড়ির উইন্ডো দিয়ে বাহিরের তাকালো, টিপ টিপ বৃষ্টি পরতে শুরু করে দিয়েছে । বঙ্গবন্ধু কনভেনশন সেন্টারের গেট দিয়ে গাড়িটা বের হয়ে চলে গেল ।
গুতগুতে অন্ধকার
একটা রুম। জংগা, এসেছে দাঁড়ালো , ভয়ংকর চেহারায় ।
একটা দরজা ……………।দরজা দিয়ে অনেকই হাত বারিয়ে ডাকছে , মানুষরা আত্ম চিৎকার কোন বাচ্চার বা কিশোরী মেয়ের কান্না , জংগা আসতে আসতে দরজাটি মধ্যে প্রবেশ করলো । জংগার চিৎকার , । দরজাটি বন্ধ হয়ে গেল । গুতগুতে অন্ধকার ।


( সমাপ্তি )
ছবি : সংগৃহিত


*উৎসর্গ
আমার প্রথম উপন্যাস,আমি উৎসর্গ করছি ...............
আমার বাবা, মা, তান্সি , বিপ্লব, প্রয়াত নানী,নানী,দাদি ও দাদি , রেবা ফহুপি,ফরিদ ফহুপা, রোকিয়া, অন্যান্য, বীথি ফহুপি,শিল্পী আপু,মমতাজ বেগম,আবুল হোসাইন, শিব্লী খালু ,মেরিন খালা, রিনা খালা, আমজাদ মামা, মামি সিরু চাচা, চাচি আমার সব ভাই ও বোনেদের, বন্ধু বান্ধুবিদের, এবং আমার দুই প্রাপ্তম প্রেমিকে আমি উৎসর্গ করলাম ।
---- মো: তাজুল ইসলাম
মাহমুদুর রহমান হিমি ।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ২৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/১০/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ফয়জুল মহী ১৮/১০/২০২১
    সুষমামণ্ডিত লেখা,
  • আপনার জীবনকাহিনী কিনা?
  • এ বি এস তুষার ১৮/১০/২০২১
    সুন্দর লিখেছেন।
 
Quantcast