www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পাতানো নির্বাচন

অতীতে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আমলে অনেকগুলো সংলাপ হয়েছে। কোনো সংলাপই সফল হয়নি। বরং সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার পর বিরোধী দল রাজপথে তুমুল গণআন্দোলন করেছে। কিন্তু এবার সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার পর কোনো রকম আন্দোলন না করেই ঐক্যফ্রন্ট ইলেকশনে চলে গেল। এর মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হয়।
ঐক্যফ্রন্ট ঐ তফসিল ১৫ দিন পিছিয়ে দিতে বলে। সেটিও নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করে। আর একটি দাবি ছিল, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন। সেটিও ইগনোর করা হয়। শেষ মুহূর্তে সেনাবাহিনী নামানো হয়। কিন্তু তাদেরকে রিটার্নিং অফিসার বা এ্যাসিসট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারের অধীনে ন্যাস্ত করা হয়। ফলে বিরোধী দলের নির্বাচনী গণসংযোগের ওপর যখন আওয়ামী লীগ ও পুলিশ হামলা করে তখনও সেনাবাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়।
তফসিল ঘোষণার পরেও হাজার হাজার গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিএনপির মধ্যম থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রায় সমস্ত নেতা যখন আত্মগোপনে তখন আওয়ামী লীগ মহাউৎসবে নিজেদের পোস্টার লাগিয়েছে এবং বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। নির্বাচনের অন্তত ৭ দিন আগেই সমস্ত পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী লীগ নিয়ে নিয়েছিল। তাদেরকে পেছন থেকে শক্তভাবে মদদ দেয় প্রশাসন।
এই পটভূমিতে নির্বাচনের যে ফলাফল হয়েছে তার চেয়ে আর বেটার ফলাফল কিভাবে আশা করা যায়?
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৪৩০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৬/০১/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast