আমি ও স্বদেশে ভাবান্তর ১
বাংলা: ২১ ভাদ্র শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ইংরেজি: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
হিজরি: ১২ রবি উল আওয়াল ১৪৪৭ হিজরি
অনেক ভাবনার পরে লিখতে বসলাম। দিন ভালোই আজ শুক্রবার তবে আমি কি ভালো তা জানা নেই। মানুষ ভাবে এক আর হয় এক।যা ভাবনা চিন্তার-বাহিরে থাকে প্রায় সময় ।
এই যে আজ শুরু করেছি এর শেষ কোথায় জানি না। আদৌ শেষ হবে কি না। প্রশ্ন জাগে আমার নিজের কাছে।
আমি কখনো এতো গোছানো মানুষ নই।সংসার জীবনে সুখ যেন শরতের আকাশ , তবে সীমাহীন নয় যে ক্ষুয়ে যাবে। সাহিত্যের জগতে আমি রবীন্দ্রনাথের গুটি কয়েক কবিতা পড়েছি। যা আমায় মুগ্ধ করেছে। আমি মোটামুটি নবম,দশম থেকেই কবিতা লিখা শুরু করি।
সোনার তরী কবিতা আমি একাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে পড়ি বেশ ভালো লাগে ২০১১সালের দিকে।
আসলে আমরা যারা এই বয়সে প্রেমে পড়ি,তারা বেশির ভাগই প্রেমিক ফুর্তিবাজ।
বিষয় টা এমন যে কাকপুষ্ট। কোকিল ডিম পাড়ল কাকের বাসায়। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বড় হয়ে কোকিল হয়ে যায়। কাক বেচারা খুবি ধুকা খায়।
বাংলা সাহিত্যে অনেকই গুরু মনে করেন রবি ঠাকুরকে। দোষের কিছু নয় এটা। ভাবনা ধারণার বাহিরেও মানুষের জীবন অন্য রকম হয়। তিনি ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান। যা প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
এক শতাব্দী পর নামে আমি একটা কবিতাও লিখেছিলাম। কিন্তু এক শতাব্দী পর রবি ঠাকুর কি সেই স্থানে রইলেন।
২০২৪ এর আন্দলোনের সময় আমি কিছু দিন বাবার বাড়ি ছিলাম আমার ব্যক্তি গত জীবনেও ঝড় আসে। জীবন থাকলেই ঝড় আসবেই এটাই নিয়ম। পরীক্ষার খাতার মতো জীবন খাতায় পরীক্ষা দিতে হয়। আল্লাহ সব সময় উত্তম বিচারকারী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রায় উত্তাল সারা দেশ। আমদের শহর ও উত্তাল। ১৯ জুলাই আমি শ্বশুর বাড়ি আসি। এর পর থেকেই দেশে নামে আর্মি সিলেট শহরের আম্বর খানা থেকে শুরু করে সাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। চলাচল একে বারেই বেকায় দায় হয়ে পরে। অনেক দাঙ্গা হাঙ্গামাও হয়। ভারত থেকে আসে বিশেষ ফোর্স। যাদের বাদামি বা গোল্ডেন কালায় পেন্ট আর কালো শার্টে দেখা যায়।
আমার স্বামী প্রায় এক ব্যাক্তির ভিডিও দেখেন।এদেশের রাজনীতি সম্পর্কে উনার বেশ অনেক ধারণা ও সুনাম আছে।
তো আমি এক সন্ধ্যায় তাকে দেখলাম উনার ভিডিও দেখতে। বললাম উনি কে?? তুই জানছ না একে?? ইনি হলেন বিজ্ঞ ব্যাক্তি যার কথার তেজে মানুষ বলিষ্ঠ।
হাসিনারে বাশ দিব। তুই দেখিছ আমার কথা। আমি হাসি দিয়ে বললাম আইসে বাশ দিত। শকুনের হায়াত বেশি জানও না। জালিম মরে না সকাল।
এই থেকেই আমার পিনাকি আংকেলের ভিডিও দেখা শুরু। আজও দেখি মনে বল। এই ক্ষুদ্র জীবনে মানুষের অনেক কিছুর প্রয়াস থাকে আমারও আছে। তাই লিখতে বসলাম, লিখা উচিত, নিজের জন্য হলে এটা সংগ্রহে রাখা প্রয়োজন।
উনার কথা শুনলে মনে হবে, এ জীবন যুদ্ধে যাবার জন্যই জন্ম। বীর তার বীরত্ব লিখবে শহীদের রক্তে, ভালোবাসায় মুড়িয়ে। এ যেন শেষ না হয়ে যায়।
মুল কথায় আসি, আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ফারুক,ওয়াসিম, শান্ত, রিয়াদ, ইসয়ামিন।
এদের জন্য চার লাইলনের বেশি লিখতে পারিনি। আবেগ এতো প্রবল হয়ে যায় আগাতে দেয় না আমায়। কি দিব তার উপমা, মাধুর্য খুঁজে পাইনা। আমি ব্যার্থ।
বাংলা সাহিত্যে রবি ঠাকুরের নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। যার পদচারণা রয়েছে সব জায়গায়।
কিন্তু এই রবি ঠাকুর এক কালে এতো বৎসনা করেছেন বাঙ্গালি মুসলিম ও নিম্ন শ্রেণির মানুষদের জানলে মনে হবে কেন এতো আধিক্যেতা তাকে নিয়ে।
রবি ঠাকুর বা হিন্দু প্রেম আমাদের কোথায় নিয়ে গেছে। জাতীয় সংগীত আমার ❝সোনার বাংলা ❞ কখনো আমাদের জন্য লেখা হয় নি।তবু্ও রবিন্দ্র প্রেমিক মানুষদের জন্য এটা হয়ে উঠলো জাতীয় সংগীত। ভারত বিভক্ত হওয়ার আগেই এটা লিখা হয়।
১৯০৫ সালে রবীন ঠাকুর কর্তৃক রচিত হয়েছিল। এটি মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন-এর পরিপ্রেক্ষিতে লেখা হয়েছিল এবং ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।
এটা গগন হরকরা বা গগন চন্দ্র দাস বাংলা লোকসঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত রচয়িতা ও বিশিষ্ট বাউল গীতিকার। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলার সুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংগ্রহ করেছিলেন গগন হরকরার রচিত একটি গানের সুর হতে। তার জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের শিলাইদহের নিকটস্থ আড়পাড়া গ্রামে। পেশা ছিল শিলাইদহ ডাকঘরে চিঠি বিলি করা। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার বিশেষ অন্তরঙ্গতা ছিল এবং প্রায়ই দুজনে রসালাপ ও সঙ্গীত চর্চা করতেন।রবীন্দ্রনাথ তার গুণমুগ্ধ ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের "যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক" ও "আমার সোনার বাংলা" গান দুটি, গগন হরকরার যথাক্রমে "ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে" ও "আমি কোথায় পাব তারে" গান দুটির সুর থেকে রচিত হয়।
‘চোখের বালি’-র প্লট নাকি চুরি করার— অভিযোগ শুনতে হয়েছিল রবীন্ ঠাকুরকে...
‘উড়িস নে রে পায়রা কবি
খোপের ভিতর থাক ঢাকা।
তোর বকবকম আর ফোঁস ফোঁসানি
তাও কবিত্বের ভাব মাখা!
তাও ছাপালি, গ্রন্থ হলো
নগদ মূল্য একটাকা!!’
১৮৮৮ সালে এই ব্যঙ্গ কবিতটি লিখলেন কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ। ‘মিঠে কড়া’ নামে ব্যঙ্গছড়ার বইতে এই যে ‘পায়রা কবি’-র কথা আছে, তিনি যদি কবিতার বই না ছাপাতেন, কালীপ্রসন্নের কী লাভ হতো জানা নেই, বাংলা সাহিত্যের বড়ো ক্ষতি হয়ে যেত। কারণ রাহু ছদ্মনাম নিয়ে কালীপ্রসন্ন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই লক্ষ করে ব্যঙ্গ ছড়াগুলি লিখেছিলেন। নিজের সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে জয়ন্তী অনুষ্ঠান হয়েছিল, তাতে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘এমন অনবরত, এমন অকুন্ঠিত, এমন অপ্রতিহত অসম্মাননা আমার মতো আর কোনো সাহিত্যিককেই সইতে হয়নি।’
সে এক সময় ছিল, কিশোর রবীন্দ্রনাথের নীল কবিতার খাতাটা ভরে উঠছিল কবিতায়। অথচ স্কুলের বন্ধুরা অনায়াসে সেই কবিতাকে ছাপার বই থেকে চুরি বলেই মনে করেছিল। তারপর লেখকজীবনের আনাচকানাচ থেকে বারবার ছুটে আসবে অভিযোগের বিষাক্ত তির। রবীন্দ্রনাথ যখন ‘রামমোহন রায়’ প্রবন্ধ লিখলেন ১৮৮৫ সালে, তখন মহেন্দ্রনাথ রায় রবীন্দ্রনাথের তিনটে দুষ্প্রবৃত্তি আবিষ্কার করলেন—
রামমোহনের চরিত্রহনন, অক্ষয় কুমার দত্তের ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় থেকে ভাবনা চুরি এবং বাংলা ভাষাকে কিম্ভূতকমাকার করে তোলা। রবীন্দ্রনাথের ‘কড়ি ও কোমল’ প্রকাশিত হলে কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ প্রায় কোমরে গামছা বেঁধে নেমে পড়েছিলেন রবীন্দ্রবিদূষণে। ‘সাহিত্যকল্পদ্রুম’ পত্রিকায় জনৈক খগেন্দ্রনাথ চাটুজ্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় ছন্দের ভুল ধরেছিলেন। আরেকজন সমালোচকের কথা মনে পড়ে— নিত্যকৃষ্ণ বসু! তিনি ‘নব্যভারত’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যের সনেটগুলির নিন্দা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘যিনি মানুষের সুখদুঃখের সঙ্গীত গাঁথিয়া ‘অমর আলয়’ রচনা করিতে চান, যুবতীর ‘স্তনের ছায়ায়’ শয়ন করে কেবল ‘অঞ্চলের বাতাস সেবন করিলে তাঁহার চলিবে না।’ হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি কুৎসিত ইঙ্গিত করে লিখে ফেলেছিলেন ‘প্রণয়ের পরিণাম’ নামের গল্প। ‘আমি বড় ঘরের ছোট ছেলে’— এই বলে কাহিনির আরম্ভ, গল্পের শেষে অনেক কুৎসিত ইঙ্গিতের পর আছে।
১৩০৮ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথের সম্পাদনায় নবপর্যায় বঙ্গদর্শন প্রকাশিত হয়। ‘সাহিত্য’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি বলেছিলেন, গর্হিত, অপবিত্র কাজ! রবীন্দ্রনাথের ভাষাকে বলেছিলেন, ‘ভ্যালসা!’ ‘চোখের বালি’-র প্লট আসলে পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উমা’থেকে চুরি করা— এমন অভিযোগও শুনতে হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে। সুরেশচন্দ্র সারাজীবন যত্ন নিয়ে রবীন্দ্র বিদূষণ করে গিয়েছেন।
এইবার রবীন্দ্র নিন্দুকদের দলে নাম লেখালেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। সরাসরি অভিযোগের মুষল আঘাত করলেন রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতার উপর। বললেন, ‘সুর নাই, তাল নাই, অথচ এই কবিতা পড়িয়া তাঁহার অন্ধ ভক্তগণ মোহিত।’ দ্বিজেন্দ্রলাল গলা চড়িয়ে বললেন, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য দুর্নীতির সাহিত্য, তাঁর সাহিত্যের প্রেম— টপ্পার প্রেম! তাঁর গান — লাম্পট্য। রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রাঙ্গদা’ সম্পর্কে দ্বিজেন্দ্রলালের শেষ কথা— ‘এ পুস্তকখানি দগ্ধ করা উচিত।’ রবীন্দ্রনাথকে ব্যঙ্গ করে লিখেছিলেন, ‘আনন্দ বিদায়’ নাটক। কিন্তু এই নাটক অভিনয়ের শেষে দ্বিজেন্দ্রলালকে জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল।
জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিবিধরকম নিন্দা ঘিরে ছিল রবীন্দ্রনাথকে। বিপিনচন্দ্র পাল রবীন্দ্রসাহিত্যে নিয়ে এলেন বস্তুতন্ত্রহীনতার অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন যে, ‘রবীন্দ্রনাথ শতরঞ্চগালিচা মণ্ডিত ত্রিতল প্রাসাদকক্ষে বসিয়া মানসচক্ষে কর্দমপিচ্ছিল পল্লীপথ প্রত্যক্ষ করিয়াছেন।’ অমরেন্দ্রনাথ রায় বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের পক্ষে রাজনৈতিক বা ভাষাতাত্ত্বিক লেখা হল অনধিকার চর্চা। ‘জীবনস্মৃতি’ দুর্বোধ্য। অনেকে বলতেন, রবীন্দ্রনাথের ভারতবর্ষের ইতিহাসের ধারা নাকি ভাষার বিচ্যুতি। চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পাদিত ‘নারায়ণ’ পত্রিকায় বিপিনচন্দ্র পাল ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটিকে ব্যঙ্গ করে লিখলেন ‘মৃণালের কথা’, যা আসলে মৃণালকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা।’ আসলে প্রথাগত ধারণার বাইরে যখনই কিছু বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, কটূক্তি এসেছে। রাধাকমল মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে ইস্কুল মাস্টারি করেন। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল— অমরেন্দ্রনাথ রায়ের ‘রবিয়ানা’! তিনি বলেছিলেন, সুবিধাবাদী যেমন মিনিটে মিনিটে মতান্তরে গড়াইয়া চলে, রবীন্দ্রনাথও তেমনি গড়াইতেছেন। অমরেন্দ্রনাথ বলেছিলেন— ‘Oh Inconsistency! Thy name is Rabindranath.’ ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা রবীন্দ্রনাথের পক্ষে ছিল। তাই রবীন্দ্রনাথকে বলা হল, ‘সবুজতন্ত্রের পুরোহিত’। রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস তকমা পেল— উদ্দাম কামপ্রবৃত্তির পোশাকি রূপের। রবীন্দ্রনাথের যখন বাষট্টি বছর বয়স, তখন ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগ তাঁকে আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তা খুবই বেদনাদায়ক ছিল। এরপর নিন্দার ভূমিতে অবতীর্ণ হল ‘কল্লোল’ পত্রিকা। রবীন্দ্রনাথকে সরাসরি অস্বীকার করেই কল্লোলের সাহিত্য আন্দোলন।
---চলবে
ইংরেজি: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
হিজরি: ১২ রবি উল আওয়াল ১৪৪৭ হিজরি
অনেক ভাবনার পরে লিখতে বসলাম। দিন ভালোই আজ শুক্রবার তবে আমি কি ভালো তা জানা নেই। মানুষ ভাবে এক আর হয় এক।যা ভাবনা চিন্তার-বাহিরে থাকে প্রায় সময় ।
এই যে আজ শুরু করেছি এর শেষ কোথায় জানি না। আদৌ শেষ হবে কি না। প্রশ্ন জাগে আমার নিজের কাছে।
আমি কখনো এতো গোছানো মানুষ নই।সংসার জীবনে সুখ যেন শরতের আকাশ , তবে সীমাহীন নয় যে ক্ষুয়ে যাবে। সাহিত্যের জগতে আমি রবীন্দ্রনাথের গুটি কয়েক কবিতা পড়েছি। যা আমায় মুগ্ধ করেছে। আমি মোটামুটি নবম,দশম থেকেই কবিতা লিখা শুরু করি।
সোনার তরী কবিতা আমি একাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে পড়ি বেশ ভালো লাগে ২০১১সালের দিকে।
আসলে আমরা যারা এই বয়সে প্রেমে পড়ি,তারা বেশির ভাগই প্রেমিক ফুর্তিবাজ।
বিষয় টা এমন যে কাকপুষ্ট। কোকিল ডিম পাড়ল কাকের বাসায়। সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বড় হয়ে কোকিল হয়ে যায়। কাক বেচারা খুবি ধুকা খায়।
বাংলা সাহিত্যে অনেকই গুরু মনে করেন রবি ঠাকুরকে। দোষের কিছু নয় এটা। ভাবনা ধারণার বাহিরেও মানুষের জীবন অন্য রকম হয়। তিনি ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল পুরষ্কার পান। যা প্রকাশিত হয়েছিলো ১৯১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
এক শতাব্দী পর নামে আমি একটা কবিতাও লিখেছিলাম। কিন্তু এক শতাব্দী পর রবি ঠাকুর কি সেই স্থানে রইলেন।
২০২৪ এর আন্দলোনের সময় আমি কিছু দিন বাবার বাড়ি ছিলাম আমার ব্যক্তি গত জীবনেও ঝড় আসে। জীবন থাকলেই ঝড় আসবেই এটাই নিয়ম। পরীক্ষার খাতার মতো জীবন খাতায় পরীক্ষা দিতে হয়। আল্লাহ সব সময় উত্তম বিচারকারী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রায় উত্তাল সারা দেশ। আমদের শহর ও উত্তাল। ১৯ জুলাই আমি শ্বশুর বাড়ি আসি। এর পর থেকেই দেশে নামে আর্মি সিলেট শহরের আম্বর খানা থেকে শুরু করে সাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। চলাচল একে বারেই বেকায় দায় হয়ে পরে। অনেক দাঙ্গা হাঙ্গামাও হয়। ভারত থেকে আসে বিশেষ ফোর্স। যাদের বাদামি বা গোল্ডেন কালায় পেন্ট আর কালো শার্টে দেখা যায়।
আমার স্বামী প্রায় এক ব্যাক্তির ভিডিও দেখেন।এদেশের রাজনীতি সম্পর্কে উনার বেশ অনেক ধারণা ও সুনাম আছে।
তো আমি এক সন্ধ্যায় তাকে দেখলাম উনার ভিডিও দেখতে। বললাম উনি কে?? তুই জানছ না একে?? ইনি হলেন বিজ্ঞ ব্যাক্তি যার কথার তেজে মানুষ বলিষ্ঠ।
হাসিনারে বাশ দিব। তুই দেখিছ আমার কথা। আমি হাসি দিয়ে বললাম আইসে বাশ দিত। শকুনের হায়াত বেশি জানও না। জালিম মরে না সকাল।
এই থেকেই আমার পিনাকি আংকেলের ভিডিও দেখা শুরু। আজও দেখি মনে বল। এই ক্ষুদ্র জীবনে মানুষের অনেক কিছুর প্রয়াস থাকে আমারও আছে। তাই লিখতে বসলাম, লিখা উচিত, নিজের জন্য হলে এটা সংগ্রহে রাখা প্রয়োজন।
উনার কথা শুনলে মনে হবে, এ জীবন যুদ্ধে যাবার জন্যই জন্ম। বীর তার বীরত্ব লিখবে শহীদের রক্তে, ভালোবাসায় মুড়িয়ে। এ যেন শেষ না হয়ে যায়।
মুল কথায় আসি, আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ফারুক,ওয়াসিম, শান্ত, রিয়াদ, ইসয়ামিন।
এদের জন্য চার লাইলনের বেশি লিখতে পারিনি। আবেগ এতো প্রবল হয়ে যায় আগাতে দেয় না আমায়। কি দিব তার উপমা, মাধুর্য খুঁজে পাইনা। আমি ব্যার্থ।
বাংলা সাহিত্যে রবি ঠাকুরের নাম উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। যার পদচারণা রয়েছে সব জায়গায়।
কিন্তু এই রবি ঠাকুর এক কালে এতো বৎসনা করেছেন বাঙ্গালি মুসলিম ও নিম্ন শ্রেণির মানুষদের জানলে মনে হবে কেন এতো আধিক্যেতা তাকে নিয়ে।
রবি ঠাকুর বা হিন্দু প্রেম আমাদের কোথায় নিয়ে গেছে। জাতীয় সংগীত আমার ❝সোনার বাংলা ❞ কখনো আমাদের জন্য লেখা হয় নি।তবু্ও রবিন্দ্র প্রেমিক মানুষদের জন্য এটা হয়ে উঠলো জাতীয় সংগীত। ভারত বিভক্ত হওয়ার আগেই এটা লিখা হয়।
১৯০৫ সালে রবীন ঠাকুর কর্তৃক রচিত হয়েছিল। এটি মূলত ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন-এর পরিপ্রেক্ষিতে লেখা হয়েছিল এবং ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২ তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।
এটা গগন হরকরা বা গগন চন্দ্র দাস বাংলা লোকসঙ্গীতশিল্পী, সঙ্গীত রচয়িতা ও বিশিষ্ট বাউল গীতিকার। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলার সুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংগ্রহ করেছিলেন গগন হরকরার রচিত একটি গানের সুর হতে। তার জন্ম বর্তমান বাংলাদেশের শিলাইদহের নিকটস্থ আড়পাড়া গ্রামে। পেশা ছিল শিলাইদহ ডাকঘরে চিঠি বিলি করা। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার বিশেষ অন্তরঙ্গতা ছিল এবং প্রায়ই দুজনে রসালাপ ও সঙ্গীত চর্চা করতেন।রবীন্দ্রনাথ তার গুণমুগ্ধ ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের "যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক" ও "আমার সোনার বাংলা" গান দুটি, গগন হরকরার যথাক্রমে "ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে" ও "আমি কোথায় পাব তারে" গান দুটির সুর থেকে রচিত হয়।
‘চোখের বালি’-র প্লট নাকি চুরি করার— অভিযোগ শুনতে হয়েছিল রবীন্ ঠাকুরকে...
‘উড়িস নে রে পায়রা কবি
খোপের ভিতর থাক ঢাকা।
তোর বকবকম আর ফোঁস ফোঁসানি
তাও কবিত্বের ভাব মাখা!
তাও ছাপালি, গ্রন্থ হলো
নগদ মূল্য একটাকা!!’
১৮৮৮ সালে এই ব্যঙ্গ কবিতটি লিখলেন কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ। ‘মিঠে কড়া’ নামে ব্যঙ্গছড়ার বইতে এই যে ‘পায়রা কবি’-র কথা আছে, তিনি যদি কবিতার বই না ছাপাতেন, কালীপ্রসন্নের কী লাভ হতো জানা নেই, বাংলা সাহিত্যের বড়ো ক্ষতি হয়ে যেত। কারণ রাহু ছদ্মনাম নিয়ে কালীপ্রসন্ন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই লক্ষ করে ব্যঙ্গ ছড়াগুলি লিখেছিলেন। নিজের সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে যে জয়ন্তী অনুষ্ঠান হয়েছিল, তাতে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘এমন অনবরত, এমন অকুন্ঠিত, এমন অপ্রতিহত অসম্মাননা আমার মতো আর কোনো সাহিত্যিককেই সইতে হয়নি।’
সে এক সময় ছিল, কিশোর রবীন্দ্রনাথের নীল কবিতার খাতাটা ভরে উঠছিল কবিতায়। অথচ স্কুলের বন্ধুরা অনায়াসে সেই কবিতাকে ছাপার বই থেকে চুরি বলেই মনে করেছিল। তারপর লেখকজীবনের আনাচকানাচ থেকে বারবার ছুটে আসবে অভিযোগের বিষাক্ত তির। রবীন্দ্রনাথ যখন ‘রামমোহন রায়’ প্রবন্ধ লিখলেন ১৮৮৫ সালে, তখন মহেন্দ্রনাথ রায় রবীন্দ্রনাথের তিনটে দুষ্প্রবৃত্তি আবিষ্কার করলেন—
রামমোহনের চরিত্রহনন, অক্ষয় কুমার দত্তের ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় থেকে ভাবনা চুরি এবং বাংলা ভাষাকে কিম্ভূতকমাকার করে তোলা। রবীন্দ্রনাথের ‘কড়ি ও কোমল’ প্রকাশিত হলে কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ প্রায় কোমরে গামছা বেঁধে নেমে পড়েছিলেন রবীন্দ্রবিদূষণে। ‘সাহিত্যকল্পদ্রুম’ পত্রিকায় জনৈক খগেন্দ্রনাথ চাটুজ্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় ছন্দের ভুল ধরেছিলেন। আরেকজন সমালোচকের কথা মনে পড়ে— নিত্যকৃষ্ণ বসু! তিনি ‘নব্যভারত’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যের সনেটগুলির নিন্দা করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘যিনি মানুষের সুখদুঃখের সঙ্গীত গাঁথিয়া ‘অমর আলয়’ রচনা করিতে চান, যুবতীর ‘স্তনের ছায়ায়’ শয়ন করে কেবল ‘অঞ্চলের বাতাস সেবন করিলে তাঁহার চলিবে না।’ হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি কুৎসিত ইঙ্গিত করে লিখে ফেলেছিলেন ‘প্রণয়ের পরিণাম’ নামের গল্প। ‘আমি বড় ঘরের ছোট ছেলে’— এই বলে কাহিনির আরম্ভ, গল্পের শেষে অনেক কুৎসিত ইঙ্গিতের পর আছে।
১৩০৮ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথের সম্পাদনায় নবপর্যায় বঙ্গদর্শন প্রকাশিত হয়। ‘সাহিত্য’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি বলেছিলেন, গর্হিত, অপবিত্র কাজ! রবীন্দ্রনাথের ভাষাকে বলেছিলেন, ‘ভ্যালসা!’ ‘চোখের বালি’-র প্লট আসলে পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উমা’থেকে চুরি করা— এমন অভিযোগও শুনতে হয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে। সুরেশচন্দ্র সারাজীবন যত্ন নিয়ে রবীন্দ্র বিদূষণ করে গিয়েছেন।
এইবার রবীন্দ্র নিন্দুকদের দলে নাম লেখালেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। সরাসরি অভিযোগের মুষল আঘাত করলেন রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতার উপর। বললেন, ‘সুর নাই, তাল নাই, অথচ এই কবিতা পড়িয়া তাঁহার অন্ধ ভক্তগণ মোহিত।’ দ্বিজেন্দ্রলাল গলা চড়িয়ে বললেন, রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য দুর্নীতির সাহিত্য, তাঁর সাহিত্যের প্রেম— টপ্পার প্রেম! তাঁর গান — লাম্পট্য। রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রাঙ্গদা’ সম্পর্কে দ্বিজেন্দ্রলালের শেষ কথা— ‘এ পুস্তকখানি দগ্ধ করা উচিত।’ রবীন্দ্রনাথকে ব্যঙ্গ করে লিখেছিলেন, ‘আনন্দ বিদায়’ নাটক। কিন্তু এই নাটক অভিনয়ের শেষে দ্বিজেন্দ্রলালকে জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল।
জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিবিধরকম নিন্দা ঘিরে ছিল রবীন্দ্রনাথকে। বিপিনচন্দ্র পাল রবীন্দ্রসাহিত্যে নিয়ে এলেন বস্তুতন্ত্রহীনতার অভিযোগ। তিনি বলেছিলেন যে, ‘রবীন্দ্রনাথ শতরঞ্চগালিচা মণ্ডিত ত্রিতল প্রাসাদকক্ষে বসিয়া মানসচক্ষে কর্দমপিচ্ছিল পল্লীপথ প্রত্যক্ষ করিয়াছেন।’ অমরেন্দ্রনাথ রায় বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথের পক্ষে রাজনৈতিক বা ভাষাতাত্ত্বিক লেখা হল অনধিকার চর্চা। ‘জীবনস্মৃতি’ দুর্বোধ্য। অনেকে বলতেন, রবীন্দ্রনাথের ভারতবর্ষের ইতিহাসের ধারা নাকি ভাষার বিচ্যুতি। চিত্তরঞ্জন দাশ সম্পাদিত ‘নারায়ণ’ পত্রিকায় বিপিনচন্দ্র পাল ‘স্ত্রীর পত্র’ গল্পটিকে ব্যঙ্গ করে লিখলেন ‘মৃণালের কথা’, যা আসলে মৃণালকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা।’ আসলে প্রথাগত ধারণার বাইরে যখনই কিছু বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, কটূক্তি এসেছে। রাধাকমল মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে ইস্কুল মাস্টারি করেন। ১৩২৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল— অমরেন্দ্রনাথ রায়ের ‘রবিয়ানা’! তিনি বলেছিলেন, সুবিধাবাদী যেমন মিনিটে মিনিটে মতান্তরে গড়াইয়া চলে, রবীন্দ্রনাথও তেমনি গড়াইতেছেন। অমরেন্দ্রনাথ বলেছিলেন— ‘Oh Inconsistency! Thy name is Rabindranath.’ ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা রবীন্দ্রনাথের পক্ষে ছিল। তাই রবীন্দ্রনাথকে বলা হল, ‘সবুজতন্ত্রের পুরোহিত’। রবীন্দ্রনাথের ‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস তকমা পেল— উদ্দাম কামপ্রবৃত্তির পোশাকি রূপের। রবীন্দ্রনাথের যখন বাষট্টি বছর বয়স, তখন ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগ তাঁকে আক্রমণ করে। রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তা খুবই বেদনাদায়ক ছিল। এরপর নিন্দার ভূমিতে অবতীর্ণ হল ‘কল্লোল’ পত্রিকা। রবীন্দ্রনাথকে সরাসরি অস্বীকার করেই কল্লোলের সাহিত্য আন্দোলন।
---চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রবিউল হাসান ১৮/০৯/২০২৫অনেক দীর্ঘ লেখা। বিশ্লেষণ ধর্মী। ধৈর্য্য নিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে।