www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

Devil Father – ( পর্ব -২১ )

ন্যান্সি দেওয়ান ©

সামিরা করিম চাচা পাখিগুলো আকাশে ছেড়ে দিন ।
করিম চাচা ঃ কেন , মা তোমার পোষা প্রিয় পাখি গুলো, ছেড়ে দিলে তোমার মন খারাপ হবে না ?
সামিরাঃ না, আমি সারাদিন Busy থাকি এই পাখিগুলোর ঠিক মত যত্ন হয়না,তাছাড়া খাঁচায় থেকে পাখিগুলো কষ্ট পাচ্ছে ।
করিম চাচা খাঁচাসহ পাখিগুলোর কে নিয়ে এলো ।
সামিরা তার খাঁচায় ভিতরে পোষা পাখিগুলো কে হাত দিয়ে বের করে, শেষ বারের মতো দেখে নিলো, , পাখিগুলো গায়ে শেষ বারেরও মত হাত বুলিয়ে দিলো । ছেড়ে দিলো আকাশে ।
হঠাৎ, মোবাইল বেজে উঠল।
(Unknown number ) থেকে call এসেছে । সামিরা call টি রিসিভ করল ।
মোবাইলের ওপাশ থেকে বলে উঠলো ।
Hello, সামিরা মেম বলছেন?
আমি ইমরান বলছি। অ্যাভনের বন্ধু ।
সামিরা: জি, ইমরান ভাই বলেন ।
ইমরান:Sorry সেদিন, আপনার সাথে দুর্ব্যবহার করেছি পরে, আমরা Realize করতে পেরেছি যে, অ্যাভনের প্রতি অভিচার করা হচ্ছে । আমরা পাঁচ বন্ধু তাই Decide করেছি, অ্যাভনের সাথে দেখা করবো । শান্তা আপু, আমাদের সাথে কথা বলেছে ।
সামিরা: খুশি হলাম ,
Patient অ্যাভনকে ICU চারদিনের জন্য রাখা হয়েছিল, তারপর Emergency থেকে এখন অন্য Cabin নে ।
সামিরা অ্যাভনের cabin নে ধুকে তার বন্ধুদের ভিতরে আসতে বলল ।
অ্যাভনঃআবাক হয়ে তার বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে থাকলো
( বন্ধুদের ভিতরে কথাবাত্রা চলছে )
অ্যাভনঃ Thankyou So Much Doctor .
সামিরা ঃ Welcome.......
ইমরান আরে আপনি কোথায় যাচ্ছেন? একটা গ্রুপ ছবি তুলবো আপনাকে নিয়ে ......।
শান্তা আপুটা থাকলে ভালো হত
সামিরা বলল না ।
সামিরা চলে গেলো ......
অ্যাভন ঃআচ্ছা, শোহাগ, অনিক কোথায় ?
ইমরানঃ দোস্ত ওরা বিদেশে থাকে । এই হাবিব ভিডিও কল কর Conference করি
রাব্বি, ইমরান তার অন্য দুইজন বন্ধু শোহাগ আর অনিককে ভিডিও Call এ কথা বলছে । অন্যদিন
( Care Hospital এর cabin নে শোভন ধুকে পড়লো , শান্তা আপু তখন,অ্যাভনকে ফল কেটে দিয়েছিল। অ্যাভন বিছানা ছেড়ে উঠে তার ফুপু ফুপার পায়ে হাত সালাম করলো।
তারপর শোভনকে বুকে জরিয়ে ধরল ।
ফুফুর চোখে পানি দেখে শান্তা আপু ফুফুকে বলল “তোমাকে কি বললাম তোমাদের “ ফোনে কান্নাকাটি করা যাবে না এবং ফুফুর চোখ মুছে দিল।
ফুফু ( রেহানা জামান ) ঃ তোর বাবা মা আছে নিরে । কেমন আছিস আমার সোনামনিক ?
অ্যাভন ঃ ভীষণ ভাল তোমাদের দেখে আর ভালো ।
ফুফু ( রেহানা জামান ) ঃ দেখ বাবা তোর জন্য আমরা আম নিয়ে এসেছি ।
এক কোণে বসে শান্তা আপু আর ফুফু সোফায় বসে কথা বলেছে, আর অন্যদিকে অ্যাভন তার ফুপা এবং তার ফুফাতো ভাইকে মিলে কথা বলছে, অ্যাভন খুবই এক্সাইটেড।
শান্তা আপু আস্তে আস্তে তার ফুফুকে বলছে
বাবা মা ICU সামনে যা কান্নাকাটি তাদের অ্যাভনকে নিয়ে। যা ঝড় গেলো আমাদের উপর দিয়ে আল্লাহপাকের রহমতে সব ঠিক হয়ে গেছে ।
রেহানা জামান (ফুফু ) ঃ আমরা তো সেদিনই আসতাম তোর বাবাই তো আমাদের
মানা করলো ।
মোবাইল দিয়ে অ্যাভন তার বন্ধুকে ফোন করলো দিল।
নাজনীন সামিরার মোবাইলে ফোন দিল।
নাজনীনঃ কিরে ? আজকে না তোর, আর আমার সাথে তামান্না খালার বাসায় যাওয়ার কথা ।
সামিরা: Sorry আমি ভুলে গেছি ।
নাজনীনঃ সকালে গিয়েছিলাম আমি নিউমার্কেট, আমার বুটিক শপের জিনিস কিনতে , এখন রেডি হচ্ছি ।
সামিরা: আচ্ছা, Shower করে রেডি হই ।
তামান্না খালা ও সিদ্দিক খালুর মিরপুর মাজার রোডে বাসা । নিজেদের জমির উপরে, বিল্ডার্সকে দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট বানিয়েছে, Apartment নাম “নীলা মিনোর” ।
খালা ও খালু Apartment এর চার তলায় থাকে।
কলিং বেল টিপলো ...............
তামান্না খালা দরজ খুলে দিলো ।
সিদ্দিক খালু ঃএসো, তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছি ।
তামান্না খালাঃ সামিরা এই প্রথম আমাদের অ্যাপার্টমিনটে আসলো ।
সামিরা বলল খালাকে সে ছোটবেলায় এসেছিল তখন এই বাসা ৫ তলা ছিল ।
উর্মি ঃ দেখন , আকাশ লজ্জা পাচ্ছে এবং আকাশ দাক্কা দিয়ে চয়নকে,
চয়নঃ কেমন আছেন আপনি ?
সামিরা ঃ আমি ভালো আছি ।
নাজনীন ওর খালা ও খালুর সাথে ভিতরে চলে গেছে ।
Drawing Room মে সামিরা, ঊর্মি, আকাশ ও চয়ন বসে আছে ।
সামিরাঃ উর্মি, কেমন আছো
উর্মিঃ জি আপু ভাল
সামিরাঃ তুমি তো মিরপুর ১ নাম্বারে থাকে ।
উর্মিঃ জি আগে এখানে থাকতাম ।
সামিরাঃ তুমি কিসে পড়লো ?
ঊর্মি ঃ 2nd year ( Hons ) ।
চয়নঃ ছাই পড়াশোনা করে এই মেয়েটা ওর মাথায়ে পড়াশোনা ধুকে না ।
ঊর্মি বলল আকাশকে ভাইয়া কি জামাই জামাই ?
ঊর্মি ঃ আপু তোমাকে সুন্দর লাগছে ।
সামিরাঃ হেসে বলল তোমাকেও ।
সামিরা মনে মনে বলল বাঁচলাম , Mr. আকাশকে একটা “Rotten Food”
“ পচা ডিম “ছেবলা কিমিসের ।
সিদ্দিক খালু : আকাশ তোমার জন্য কি কি কিনেছে তা দেখো।
সামিরাঃ এসবের কি দরকার ছিল Mr. আকাশ।
আকাশঃ Only Gift আর তো কিছু না ।
খাওয়ার টেবিলে নাজনীন সামিরা বলে পড়ল ,
নাজনিন খালাকে বলল, খাবেন না Aunty ?
তামান্না খালা : আমি খেয়ে নিয়েছি আমার medicine খেতে হয় তাই ।
হঠাৎ করে, পাশের খালি চেয়ারতিতে আকাশ এসে বসে পরলো ।
সামিরা বেশ Disturb Feel করতে শুরু কারণ আকাশের ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে ,
তাও আবার বিশ্রী হেসে ।
সামিরা তা সহ্য হচ্ছিলো না । সবার সামনে সামিরা তার চেয়ার বদলাতে পারছিল না ।
(খাবার টেবিলে )
তামান্না খালা সবাইকে পরিবেশন করেছে তার সাথে তাদের, বাসার কাজের মেয়ে মনিজা ।
সিদ্দিক খালু খেতে খেতে বলল, বুঝলে মামনিরা ,এই আমার ছেলে চায়নের জন্য উর্মিকে আমি Fixed করে রেখেছি । ওর পরিবারে সাথে কথা বলে ।
নাজনীন : ভালোই, তো খালু সব কিছু আগে থেকে ।
আকাশ আসতে আসতে তার পা , নাড়া চাড়া করছে .........
সামিরা ব্যাগ তার চেয়ার পিছনে রেখেছিল , মোবাইল রাখাবার,ছোলে দৃশ্যটি চোখে পড়লো এবং সামিরা অস্বস্তিকর বোধ করছিল,যদি তার পায়ে দাক্কা লেগে যায় ।
সামিরা খালার কাছে পানি খেতে চাইলো ।
সামিরাকে পানি দিতেই পুরো গ্লাস ভর্তি পানি খেয়ে ফেলল।
আকাশ ঃ আপনি,তো শুধু পানি খেয়ে পেট ভরে ফেললেন। তাহলে খাবার খাবেন কিভাবে?
সামিরা ঃ না ...... ঠিক আছে ।
সিদ্দিক খালু ঃ এখন আকাশের ব্যাপারটা মিটমাট হলেই ভালো। আমার যা সম্পত্তি আছে এই দুই ছেলের নামে লিখে দিব।
খাওয়া দাওয়া শেষ ----------
সিদ্দিক খালু বলল তোমাদের এই Generation খাওয়া-দাওয়ার করতে চাওনা আমরা হালা বুড়ো হয়ে গেছি । তামান্না খালা ইশারা দিল সিদ্দিক খালু সবাইকে যেতে বলল , যাতে আকাশ ও সামিরা কথা বলতে পারে ।,
নাজনীন ঃ আমি থাকি ।
সিদ্দিক খালু ঃ না, তুমি আসো, ওদেরকে কথা বলতে দাও ।
সামিরা Sofa এর এক পাশে আর অন্যদিকে আকাশ ।
আকাশ অতি খুশিতে কথা বলতে শুরু করলো ।
সামিরা ঃ Over Epectation করা খারাপ ,আমাকে ভালবেসে ফেলেন কিভাবে ?
আমি তো আপনাকে , চিনিই না। শুনেছি আপনার বাবা UAE থাকে আপনার Elder Brother
তার স্ত্রী সহ Chittagong থাকেন, সেখানে Job করেন, কুমিল্লায় লক্ষ্মীপুর সদর, আপনার মা
দেশে থাকে । ৩ মাসেরও কিন্তু “ভালবাসা” হয় যা আমরা “Love Relation” বলে থাকি ।
আকাশ : আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি, স্বপ্নে দেখে আমি স্বপ্নে আমার সাথে কথা বলেছে ।
সামিরাঃ I don’t believe…….
আকাশঃ বিশ্বাস না করবারই কথা, প্রথমে সবাই শুনে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে । আপনি আমার ছবি খালা-খালু মোবাইলে দেখিয়েছি । আপনার ছবি এঁকেছি , আমি এখনি নিয়ে আসছি ।
সামিরা ঃ আপনি তো সম্পর্কে সব কিছু জানেন ওগুলো ছাড়া আমার Family Status ?
আকাশঃ জানি, তাহলে আমার ভালোবাসার কি কোনো মানে নেই । আপনি কি অযোগ্য .............
সামিরাঃ অযোগ্য না ।
আকাশঃ আপনার সাথে আমার Love relation হলে আমি আপনার সব দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দিবো ।
আপানার জীবনে ওই দুইজন মানুষ এখন মৃত তাদের Memories
নিয়ে কেন বেঁচে থাকবেন ।
সামিরা ঃ এক হাত দূরত্ব বজায় রেখে আমার সাথে আপনি কথা বলতে যদি কারো Relation জোরাই ।
আকাশঃ ভালোবাসা মানে কি ? Love is a Not eye contract between two couples, it has mentally and physical facts . আমি চাইবো আমার প্রেমিকা কাছে আমার প্রয়োজন গুলো Fulfill করতে , কিংব চাইবো ওই রকম Sms দিতে বা কথা বলতে । সব ছেলেদেরই “এটা চাহিদা’ ।
না পারাটা তো Disorder । তাহলে আপনাকে বিয়ে করে আমি সুখি হব না ।
সামিরাঃ চুপ করে নিজের ব্যাগের দিকে তাকিয়ে আছে।
আকাশঃ চুপ কেন সামিরা, উত্তর দিন? !!!!!!!!!!
সামিরা ঃ কারণ ওই সম্পর্ক আমার হিমির সাথেই ছিল, কিন্তু আমাদের মধ্যে ছিল পবিত্রতা,মিষ্টি ভালবাসা, তা ছাড়া আমি তো widow ………
হিমি, তাজুল আমার অন্তরের দুইটি অংশ জুড়ে রয়েছে ।
সামিরা ঃ আমার মন নেই। Time Pass Isn’t ???? আপনার দরকার ওসব মেয়ে । যা হোক ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে ফেলুন । আমার বয়স তো ২৫ ,………
আকাশঃভালই বলেছেন আমি, তাজুল , হিমির মত মোটেও সুপাত্র নই ।
সামিরাঃ জি বুঝলাম, আপনি আমার ছবি ও ভিডিও করেছিলেন, সেই সব গুলো নিয়ে আসেন এবং আমার সামনে বসে , সব Device থেকে Delete করবেন –নিয়ে আসেন বলে দমক দিলো ।
আকাশঃ Ok Ok মোবাইল ও laptob নিয়ে আসছি ।
আকাশ তার রুমে তাড়াহুড়া করে ঢুকলো ।
চয়ন ও উর্মি তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলো, দরজার শব্দ পেয়ে , দুইজন অবাক হয়ে আকাশের কাজকর্মর দিকে তাকিয়েই থাকলো,চয়ন বলল কি রে দোস্ত ?
আকাশ রেগে বলল আমার Mobileটা কই তার হাতে Laptob । ..................
উর্মিঃ ভাইয়া আমরা আসবো
আকাশঃ আমি কি বলেছি আসতে ! উর্মি একদম চুপ ।
সামিরার সামনে বসে সব ছবি, ভিডিও delete করলো । আকাশের মাথায়ে রাগ উঠে গেছিলো ।
খালা – খালুর রুমে সামিরা রুমে ঢুকে বলল খালা খালু , আমি আকাশ ভাইকে থেরাপি দিয়ে এসেছি । উনি পাগলামি করবেন না।
সামিরা খালাকে কিছু খুলে বলল
অন্যদিন ………
নাজনীন ঃ ওনাকে অপমান করতি না ।
তুই চলে আসার পর, কাটাকাটি হয়েছে , উর্মি কান্নাকাটি করলে চলে গেল । আকাশের নামে এত বদনাম করলি, তোর মনে কি মায়া দয়া নেই
রিপা : ছেলেটা খারাপ , এটা তোর চোখে পড়লো না নাজনীন !!!!!
"Sugar daddy" – আছে বলে উনি বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েনি ।
নাজনীন ঃ "Sugar daddy" ?
রিপা, like Godfather. …..এখানে খালা, খালু সেই ভূমিকা পালন করছে, টাকা পয়সা দিয়ে মাথায়ে তুলা ।
হলুদ ডাইরিতে সামিরা লিখছে।
“মানুষ কেমন অসভ্য ও নিচু মনের মানুষিকতার হতে পারে ।
লাইলি মজনুর বা শিরি ফরহাদ কি ভালোবাসিনি ?
শারীরিক সৌন্দর্যটাই সবকিছু।

চলবে ………
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ২৮৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৪/১০/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • পড়তে থাকি।
 
Quantcast