www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এইটাই কি আমাদের আধুনিক সভ্যতা

তরুন তরুনীদের অসামাজিক কার্য কলাপের প্রধান বাহক হচ্ছে প্রেম। প্রেমের নাম দিয়ে ভালোবাসার দোহাই দিয়ে ঘুরতে যাচ্ছে বিভিন্ন পার্ক, রেস্টুরেন্টে ও নামিদামী হোটেলে । সেখানে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ, এইটাই কি আমাদের আধুনিক সভ্যতা


কত নারী-পুরুষ আজ বিয়ের আগে অবাধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরছে, প্রেম-ভালোবাসার দোহাই দিয়ে গড়ে উঠছে শারীরিক সম্পর্ক। যাদের অধিকাংশেরই বিয়ে হয়না। এদের মাঝে অনেকই আছেন যারা শারীরিক সম্পর্কের ফলে মানব ভ্রূণের জন্ম দিচ্ছেন এবং লোক লজ্জার ভয়ে সেই ভ্রুনকে পরিপক্ষ হবার আগেই মেরে ফেলছেন।

অ্যার্বোসান, ডিএন্ডসি, ভ্রুন নষ্ট, অকাল গর্ভপাত করানো, এগুলো এক সময় অপরিচিত শব্দ/বিষয় হলেও এটা এখন সবার কাছে পরিচিত বিষয়। চিকিৎসার সেবার নামে যত্র তত্র বাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠা এসব ক্লিনিক গুলো চলে কিভাবে? সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারিরা কখনও বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন।এখানে যে সব রুগী আসে তার অধিকাংশ অ্যার্বোসান, ডিএন্ডসি, ভ্রুন নষ্ট, অকাল গর্ভপাত করানোর মত ধর্মবিরধি, মানবতা বিরধি, সমাজ বিরধি, আইন বিরধি কাজের জন্য আসে। ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেফট্রিভস (ইমকন) রজঃপর্বতনি, সাইটোমিস নামের ওষধ এখন ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই হর হামেশাই যে কোন মেডিসিন সপে পাওয়া যায়। এর জন্য তরুণ তরুনীরা অসামাজিক কার্য কলাপে লিপ্ত হতে একটু কুন্ঠা বোধ করছেনা। সমস্য হলেই তো সমাধান হাতের নাগালে সেখানে ভয় কিসের।

মানুষের এমন অধপতনের জন্য পরিবার, অসুস্থ বিনোদন কে আমি প্রধান দায়ি করবো। বাবা-মা হিসেবে তাদের কর্তব্য তার সন্তান কি করছে, কোথায় যাচ্ছে তার খোজ নেয়া। সন্তানদের সুস্থ বিকাশ ঘটে পরিবার থেকেই। আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা পশ্চিমা দেশের অসভ্য ও নোংরা পোশাক ও সংস্কৃতি নিয়ে পাগল।নিজের দেশের সুস্থ সংস্কৃতি তাদের গায়ে চুলকানি জাগায়।

ধিক্কার জানাই এমন নোংরা কাজের জন্য। মানুষ কত নিচে নামতে পারে! মানুষের নৈতিকতা কতটা নিচে নামলে এমন কাজ করতে পারে! একটুও কি মন কাঁদচ্ছে না? একটুও নাড়া দিচ্ছে না আপনাদের মনে? এইটাকে আপনারা আধুনিকতা বলবেন? এমন ধিক্কার জনক কাজের জন্য আমি আমার মন থেকে তিব্র প্রতীবাদ জানাই।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ১৩০০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/০৩/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • কেউ এখন আর কথা শোনেনা
    • মীর মামুন হোসেন ১৫/০৩/২০১৪
      ধর্মীয় অনুশাসণের মধ‌্যে সন্তান লালন পালন করতে হবে।
      শুধু দুনীয়াবি শিক্ষায় শিক্ষিত করলে হবে না ।
      ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে।
 
Quantcast