www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গহীন বনের মুখোশ

গভীর বনের ভেতরটা এক অদ্ভুত নীরবতায় আচ্ছন্ন। চারপাশে কেবল পাতার ফাঁকে হাওয়ার শব্দ, মাঝে মাঝে দূরের পেঁচার ডাক। রাত তখন প্রায় মধ্যরাত ছুঁইছুঁই। হঠাৎই রুদ্রের চোখে পড়লো একটি ঝিলমিল আলো-যেন গাছের ভেতর থেকে আসছে।

নিশি ফিসফিস করে বলল-
“রুদ্র, ওটা কি দেখছো? আলোটা গাছের ভেতর থেকে আসছে কেন?”

রুদ্র কাছে যেতেই টের পেলো, পুরোনো মহীরুহ গাছটার গোড়ায় এক ছোট ফাঁক। ফাঁক দিয়ে ভেতরে যেন অগ্নিকণার মতো ছোট ছোট আলোকবিন্দু নড়ছে। হাত বাড়িয়ে ফাঁকটা সরাতেই দেখা গেলো নিচে একটা সরু পথ, যেটা গাছের গুঁড়ি ভেদ করে নেমে গেছে মাটির নিচে।

তারা টর্চ জ্বালিয়ে ভেতরে নামতে শুরু করলো। মাটির নিচের পথটা সরু, ঠাণ্ডা আর ভেজা। কাঁপা কাঁপা আলোয় বোঝা যাচ্ছিল-দেয়ালগুলো পাথরে খোদাই করা অদ্ভুত প্রতীক আর হরফে ভরা।

নিশি থেমে গেলো-
“এই অক্ষরগুলো… আমি আগে কোথাও দেখেছি। কিন্তু কোথায়?”

ঠিক তখনই পথের শেষপ্রান্তে একটা দরজা দেখা গেলো। কাঠের, কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে অক্ষত। দরজার উপরে খোদাই করা আছে তিনটি চোখ।

রুদ্র কাঁপা গলায় বলল-
“নিশি… মনে হচ্ছে আমরা এমন কিছুর সামনে দাঁড়িয়ে আছি যেটা শত শত বছর ধরে কেউ খোলেনি।”

দরজাটা হালকা চাপ দিতেই শব্দ করে খুলে গেলো। ভেতরে দেখা গেলো একটি বিশাল হলঘর। মাঝখানে পাথরের বেদির উপর রাখা আছে এক অদ্ভুত কালো মুখোশ। মুখোশটার চোখের ফাঁকা জায়গা থেকে অন্ধকার ধোঁয়ার মতো কিছু বের হচ্ছিল।

নিশি এক পা পিছিয়ে গেলো-
“রুদ্র, এটা কোনো সাধারণ জিনিস নয়। মনে হচ্ছে… কারো উপস্থিতি আছে এখানে।”

হঠাৎই হলঘরের চারপাশের দেয়াল কেঁপে উঠলো, আর অদৃশ্য কণ্ঠস্বর গর্জে উঠলো,,,

“যে এই মুখোশ স্পর্শ করবে, সে আর মানুষ থাকবে না।”

চলবে---
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ২৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৯/২০২৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ফয়জুল মহী ১৩/০৯/২০২৫
    বেশ মনোমুগ্ধকর লিখেছেন কবি
 
Quantcast