www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সেই বৃদ্ধের আশ্রয় মিলেছে বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে

ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হওয়া অসুস্থ বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিনের অবশেষে আশ্রয় মিলেছে। এখন থেকে তিনি গাজীপুরের হোতাপাড়ায় অবস্থিত বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকবেন। ওই প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ তার দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। গতকাল বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিন এখনো কথা বলতে পারছেন না। এ দিকে ছয় দিন কেটে গেলেও অসহায় বৃদ্ধ লোকটির খোঁজে আসেনি তার সন্তানেরা।
রাজধানীর জুরাইনের রাস্তায় একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধারের পর থেকে বৃদ্ধ লোকটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে নিয়ে নয়া দিগন্তে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহল সহমর্মিতা জানাতে হাসপাতালে ছুটে যায়। তাদের মধ্যে বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধের দেখভালের দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দেখভালের দায়িত্বের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করে। বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান খতিব আবদুল জাহিদ মুকুল গতকাল বিকেলে ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিনকে নিয়ে যান। এ সময় তিনি বলেন, বৃদ্ধ লোকটি যত দিন বেঁচে থাকবেন, তত দিন তার দেখভালের দায়িত্ব পালন করবে পুনর্বাসন কেন্দ্র।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর জুরাইনে মুন্সিবাড়ির কাছে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কাছে একটি ডাস্টবিনের পাশে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে ছিলেন বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিন (৭০)। স্থানীয় ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান তাকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। কথা বলতে না পারলেও গিয়াস উদ্দিন ইশারায় জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তার বাড়ি। চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ছেলেরা তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে। কিন্তু চিকিৎসার বদলে তার ঠাঁই মেলে রাজধানীর জুরাইনে ডাস্টবিনের পাশে। পাষণ্ড ছেলেরাই তাকে ডাস্টবিনের পাশে ফেলে যায় বলে ইশারায় জানিয়েছেন বৃদ্ধ গিয়াস। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনে ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলে। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না, তবে চিকিৎসা পেয়ে কিছুটা উন্নতির দিকে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বার্ধক্য ও অপুষ্টিতে দুর্বল হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধ। সুস্থ হতে সময় লাগবে। এ দিকে ছয় দিন কেটে গেলেও বৃদ্ধলোকটির খোঁজে গতকাল পর্যন্ত সন্তানদের কেউ হাসপাতালে আসেনি।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৮৪০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৩/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast