www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এবং তোমার প্রেম-৭

(ফ্ল্যাশব্যাক)
একটি ছাদ খোলা খাবারের দোকানে বসে সোহান ও নাদিয়া কথা কাটাকাটি করছে ।
সোহান:আমি মেয়েদের সাথে Fun করে বেড়াই আমার habbit,কারণ কলেজ পড়বার সময়ে আমি প্রত্যাশা নামে একটি মেয়েকে পছন্দ করতাম মেয়েটির আমার love proposal গ্রহণ করেনি, পরে আমি ওর সাথে আর কোনো যোগাযোগ রাখিনি,আমি চাইছিলাম এই কথাটা তোমাকে খুলে বলতে কিন্তু পারছিলাম না,তোমার প্রতি মায়া হয়েছিল তাই ।
আমি তোমাকে ভালবাসিনি,ভালোবাসি না কতবার বলবো তোমাকে ? তুমি কেন বুঝতে পারছো না,আমার অনেক মেয়ে এসেছে,তুমি আমার জীবনে প্রথম মেয়ে না,আমি কোনো মেয়েকে আমার সিরিয়াসলি জীবনে নেই না ।
এখন আমার সত্যি একটা মেয়েকে মনে ধরেছে আমার ব্যাচ মেট শ্রাবন্তী ।
নাদিয়া কাঁদছে তার পানি গাল বেয়ে পড়ছে তার মুখমন্ডল লাল হয়ে গেছে, বুক ফেটে যাচ্ছে কষ্টে, চিৎকার করে বোকা ইচ্ছে করেছে সোহানকে,নাদিয়া ভিতরে ভিতরে ভাষাহীন হয়ে পড়েছে এই মুহূর্তে ।
নাদিয়া : তোমার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্কটা উপরই মিথ্যে,ছি ছি ।
সোহান: কি করবে বললো আমার স্বভাবটা যে এরকম তুমি কি তোমার মতো unsmart মেয়েকে আমি আমার life partner বানাবো OMG ! তুমি এতো বোকা কেন ? কি ভাবতে পারলে তুমি । তুমি যে এতটা stupid তা আমার জানা ছিল না । নাদিয়া উঠে দাঁড়িয়ে ,
সোহানের গালে কোষে একটা চড় লাগিয়ে দিলো ।
খাবারের দোকানে পাশের কিছু লোক অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো ।তাদের দুইজনের দিকে ।
নাদিয়া রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে থাকলো সোহানের দিকে ।
নাদিয়া :তুমি এই চড় খাবার যোগ্য, আমার সাথে তুমি যা করেছে তা রীতি মতো অন্যায়ে । তুমি যদি আমার জায়গাতে থাকতে, তাহলে বুঝতে আমার কত কষ্ট হচ্ছে ।
সোহান: ইউ বাস্টার্ড, তুমি জানো, আমি তোমার কি করতে পারি ?
নাদিয়া :চিৎকার করো না, তোমার চিৎকার কোনো আসে যাবে না,বরং এখানে স্ক্রিন ক্রিটে হচ্ছে,কি করবে আমার তুমি,বড় জোর আমার নামে গুজব ছড়াবে তাই তো ছড়াও,তোমাকে ভয় পাই না ।
তুমি একদিন আমার চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকবে । কারো লাইফ নিয়ে খেলা করবার শাস্তি আল্লাহপাক তোমাকে দিবে ।
নাদিয়া ব্যাগ থেকে টিসু বের করে চোখের পানি মূৰ্ছলো ।
নাদিয়া: আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছি একদিন তুমিও আমার মত এই ভাবে কষ্ট পাবে,বলে কাঁদে কাঁদে বের হয়ে চলে গেলো ।
সোহান:Damm shit I don't care all this ! যতসব ।
(বর্তমান)
সোহান চোখ খুললো,বিছানায় উঠে বসলো,জানালার দিকে তাকালো তখন ভোর হয়ে গেছে ।
তোমাকে এই ভাবে বিছানার পাশে সাইড টেবিলের উপরে রাখা তার মানি ব্যাগ,মানি ব্যাগ থেকে নাদিয়ার ছবিটি বের করে হাতে নিলো,সোহানের চোখে দুই ফোটা পানি চলে এসেছে ।
রাস্তা দুপাশের ফুটপাথ দিয়ে লোকজন দিয়ে চলাফেরা করছে, খুব সকাল,ছুটির দিন ।
সোহান রাস্তা দিয়ে হাঁটছে তার কানে,এয়ারফোন। মোবাইলে সে নাদিয়া প্রিয় গানগুলো save করে রেখেছে তা শুনছে, হঠাৎ একটা ফোন এলো । একটি মেয়ের কণ্ঠ,সোহান ভাইয়া, আমি চৈতি নাদিয়া বোন আমাকে আপনি চিনতে পেরেছেন ? কথা বলেন নাদিয়া আপুর সাথে
সোহান নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো ।
নাদিয়া ফোনের ও পাশে থেকে বললো "হ্যালো"
সোহান বললো হ্যালো খুশিতে তখন সে আত্মহারা দুনিয়ার সব আনন্দ যেন তাকে এক সাথে ঘিরে ফেলেছে ।

(চলবে )
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৯১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০৫/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • suman ১৬/০৫/২০১৮
    সুপ্রিয় কবি
    আপনি আরো লিখুন ,
    কৃতি লেখকদের লেখা আরো পড়ুন ......
    আপনার লেখা উত্তোরত্তর সমৃদ্ধ হোক এই প্রত্যাশা রইলো ......
  • এমন যদি হতো তবে কতই না ভালো হতো।
  • খুবই ভালো তবে বানানের দিকে নজর দিতে হবে ॥
  • best composition.

    কিন্তু বানানের ব্যাপারে আরো তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়া দরকার ।
    তাহলে আরো প্রাণবন্ত হবে রচনা । ধন্যবাদ রইলো ।
  • অসাধারন।
 
Quantcast