www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গতিহীন পথে

জীবনের পথ এতো ছোট, অথিচ, এই ছোটর মাঝে কত সুখ-কত অনন্দ,দুঃখ-বেদনার স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। মহিমার জীবন এর ব্যাতিক্রম ছিলো না। হাসি-খুশি মন, রঙ্গীন স্বপ্ন, হৈচৈ, বন্ধু-বান্ধব। এভাবে পার হয়ে যায় সময়। একদিন বন্ধু বেশে আসে একজন। গুছিয়ে কথা বলা, সাংগঠিক চিন্তাধারা, আগামীদিনের নীলাকাশ খুব ভালো লেগে যায়। তার বড় ঘর বাঁধতে ইচ্ছে করে। ইছে করে পাখী হয়ে আকাশে ঘুরে বেড়াতে।

একদিন এই অতিথী পাখী সুযোগ বুঝে কেটে পড়ে। ছুটে যায় শীতের দেশে নতুন খাদ্যের সন্ধানে। এব্ং পেয়েও যায়। অবশেষে উড়াল দেয় সুদুর সীমানায়। মহিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে। বিশ্বাসের অবিশ্বাস্য সময়গুলো তাকে পরিহাস করে। তার ডানাগুলো যায় ভেঙ্গে। অসহায় ভাবে পড়ে থাকে আপন ভূবনে। নিজেকে আর কষ্ট দিতে চায় না সে। সে জানে অবলা বলে কোন শব্দ নেই তার জীবনে। অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে। প্রতিশোধ নিতে মন কাঁদে বার বার। না কাউকে ঘায়েল করতে নয়। নিজেকে দাঁড় করাতে, জিদের বসে কোন এক পথিককে বেছে নেয়। ঘর হয়, সংসার হয়, এব্ং ঘরে আসে নতুন অতিথী। আহঃ কি অনন্দ, কি সুখ। হে সুখ তুমি এতো দিন কোথায় ছিলে? সুখগুলো আনন্দের নয় বড় কষ্টের।

চার বছর সাদা মেঘের ভেলায় কেটে যা দিন। পথিক একদিন খুঁজে পায় ফেসবুক। ফেসবুক রাজ্যে হাজার তারার মাঝে খুঁজে পায়, তার হারানো ছোটবেলার  খেলার সাথীকে। যাকে নিয়ে স্বপ্নবাসর রচেছে বহুবার। জানতে পারে তারও ঘর-সংসার-সন্তান আছে। নেই শুধু স্বামী। তারপর ঘনিষ্ঠতা। পথিকের মন আর মানে না। চার বছরের সুখের দুয়ায়রে লাথি  দিয়ে সেও পারি জমায়, পুরনো জামানায়, পুরনো প্রিয়ার বাসরে!

মহিমা তার চার বছরের চাঁদটিকে আগলে ধরে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। একদিন চাঁদকেও আকাশের পুঞ্জিভূত মেঘ ঢেকে ফেলে। মহিমা নিঃস্ব, অসহায়। চোখের নোনা জল শুকিয়ে হয়ে গেছে সাহারা মরুভূমি।
আজ সে একা বড়ই একা।

০৯/২৬/২০১৩
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৫৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অনেক দুঃখের হলেও বাস্তব চিত্র। বিপর্যয় কখনো কখনো উপর্যপুরি আসে। আবার এক সময় ঠিক হয়ে যায়। সুখের স্মৃতিগুলো প্রাধান্য পেলে জীবনের দুঃখগুলো তুচ্ছ হয়ে যায়। খুব ভালো একটা লেখা
  • দীপঙ্কর বেরা ২৯/০৯/২০১৩
    ভাবনা রেখে যায় মনে । জীবন পথে নিশ্চয় বাঁচার পথ পাওয়া যায় । সুবীর দা বানানটা দেখে নেবেন । অভ্র কি বোর্ডের spell checker এ লিখবেন । তারপর f7 প্রেস করে বানান ঠিক করা যায় ।
  • তিথি ২৮/০৯/২০১৩
    কবিরা মানুসের জিবনের কথা গুলু অনেক সহজে লিখ্তে পারে......।। ধন্যবাদ কবি
  • Înšigniã Āvî ২৭/০৯/২০১৩
    সুবীরদা, আমার পড়া আপনার অন্যতম সেরা লেখা,
    • অনেক অনেক ধন্যবাদ অভি।
    • Înšigniã Āvî ২৭/০৯/২০১৩
      বানানগুলো একটু দেখে নিন--- অতিথি, আনন্দ,

      চোখে লাগছে ।
  • নির্ঝর রাজু ২৭/০৯/২০১৩
    বাহ, অল্প কিছু লাইনে পরিচিত কিছু ঘটনার বিহব্বলতা প্রকাশ, অতপর ভিকটিমদের হাত ধরে তুলে আনা জীবনের পথে, দিয়ে সহস্র উৎসাহ যে, অবলা বলতে কিছু নাই|| একটা ঘটনা কখনোই আমাদের পুরো জীবনটাকে থামিয়ে দিতে পারেনা||
    দারুন দাদা!-
    বিনিত
 
Quantcast