www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ভিকটিম ( প্রথ্ম অংশ)

ভিকটিম ( প্রথ্ম অংশ)
সকালে নাস্তার টেবিলে বসে হঠাৎ কেমন আনমনা হয়ে যায় রিয়া। রিয়ার আট-নয় বছরের মেয়েটি মুনা প্রশ্ন করে মামনি, মামনি, মুন আংকেল কেন আর আসেনা? কেন আমাকে চকলেট কিনে দেয় না? তোমার সাথে কি আংকেলের ঝগড়া হয়েছে? রিয়ার দু’চোখ দিয়ে শ্রাবণ ধারায় জল গড়িয়ে পড়ে। মুনের কথা মনে উঠতেই কেমন অস্থির হয়ে ওঠে রিয়া। এক জীবনে কেমন করে ভুলবে সে মুনকে। রিয়ের তৃষ্ণার্ত শূন্য হৃদয়টা কানায় কানায় পূর্ণ করেছে মুন। জানিনা,জানিনা হঠাৎ কি হলো ওর। কেন ও আমাকে এবয়েট করতে চাইছে। আচ্ছা ওকি সত্যি আমাকে ভুলে যেতে চায়! পারবে ও আমাকে ভুলে যেতে। কোন মানুষের পক্ষে কি করে এটা সম্ভাব! ও তো মানুষ, ওর মাঝে দেখেছি আমি এক কোমল হৃদয়। আর তাইতো আমার সব কিছু উজাড় করে আমি ওকে ভালোবেসেছিলাম। মায়ের চোখে শ্রাবণের ধারা বইছে মুনা চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে মায়ের পাশে দাঁড়ায়। মায়ের মুখে চুমো এঁকে ছোট্ট হাতে চোখের পানি মুছে দেয়।
এই ডিজিটাল যুগে এখন কেউ আর প্রেমপত্র বা চিঠিতে লেখেনা। এখন ফেসবুক, ইমু, ভাইফার, স্কাইপি, কত কি আধুনিক প্রযুক্তি ,দূরের পৃথিবী এখন সবার হাতের মুঠোয়। তবু নীল খামে রিয়া মুনকে একটা চিঠি লিখেছিল। আজ অনেক দিন পর মুন চিঠিটা বারবার চোখ বুলাচ্ছে। বুকের সাথে স্বজোরে চেপে চেপে ধরছে। ‘রিয়া তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে তাইনা? হয়তো প্রাণ খুলে আমাকে অভিশাপ দিচ্ছ তাই না? দাও যত খুশি তুমি আমাকে অভিশাপ দাও। আজ যে এটাই আমার প্রাপ্য। রিয়া, রিয়া আমার তুমি কি ভাবছ আমি তোমার সাথে প্রতারণা করেছি? আমার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছ তুমি? না লক্ষ্মীটি প্রতারণা আমি তোমার সাথে করিনি। প্রতারণা তো আমি আমার নিজের সাথে করেছি। আজ ইচ্ছে করছে শাস্তি স্বরূপ নিজের জীবনটা শেষ করে দেই।
টেবিলের উপর ফোন বেজেই চলেছে। মুন খেয়াল করেও যেন খেয়াল করছেনা। বার বার ফোনটা বাজছে দেখে কিছুটা বিরক্তি হয়ে বলে উঃ এই ফোনটাও যেন হয়েছে কাল। মন খারাপ হলেও একটু স্বস্তি নেই। আঁছাড় মেরে কি ভেঙ্গে ফেলবো। উঠে যায় ফোনের কাছে। স্ক্রীন অবয়বে রিয়ার নাম্বার, বুকটা ছ্যাৎ করে ওঠে। কেটে দেয় ফোন না রিয়া তোমার সাথে আর কথা বলা আমার ঠিক হবে না। দু’দিন প্রাণ খুলে কাঁদো আর আমাকে গালাগাল করো, মন খুলে অভিশাপ দাও। জানি ধীরে ধীরে একদিন ভুলে যাবে আমাকে। তোমার আর অভির সংসারের মাঝে আমি অজাচিত কাঁটা।
রিয়া দু’নৌকায় পা রেখে কি করে পারে যাবে তুমি। তার থেকে এই কি ঢের ভালো না আমি তোমার পথ থেকে সরে দাঁড়াই। জানি এ জীবনে তোমাকে ভোলা আমার পক্ষে সম্ভব না। ফোন বাজতে থাকে আর মুন কাটাতে থাকে। ফোন বাজছে মুন কাটছে, ফোন বাজছে মুন কাটছে, ফোন বাজছে মুন কাটছে। শেষ পর্যন্ত হাঁফিয়ে উঠে উঃ বাবা এ নাছড় বান্দার হাত থেকে রেহাই নেই। ফোনটা এবার ধরতেই হয়।
-হ্যালো
-হ্যালো আংকেল আমি মুনা। তুমি ফোন ধরছ না কেন আংকেল?
মুনার কণ্ঠ কানে বাজতেই ঝর ঝর করে মুনের চোঝ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে। বা হাতে চোখ মুছে বলে, মামনি আমি ঘুম ছিলাম, ফোনটা সাইলেন্ট ছিলো তো তাই শুনতে পাইনি। এখন বলো তুমি কেমন আছ মামনি?
-ভালো নেই আংকেল।
-ভালো নেই, কেন কেন কি হয়েছে মামনি তোমার?
-আংকেল আমার কিছু হয়নি।
-তোমার কিছু হয়েনি? এই যে বললে তুমি ভালো নেই?
-হ্যাঁ বলেছি তো। এখনও বলছি ভালো নেই।
-কি হয়েছে মা? কেন ভালো নেই তুমি?
-আংকেল কি করে ভালো থাকি বলো? কত দিন হয় তুমি আমাদের বাড়িতে আসনা। আমাকে আদর করোনা মাকে আদর করোনা। মা শুধু কাঁদে আর কাঁদে। জানো আংলেক মা কাঁদলে আমার কিছুই ভালো লাগেনা।
-মামনি তোমার মা কাঁদছে?
-হ্যাঁ আংকেল।
-কেন কাঁডছে তোমার মা।
-বারে তুমি বুঝি কিচ্ছুটি বোঝনা তাই না? বোকা ছেলে, আমার মা তো তোমার জন্য কাঁদছে।
-আমার জন্য কাঁদছে?
-হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ। তোমার জন্য কাঁদছে।তুমি যে আমার মায়ের ভালোবাসা।
-এ তুমি কি বলছ মামনি?
-আংকেল আমি মানুষটা খুব ছোট কিন্তু আমি সব বুঝি। আমার বাবা আমার মাকে ভীষণ মারে। আর মায়ের সে ক্ষত স্থানে প্রলেপ দাও তুমি। বাবার দেওয়া সব আঘাতে তোমার চুমোর চিহ্ন লেগে আছে। আমার মায়ের ব্যথায় যদি কারো চোখে পানি আসে সে হচ্ছ তুমি।আমি বুঝতে পারছিনা হঠাৎ তোমার কি হলো। কেন তুমি আমাদের বাড়িতে আসো না। মা কি তোমাকে বকেছে আংকেল? বা যদি বকেও থাকি কিন্তু আমি তো তোমাকে বকিনি। আমিও তো তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমার জন্য হলেও তো একবার আসতে পারতে। আংকেল আমি রাখছি মা এদিকে আসছে তোমার সাথে কথা বলছি যদি মা বুঝতে পারে তো আমাকে খুব বকা দিবে।
রিয়া ডাকতে থাকে মুনাকে, মুনা এই মুনা কোথায় তুমি মা? তোমার স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি এসো। রাস্তায় যে জ্যাম শুরু হয়েছে আ্জ-কাজ বিশ মিনিটের পথ এক ঘণ্টাতেও শেষ হয় না।
-এই তো মামনি আসছি, জুতা পরছি।
-তাড়াতাড়ি করো মা।
-মামনি তোমার ফোন কথা বলো।
-কে ফোন দিয়েছে?
-মনে হয় মুন আংকেল।
-ফোনটা কেটে দাও এখন কথা বলার সময় নেই।
-মামনি ফোনটা কেটে দিলে আংকেল কষ্ট পাবেনা। বলো না এক মিনিট কথা।
-আংকেল কষ্ট পেলে তোমার কি তুমি চলো তো বাবা।
-মামনি তুমি আংকেলের উপর রাগ করেছ? রাগ করো না মামনি আমার আংকেল কত্ত ভালো।
-থাক তোমাকে আর ভালো মন্দের জ্ঞান দিতে হবে না।
-ওই দেখো ফোনটা আবার বাজছে, তুমি ফোনটা না ধরলে বারবার ফোন দিতেই থাকবে তো। মামনি তোমার হাতে এটা কিসের দাগ? বাপী রাতে আবার তোমার গায়ে হাত তুলেছিলো? উঃ মাগো আমি এতো ছোট মানুষ যে আমি পারিনা এর কোন সমাধান দিতে। কেন যে বাপী এতো নেশা করে। ভাললাগেনা আ্মার আর কোন কিছু ভালো লাগেনা ।
মুনের ফোনের অত্যাচারে শেষমেষ ফোন বন্ধ করে দেয় রিয়া। আর মনে মনে বলে কাপুরুষ, মেকি ভালোবাসা দেখিয়ে কি লাভ। দু’চোখের কোণায় শিশির বিন্দুর মত জল জমা হয়। কষ্টে বুক যেন ফেঁটে যাচ্ছে রিয়ার। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় না অভির সাথে এক সাদের নিচে আর থাকা সম্ভব না। মুনের সাথেও আর কোন দিন যোগাযোগ করবো না। আমার নিয়তি নিয়ে আমি চলে যাব দূরে এদের সীমানা ছেড়ে। অভি আমাকে সন্তান উপহার দিলেও ভালোবাসা কোনদিন দেইনি। আর মুন সন্তান না দিলেও ভালোবাসায় কানায় কানায় ভরে দিয়েছে জীবন। তবে কেন আমার এতো হাহাকার। এক জীবনে যা পেয়েছি এই তো অনেক এতুটুকুই বা পায় কয়জন। হায়রে বিধাতা কি তোমার লিলা, এক মুহুর্তে নারীকে তুমি মা বানাও পুরুষের এক ফোটা বির্যে। বানাও কলঙ্কিনী, সেখানে সুখ আছে কিনা তৃপ্তি আছে কিনা সেটা একবারও ভেবে দেখোনা তুমি। আচ্ছা নারীর ইচ্ছার যদি মূল্য তুমি নাই বা দাও তবে কেন তুমি নারী সৃষ্টি করেছিলে? সেই তো ভালো ছিলো শুধু আদম সৃষ্টি। আর সত্যি যখন তুমি হাওয়াকে সৃষ্টি করলে তখন ইবলিশের ধোকায় কেন ফেললে ? আমার যে কিছু ভালো লাগেনা।

রিয়া ফোন ধরছে না মুন মনে মনে বলে হুম বুঝতে পারেছি আর দূরে থাকা কিছুতেই সম্ভব না এবার মহারাণীর মান ভাঙ্গাতেই হবে। কিন্তু ওর হাজবেন্ড এখন কোথায় আছে কে জানে। ফোন ধরলে তো লোকেশন জেনে নেওয়া যেত। ধ্যাৎ এতো ভাবছি কেন? যেখানে থাকে থাক হাই রিক্স একটা নিয়েই ফেলি। না ওকে আর দূরে রাখতে চাইনা এবার ওকে আমার ঘরে তুলে আনার পালা। এভাবে আমি ওকেও ঠাকাচ্ছি নিজেও ঠকছি। ওই মাতালটা ওকে কারণে অকারণে মারছে আমি দেখছি ক্ষত স্থানে প্রলেপ দিচ্ছি কিন্তু কেন আমি আমার প্রেমিকাকে অন্যকে দিয়ে মার খাওয়াচ্ছি? আচ্ছা আমি কি রিয়াকে খাওয়া পরা দিতে অপারগ! ওকে এতো সুখ আমি দিতে পারছি, ও আমাকে কানায় কানায় সুখি করছে আর আমি …। আমিনা একটা ভিরু কাপুরুষ।
কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে মুন।রিয়া মুনাকে স্কুলে দিয়ে আর বাসায় ফেরেনা। মুনকে ওর বাড়ি থেকে রিয়ার কাছে এসে পৌছতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। মুনাকে স্কুলে নামিয়ে রিয়ে সোজা চলে যায় নদীর পাড়ে। সময়ের সাথে সাথে রোদ বাড়ছে, নদীর পাড় বেয়ে বেয়ে হাঁটছে রিয়া আর মনে মনে ভাবছে মুনাকে কোন নিঃসন্তান বাবা মায়ের কাছে দস্তক দিয়ে দিবো তারপর আমি গলায় কলসী বেঁধে নদীতে দিবো ডুব। সবাইকে অনেক জ্বালিয়েছি, এই পৃথিবী আমার জন্য অনেক জ্বলছে আর না। এখন সবাইকে ছুটি দিয়ে আমিও ছুটি নিয়ে চলে যাই তারার দেশে। মুমনার খুব কষ্ট হবে প্রথম দিকে ধীরে ধীরে আমার ছবি মুছে যাবে ওর মন থেকে।
মুন এসে দেখে রিয়ার ঘরে তালা ঝুলছে।কি করবে এখন রিয়া তো ফোনও বন্ধ করে রেখেছে। ফিরে যায় মুন কিছুক্ষণ বাদে আবার ফিরে আসে তখনও তালা ঝুলছে। মুন একটা হলুদ রঙের খাম দরজার নিচে রেখে চলে যায়। খামের উপরে লেখা থাকে রিয়া জানিনা এ চিঠি কার হাতে পড়ে তোমার হাতে পড়লে তো ভালো আর যদি অন্য কারো হাতে পড়ে তো কপালে দুর্ভগ আছে। কিন্তু তুমি ভয় পেওনা আমি তোমার আশেপাশেই আছি। মহামারি, ঝড়-তুফান অতিক্রম করে আজ আমি তোমাকে জয় করবো।
মুনার স্কুল ছুটির পরে মুনাকে নিয়ে কোচিং এ যায় রিয়া। রিয়ার ছোট ভাই তমাল আসে ওর বাসায়। দরজায় তালা ঝুলছে। ফোন বন্ধ গেলো কোথায় আপা! মনে পড়ে ওর কাছে তো একটা চাবি ছিলো আছে কি সেটা এখন মানি ব্যাগে।

মানিব্যাগ হাতড়াতে থাকে তমাল। চাবি খুঁজে পায়না। চলে যাবে ভাবে, হঠাৎ চোখ যায় দরজায়। কিছু একটা চোখে পড়ে।
-কি পড়ে আছে ওটা? যা থাকে থাক।
নিচে পা বাড়ায়। খটকা লাগে মনে। কি ওটা দেখি তো। কাগজটি বের করতে চেষ্টা করে আপ্রাণ ভাবে কিন্তু পারেনা। বের করতে গিয়ে আরো বেশি ঢুকে যায় ঘরের ভিতর। মাথায় তর্জনি ঠুকাতে থাকে কি করবে কি করবে এটা ভেবে। এর মধ্যে অভি মানে রিয়ার স্বামী আসে। তমালকে দাঁড়ানো দেখে বলে ও তুমি এসে গেছ শালা বাবু? তোমার আপা তোমাকে ফোন করেছে বুঝি আমাকে শাসাতে? ঘরে দেখছি আবার তালা ঝুলছে। তা তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন শালা বাবু। ভিতরে ঢুকো।
-দুলাভাই আপ্নার মাথাটাই গেছে। দরজায় তালা ঝুলছে চাবি আছে কি আপনার কাছে?
-ও হ্যাঁ আছে এই, এই, এই নাও চাবি।
-দুলাভাই এই দিনের বেলাতেও মদ খেয়েছেন?
-আরে মদ খেতে দিন আর রাত লাগে নাকি? ওটাই তো শ্রেষ্ঠ খাবার।
-আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গেলো কে?
-আরে অত যেনে তোমার কি লাভ তুমি দরজা খোল তো।
দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে আগে হলুদ খামটি উঠায় তমাল। অভি প্রশ্ন করে ওটা কি শালা বাবু
একটা খাম দুলাভাই পাকেট থেকে পড়ে গিয়েছিলো উঠাতে গিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়।
-দেখি দেখি কি আছে ওই খামে।
-সে কি দুলাভাই এটা তো আমার পার্সনাল জিনিস এটা তো আপনি দেখতে পারবেন না।
-এই তোমার আপা কোথায়?
-জানিনা তো দুলাভাই। মনে হয় মুনাকে নিয়ে কোচিং এ গেছে। এখন তো কোচিং টাইম।
-মুনা, মুনা কে?
-হায় আল্লাহ, মুনা কে তাও আপনার মনে নেই। মুনা আপনার এক মাত্র মেয়ে।
-আমার মেয়ের নাম তো মুনা না। আমার মেয়ের নাম তো নাবিলা বিন্তে অভি। ও মুনা হলো কবে থেকে।
-বুঝতে পেরেছি মাথা গেছে। অভি আপনার মেয়ের নাম কি ভাবে হয়? অভি তো আপনার নাম।
-আরে আমাকে জ্ঞান দিচ্ছ নাকি। অভির মেয়ে নাবিলা। নাবিলা বিন্তে অভি।
-হ্যাঁ হ্যাঁ আপনার মেয়ের নাম নাবিলা বিন্তে অভি। মুনা তো ওর ঢাক নাম, মুনা মান রেখেছে আমার আপা।
-কি, কি বললে তুমি। আমার রাখা নাম তার পছন্দ হয়েনি আজ আসুক ঘরে, নাম রাখাচ্ছি ওকে।
-ঠিক আছে এখন চলেন তো আপনাকে খাটে শুইয়ে দেই।
-এই এই এই ছোঁবে না আমাকে।
-আচ্ছা ছোঁব না।
-বেরিয়ে যাও তুমি আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও।
-যাচ্ছি বাবা যাচ্ছি আগে ঘরে তো চলেন। যত সব, কেন যে বাবা আপাকে এই মাতালের সাথে বিয়ে দিতে গিয়েছিলো আর আপাটাওনা মুখ বুঝে সব সহ্য করছে। আপার জায়গায় আমি হলে না একে......
রিয়া বাসায় ফেরে। খুব ক্লান্ত শরীর, মুখ দেখে মনে হচ্ছে কতকাল না খেয়ে আছে। এক বুক আশা নিয়ে তমাল এসেছিল রিয়ার বাসায়। বোন কে নিয়ে আজ ঘুরবে ফিরবে চাইনিজ খাবে কিন্তু সে আশা সব ধুলিসাৎ হয়ে গেলো। ....................এখনও শেষ হ্য়নি
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৮৩৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/১০/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মুক্তপুরুষ ০৪/১০/২০১৭
    অপেক্ষায় আছি……………
  • আজাদ আলী ০৪/১০/২০১৭
    Sundar galpa
  • ইতি টেনে দিলে ভাল হতো।
  • Tanju H ০৩/১০/২০১৭
    সুন্দর লিখনী,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,শুভেচ্ছা রইল।।
  • সমির প্রামাণিক ০৩/১০/২০১৭
    শেষের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইলো।
  • মধু মঙ্গল সিনহা ০৩/১০/২০১৭
    অন্তরিক ধন্যবাদ
 
Quantcast