www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ইউনিক ডিজাইনের নামে পদ্ম ফুলের ব্যবহার

পদ্ম ফুলঃ আধুনিকতার ছোঁয়ায় পদ্ম ফুল হয়ে উঠেছে একটা ট্রেন্ড। হাতের মেহেদি থেকে শুরু করে গলার মালা বা চৌকারে পদ্ম ফুলের ব্যবহার এখন অহরহই হচ্ছে। মুসলিম হিসেবে এই এটা কি আমাদের ব্যবহার উচিত। কার কেমন ভাবনা আমার জানা নেই তবে এই ডিসাইনের অলংকার পরিধানের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত। পদ্ম ফুল কচিত চৌকার এখন খুবি জনপ্রিয়। বিয়ে থেকে শুরু করে সর্ব ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। যা আমাদের জীবনের প্রিয়,পবিত্র মূহুর্ত গুলোতে প্রত্যক্ষ বা পারোক্ষ প্রভাব বিস্তার করছে ।

আসুন জেনে নেই হিন্দু ধর্ম মতে পদ্ম ফুল কি কাজে বা কিসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহব্যবহৃত হয়।
হিন্দু মতবাদ অনুযায়ী, পদ্ম একটি পবিত্র ফুল যা সৃষ্টি, বিশুদ্ধতা, সৌভাগ্য, এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। এটি ভগবান বিষ্ণুর নাভি থেকে নিঃসৃত পদ্ম হিসেবে বর্ণিত, যার উপর ব্রহ্মা বসে ছিলেন। পদ্ম দেবী লক্ষ্মীর প্রিয় ফুল এবং তাঁর আসন, এবং দেবী সরস্বতীর আসনও। পদ্মকে খারাপ পরিবেশ থেকে উঠে এসেও পবিত্র থাকার প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। 

সৃষ্টি ও ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক:
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর নাভি থেকে একটি পদ্মফুল বেরিয়েছিল। 
এই পদ্মের উপর বসে ব্রহ্মা সৃষ্টি করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। 
পদ্ম ফুলকে কখনও কখনও মহাবিশ্বের প্রতীক হিসেবেও বর্ণনা করা হয়, যা মহাবিশ্বকে ধারণ করে। 
দেবী লক্ষ্মী ও সরস্বতীর আসন: 
দেবী লক্ষ্মী, যিনি ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী, পদ্মের উপর আসীন থাকেন। তাই পদ্মকে তাঁর প্রিয় ফুল এবং আসন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিদ্যার দেবী সরস্বতীরও আসন হলো পদ্ম।

অন্যান্য তাৎপর্য:
বিভিন্ন হিন্দু ধর্মানুষ্ঠানে, বিশেষত দুর্গাপূজায়, পদ্মফুল ব্যবহার করা হয়। 
অনেক সময় ১০৮টি পদ্ম দিয়ে মায়ের পায়ে পুজো করা হয়, যেখানে ১০৮ সংখ্যাটিও গুরুত্বপূর্ণ। 
পদ্মকে প্রায়শই দেব-দেবীদের শিল্পকর্মে আসন (পদ্মাসন) হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

এই তথ্য অনুযায়ী আমাদের মুসলিম হিসেবে পদ্ম ফুলের অলংকার বা কাপড় ব্যবহার করা কত খানি উচিত বলে মনে হয়।
আমার মতে এই পদ্ম অলংকার ব্যবহার উচিত নয়। প্রথমতো আমি মুসলিম হয়ে অন্য ধর্মের প্রতিকি জিনিস ব্যবহার করতে পারি না। এর যতেষ্ট কারণ ও রয়েছে । এর যে জনপ্রিয়তা আর প্রভাব রয়েছে মুসলিম কোনো ধাচের অলংকার কি কোনো হিন্দুরা পরিধান করবেন,নিশ্চয়ই না।
ইসলামে শিরক বা অংশীদার করা নিষিদ্ধ, এবং অন্য ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহার এই নীতির পরিপন্থী হতে পারে। ইসলামের বিশ্বাস এবং প্রতীকের ব্যবহার সম্পর্কিত কঠোর বিধানের কারণে, মুসলিমদের জন্য অন্য ধর্মের প্রতীক ব্যবহার করা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও শরিয়া আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। 
আমি এটাকে সাংঘর্ষিক বলছি না। তবে এটা শিরকের কাছে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের অজান্তে। আল্লাহ সবাইকে যেন আরো সচেতন করেন।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ২১৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/০৯/২০২৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast