তুই মরছিস
তুই মরছিস?
আব্দুল কাদির মিয়া
===============
মরছিস তবু ঘুমোসনি কেনো
গাছ ঝরা গোল পাতা ওরাতো-
উড়ছে কত সুন্দর,
শুকনো মরমরে যেন এক-
স্বপনের নীরব নিবিড়ে,
এক প্রশান্তির কাদুর দীঘির পাড়।
কই ওরাতো কেউ ডাকছেনা কারো-
অনেক পুরোনো তোর কবরের মাটি,
এই যেন আজ এক নতুনের ঢং ছোঁয়া-
লেগে আছে।
মরেও তুই ছাড়লিনা অনড় সেই-
একগুঁয়ে তৃপ্তি পাওয়া,
যেন আমায় একটু হলেও-
উহু করা আঘাত দিতেই হবে প্রতিদিন।
জানিনা মরছিস-
তবু ঘুমোসনি কেনো,
দেখ আমিতো আর কাউকে ডাকছিনা,
সেই তোর মতো করে আজো।
আমিও তো সেই একই পুরোনো-
তোর সেই দিন থেকে,
এই দিঘি পাড়েই রয়েছে।
পাতায় মুড়ানো ছোট ছাউনি ডেরা-
এইতো চুল দাড়ি গোঁফ,
একটু কি করেছি পর।
তোর হাতের আদর স্পর্শে যে রয়েছে-
ওদের স্মৃতি মাখা অনন্ত,
ওরা শুধু কান্নাকরে বলে-
যদি আমরাও না থাকি,
তোমায় জড়িয়ে ধরে-
তবে সইবে কেমনে তোমার অন্তর।
আমিতো শুনতে পাই তোর ডাক,
যখন হেলানে ঐ অর্জুনের ছায়াতলে-
একটু ঝিমুনি ধরে।
আমিতো শুনতে পাই তোর কান্না,
সেই রাত গভীরে নিশুতির ডাকে,
যখন পৃথিবীর সবি ওরা ঘুমিয়ে পড়ে।
আজ শৃগালেরাও বড় ক্লান্ত-
কত কষ্ট করে সেই নতুন মাটির কবরটা-
ওরা খুঁড়ে খুঁড়ে।
খেতে চায় তোকে-
ওরা জানেনা সেই-
কত যে পুরোনো তোর কবর।
আর কবে যে মরছিস,
আমার বড়ই হাসি পায়,
আমি রোজ গভীর রাত্রির শেষে,
তোর কান্নার শব্দ পেয়ে-
পাগলের মতো ছুটে এসে-
পাইনা তোকে একটুও দেখতে।
তাই ছড়ানো মাটি গুলোই-
নতুনের মতো করে সাজিয়ে রাখি।
আমার ভয় হয় নইলে যে তুই-
সেই পুরোনো মাটির সাথে-
একেবারেই মিশে যাবি,
আমি আর পারছিনা-
তুই মরছিস তবু ঘুমোসনি কেনো।
আব্দুল কাদির মিয়া
===============
মরছিস তবু ঘুমোসনি কেনো
গাছ ঝরা গোল পাতা ওরাতো-
উড়ছে কত সুন্দর,
শুকনো মরমরে যেন এক-
স্বপনের নীরব নিবিড়ে,
এক প্রশান্তির কাদুর দীঘির পাড়।
কই ওরাতো কেউ ডাকছেনা কারো-
অনেক পুরোনো তোর কবরের মাটি,
এই যেন আজ এক নতুনের ঢং ছোঁয়া-
লেগে আছে।
মরেও তুই ছাড়লিনা অনড় সেই-
একগুঁয়ে তৃপ্তি পাওয়া,
যেন আমায় একটু হলেও-
উহু করা আঘাত দিতেই হবে প্রতিদিন।
জানিনা মরছিস-
তবু ঘুমোসনি কেনো,
দেখ আমিতো আর কাউকে ডাকছিনা,
সেই তোর মতো করে আজো।
আমিও তো সেই একই পুরোনো-
তোর সেই দিন থেকে,
এই দিঘি পাড়েই রয়েছে।
পাতায় মুড়ানো ছোট ছাউনি ডেরা-
এইতো চুল দাড়ি গোঁফ,
একটু কি করেছি পর।
তোর হাতের আদর স্পর্শে যে রয়েছে-
ওদের স্মৃতি মাখা অনন্ত,
ওরা শুধু কান্নাকরে বলে-
যদি আমরাও না থাকি,
তোমায় জড়িয়ে ধরে-
তবে সইবে কেমনে তোমার অন্তর।
আমিতো শুনতে পাই তোর ডাক,
যখন হেলানে ঐ অর্জুনের ছায়াতলে-
একটু ঝিমুনি ধরে।
আমিতো শুনতে পাই তোর কান্না,
সেই রাত গভীরে নিশুতির ডাকে,
যখন পৃথিবীর সবি ওরা ঘুমিয়ে পড়ে।
আজ শৃগালেরাও বড় ক্লান্ত-
কত কষ্ট করে সেই নতুন মাটির কবরটা-
ওরা খুঁড়ে খুঁড়ে।
খেতে চায় তোকে-
ওরা জানেনা সেই-
কত যে পুরোনো তোর কবর।
আর কবে যে মরছিস,
আমার বড়ই হাসি পায়,
আমি রোজ গভীর রাত্রির শেষে,
তোর কান্নার শব্দ পেয়ে-
পাগলের মতো ছুটে এসে-
পাইনা তোকে একটুও দেখতে।
তাই ছড়ানো মাটি গুলোই-
নতুনের মতো করে সাজিয়ে রাখি।
আমার ভয় হয় নইলে যে তুই-
সেই পুরোনো মাটির সাথে-
একেবারেই মিশে যাবি,
আমি আর পারছিনা-
তুই মরছিস তবু ঘুমোসনি কেনো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১০/১২/২০২৫nice
-
ফয়জুল মহী ১০/১২/২০২৫মনোমুগ্ধকর প্রকাশ মুগ্ধতা একরাশ
