গহীন বনের মুখোশ (৩য় পর্ব)
মুহূর্তের মধ্যে রুদ্রের বুকের ওপর আছড়ে পড়লো সেই ভয়ঙ্কর মুখোশ। নিশি ভয়ে চিৎকার করে ছুটে এলো, কিন্তু তার চোখের সামনে এক অবিশ্বাস্য দৃশ্য ঘটে গেলো-
মুখোশটা ধীরে ধীরে রুদ্রের মুখের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে!
রুদ্রের শরীর কাঁপছে, সে যেন নিজের ভেতরে এক অগ্নিকুণ্ড বয়ে নিয়ে চলেছে। নিশি তার হাত ধরে টানতে চেষ্টা করলো, কিন্তু অদৃশ্য শক্তি তাকে দূরে ছুঁড়ে ফেললো। হলঘরের দেয়াল কেঁপে উঠলো, আর সেই খোদাই করা প্রতীকগুলো একে একে জ্বলে উঠতে লাগলো লাল আগুনের মতো।
রুদ্রের কণ্ঠ গলগলিয়ে বের হলো, কিন্তু সেটা তার নিজের কণ্ঠস্বর নয়-
“আমি… ফিরে এসেছি…”
নিশির চোখে জল এসে গেলো। সে কাঁপতে কাঁপতে বললো-
“না! তুমি রুদ্র… তুমি ওর মতো হতে পারো না! ওটা তোমাকে গ্রাস করতে পারবে না…”
অন্ধকার মানবছায়া আবারও রূপ নিলো। তার কণ্ঠ ভেসে এলো শীতল বজ্রের মতো-
“সে এখন আমার বাহক। তার ভেতর ঘুমিয়ে থাকা শক্তি জেগে উঠেছে।”
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, রুদ্রের চোখে এক ঝলক প্রতিরোধের আলো জ্বলে উঠলো। সে হাঁটু গেড়ে বসে যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও, এক মুহূর্তের জন্য তার নিজের কণ্ঠ বের হলো-
“নিশি… আমাকে ছেড়ে যেও না…”
নিশি এগিয়ে এলো। কাঁপতে কাঁপতে তার হাত রাখলো রুদ্রের কাঁধে। ঠিক তখনই বেদির নিচ থেকে ফেটে উঠলো এক গোপন পথ। শীতল বাতাস বেরিয়ে এলো সেই ফাটল থেকে, সঙ্গে ভেসে এলো এক অজানা সুর-
যেন কারো আর্তনাদ আর প্রার্থনা মিলেমিশে আছে।
নিশি ভয়ে আর বিস্ময়ে থেমে গেলো। তার মনে হলো, এই পথটাই হয়তো মুক্তির চাবিকাঠি। সে চিৎকার করে বললো-
“রুদ্র! আমি জানি, তুমি এখনো আমার সঙ্গে আছো। আমাদের ওই পথেই নামতে হবে… ওটাই সত্যিকারের উত্তর।”
কিন্তু মুখোশ-অধিষ্ঠিত রুদ্র দাঁড়িয়ে গেলো। তার চোখে তখন কালো আগুন জ্বলছে। সে ধীরে ধীরে নিশির দিকে এগিয়ে এলো, আর অন্ধকার কণ্ঠ বললো-
“সে আমার। যদি তাকে বাঁচাতে চাও, তবে অন্ধকারের অন্তঃপুরে প্রবেশ করতে হবে।”
হলঘরের আলো নিভে গেলো। শুধু বেদির নিচের গোপন পথ থেকে নীলাভ শিখা ভেসে আসছিলো। নিশি দাঁড়িয়ে রইলো দোটানায়-
রুদ্রকে আঁকড়ে ধরবে, নাকি সেই গোপন পথ ধরে নামবে অজানা গভীরে?
বনের বুকজুড়ে তখন প্রতিধ্বনি হচ্ছিলো সেই ভয়ঙ্কর হাহাকার-
“বাহক নির্বাচিত হয়েছে… কিন্তু মুক্তি এখনো নির্ধারিত নয়…”
,,,,,,চলবে
🖊️ রবিউল হাসান
মুখোশটা ধীরে ধীরে রুদ্রের মুখের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে!
রুদ্রের শরীর কাঁপছে, সে যেন নিজের ভেতরে এক অগ্নিকুণ্ড বয়ে নিয়ে চলেছে। নিশি তার হাত ধরে টানতে চেষ্টা করলো, কিন্তু অদৃশ্য শক্তি তাকে দূরে ছুঁড়ে ফেললো। হলঘরের দেয়াল কেঁপে উঠলো, আর সেই খোদাই করা প্রতীকগুলো একে একে জ্বলে উঠতে লাগলো লাল আগুনের মতো।
রুদ্রের কণ্ঠ গলগলিয়ে বের হলো, কিন্তু সেটা তার নিজের কণ্ঠস্বর নয়-
“আমি… ফিরে এসেছি…”
নিশির চোখে জল এসে গেলো। সে কাঁপতে কাঁপতে বললো-
“না! তুমি রুদ্র… তুমি ওর মতো হতে পারো না! ওটা তোমাকে গ্রাস করতে পারবে না…”
অন্ধকার মানবছায়া আবারও রূপ নিলো। তার কণ্ঠ ভেসে এলো শীতল বজ্রের মতো-
“সে এখন আমার বাহক। তার ভেতর ঘুমিয়ে থাকা শক্তি জেগে উঠেছে।”
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, রুদ্রের চোখে এক ঝলক প্রতিরোধের আলো জ্বলে উঠলো। সে হাঁটু গেড়ে বসে যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও, এক মুহূর্তের জন্য তার নিজের কণ্ঠ বের হলো-
“নিশি… আমাকে ছেড়ে যেও না…”
নিশি এগিয়ে এলো। কাঁপতে কাঁপতে তার হাত রাখলো রুদ্রের কাঁধে। ঠিক তখনই বেদির নিচ থেকে ফেটে উঠলো এক গোপন পথ। শীতল বাতাস বেরিয়ে এলো সেই ফাটল থেকে, সঙ্গে ভেসে এলো এক অজানা সুর-
যেন কারো আর্তনাদ আর প্রার্থনা মিলেমিশে আছে।
নিশি ভয়ে আর বিস্ময়ে থেমে গেলো। তার মনে হলো, এই পথটাই হয়তো মুক্তির চাবিকাঠি। সে চিৎকার করে বললো-
“রুদ্র! আমি জানি, তুমি এখনো আমার সঙ্গে আছো। আমাদের ওই পথেই নামতে হবে… ওটাই সত্যিকারের উত্তর।”
কিন্তু মুখোশ-অধিষ্ঠিত রুদ্র দাঁড়িয়ে গেলো। তার চোখে তখন কালো আগুন জ্বলছে। সে ধীরে ধীরে নিশির দিকে এগিয়ে এলো, আর অন্ধকার কণ্ঠ বললো-
“সে আমার। যদি তাকে বাঁচাতে চাও, তবে অন্ধকারের অন্তঃপুরে প্রবেশ করতে হবে।”
হলঘরের আলো নিভে গেলো। শুধু বেদির নিচের গোপন পথ থেকে নীলাভ শিখা ভেসে আসছিলো। নিশি দাঁড়িয়ে রইলো দোটানায়-
রুদ্রকে আঁকড়ে ধরবে, নাকি সেই গোপন পথ ধরে নামবে অজানা গভীরে?
বনের বুকজুড়ে তখন প্রতিধ্বনি হচ্ছিলো সেই ভয়ঙ্কর হাহাকার-
“বাহক নির্বাচিত হয়েছে… কিন্তু মুক্তি এখনো নির্ধারিত নয়…”
,,,,,,চলবে
🖊️ রবিউল হাসান
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তাবেরী ২৭/০৯/২০২৫রহস্যময় গল্প
-
ফয়জুল মহী ২৪/০৯/২০২৫চমৎকার সৃজন । একরাশ মুগ্ধতা।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/০৯/২০২৫দুরন্ত লেখা