গতানুগতিক
হাত বাড়ালেই বন্ধু --
রাজনীতি-খেলাধুলা-শিক্ষা-শিল্প সবক্ষেত্রেই
শুধু তালে তাল রেখে এগিয়ে চলা।
সেদিনটা ছিল ১০ই চৈত্র
বেলা ১২টা বেজে দশ
আমি দোতলার ঘরে কাগজ হাতে
সবে চোখ রাখছি শব্দছকে ...
বাইরে প্রচন্ড চিত্কারের শব্দ
বাঁচাও – বাঁচাও –
উঁকি মেরে দেখি একটা মানুষ
রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে গেছে
চেঁচামেচি-চিত্কারে ততক্ষনে
রাস্তায় ভীড় জমতে থাকে,
পতাকা হাতে দুই মোটরবাইকওয়ালা
কোথায় গেল ভীড়ের কেউই দেখলনা,
যেসব ঘরগুলোর জানালা-দরজা খোলা
ক্রমশ বন্ধ হলো,
রক্তে মাখামাখি চাকার দাগ ততক্ষনে জনতার পদতলে।
একটু পরেই সরব হল স্থানীয় মানুষ
কেউ বলল লোকটাকে চেনা চেনা লাগছে,
কেউ বলল না না , এখানকার কেউই না
কেউ বা বলল, কোনো বকাটে ছোকরা হবে
থানায় খবর গেল দূরভাষে
পাড়ার দাদারা এসে চেনার চেষ্টা করল
চেনার মত কোনো রং তার গায়ে ছিল না,
শুধু লাল রঙে রাস্তা রাঙা হল।
একটা দমকা হওয়ার মত ছুটে এল
একদল তরুণ
ওরা পাঁজা করে তুলে নিল কোলে –
একি ! এতো মাষ্টারদা !
এতদিন পরে এখানে - এভাবে !
তাড়াতাড়ি একটা ট্যাক্সি ধরে ওরা রওনা দিল
ডাক্তারের খোঁজে।
তারপর শুরুহল তাকে নিয়ে অনেক কথা --
কে এই মাষ্টারদা ! কোথা থেকে এলেন !
কেন এলেন ? কে তিনি ? কোন পার্টির ....?
সব প্রশ্নের উত্তর মিলল পরের দিন সকালে
কালো পতাকার নীচে কুমোরটুলি পাড়ায়।
তিনি কোনো পার্টির সদস্য ছিলেন না,
ছিলেন না কোনো উচ্চ শিক্ষিত মানুষ
না ছিলেন কোনো নাম করা ব্যক্তি
ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ ;
এক শিল্পী
একজন মুর্ত্তী তৈরীর কারীগর।
এইখানে একটা না-বলা কথা জানিয়ে রাখি
সেদিন অনেক রাত্রে হাসপাতাল থেকে ফিরে
খবরের কাগজে চোখ রাখবার পরও
শব্দ ছকের অক্ষর গুলো কালো রঙে
আজও হ-য-ব-র-ল....।
রাজনীতি-খেলাধুলা-শিক্ষা-শিল্প সবক্ষেত্রেই
শুধু তালে তাল রেখে এগিয়ে চলা।
সেদিনটা ছিল ১০ই চৈত্র
বেলা ১২টা বেজে দশ
আমি দোতলার ঘরে কাগজ হাতে
সবে চোখ রাখছি শব্দছকে ...
বাইরে প্রচন্ড চিত্কারের শব্দ
বাঁচাও – বাঁচাও –
উঁকি মেরে দেখি একটা মানুষ
রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে গেছে
চেঁচামেচি-চিত্কারে ততক্ষনে
রাস্তায় ভীড় জমতে থাকে,
পতাকা হাতে দুই মোটরবাইকওয়ালা
কোথায় গেল ভীড়ের কেউই দেখলনা,
যেসব ঘরগুলোর জানালা-দরজা খোলা
ক্রমশ বন্ধ হলো,
রক্তে মাখামাখি চাকার দাগ ততক্ষনে জনতার পদতলে।
একটু পরেই সরব হল স্থানীয় মানুষ
কেউ বলল লোকটাকে চেনা চেনা লাগছে,
কেউ বলল না না , এখানকার কেউই না
কেউ বা বলল, কোনো বকাটে ছোকরা হবে
থানায় খবর গেল দূরভাষে
পাড়ার দাদারা এসে চেনার চেষ্টা করল
চেনার মত কোনো রং তার গায়ে ছিল না,
শুধু লাল রঙে রাস্তা রাঙা হল।
একটা দমকা হওয়ার মত ছুটে এল
একদল তরুণ
ওরা পাঁজা করে তুলে নিল কোলে –
একি ! এতো মাষ্টারদা !
এতদিন পরে এখানে - এভাবে !
তাড়াতাড়ি একটা ট্যাক্সি ধরে ওরা রওনা দিল
ডাক্তারের খোঁজে।
তারপর শুরুহল তাকে নিয়ে অনেক কথা --
কে এই মাষ্টারদা ! কোথা থেকে এলেন !
কেন এলেন ? কে তিনি ? কোন পার্টির ....?
সব প্রশ্নের উত্তর মিলল পরের দিন সকালে
কালো পতাকার নীচে কুমোরটুলি পাড়ায়।
তিনি কোনো পার্টির সদস্য ছিলেন না,
ছিলেন না কোনো উচ্চ শিক্ষিত মানুষ
না ছিলেন কোনো নাম করা ব্যক্তি
ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ ;
এক শিল্পী
একজন মুর্ত্তী তৈরীর কারীগর।
এইখানে একটা না-বলা কথা জানিয়ে রাখি
সেদিন অনেক রাত্রে হাসপাতাল থেকে ফিরে
খবরের কাগজে চোখ রাখবার পরও
শব্দ ছকের অক্ষর গুলো কালো রঙে
আজও হ-য-ব-র-ল....।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।