www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব - ২

#নিরবান_নগর_বৌদ্ধ_বিহার

রাঙামাটির রির্জাভ বাজার থেকে নৌকা দিয়ে পনেরো বিশ মিনিট যাওয়ার পর নিরবান নগর বৌদ্ধ বিহারের কাছে এসে গাইড আমাদের নামার জন্য বলে। যেখান থেকে স্বর্ণ মূর্তি দৃশ্যমান ছিলো। কাছে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাই কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিলো। দেরি না করে তাইতো ছুটে চললাম স্বর্ণ মন্দিরের কাছে। যাত্রাকালে পাহাড়ি উঁচুনিচু সর্পিলাকার রাস্তা বৃষ্টির কারণে কাঁদায় পিচ্ছিল হয়ে ছিলো। ফলস্বরূপ অনেকে নৌকায় চলে যায়। একজনকে বলতে শুনলাম উপরে উঠার সময় নাকি কজন পিষলে পড়ে গেছে। আমি এতকিছু চিন্তা না করে মন্দিরের প্রাঙ্গণে ছুটে চললাম। খানিকটা উপরে ওঠার পরে একটা বাজার দেখলাম। সেখানে একটু ঘুরাঘুরি করে পাহাড়ি আনারস খেয়ে সম্মুখের দিকে রওনা হলাম। কাঁদার মধ্যে গর্ত হওয়া জায়গাতে সর্তকতার সাথে পা ফেলে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলাম। সাথে কিছুকিছু জায়গায় কাঠ দিয়ে সিঁড়ির মতো করা ছিলো। সেখান থেকে কিছুটা সরু হয়ে পথটা চলে গেছে স্বর্ণ মূর্তিটার দিকে। আমি মূর্তির অভিমুখে ছুটে চললাম দুইতিন মিনিট পরে সেখানে পৌঁছালাম। এর ইতিহাস বলতে গেলে, সোনালি রঙের জন্য একে স্বর্ন মন্দির বলে। মায়ানমার থেকে শিল্পী এনে এটি তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে এর কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। আর মন্দিরের অভ্যন্তরে কাঠের উপর অসাধারণ সুন্দর রিলিফ ভাষ্কর্য কর্ম মায়ানমারের কাঠের শিল্প-কর্মের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করায়। মন্দির চত্তরের গড়ুড় স্তম্ভ ও পাখি আপনাকে আকাশে ডাকবে। মন্দির থেকে দেখবেন কাপ্তাই লেকের নদীর নান্দনিক দৃশ্য আর চারপাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়ি জালের নেয় বিস্তৃত মিতালি। সত্যি বলতে কি জানেন তো, ঘুরতে গেলে যদি একটু এডবেঞ্চার না করা যায়। তাহলে রোমাঞ্চকর অনুভূতিটা অনুধাবন করতে পারা যায় না। তারপর সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে কর্ণফুলি নদীর পানিতে কাঁদা পরিষ্কার করে নৌকায় ওঠে পড়ি।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ১৬৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০৬/২০২২

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অনবদ‍্য
  • ভ্রমণ খুবই মজার।
 
Quantcast