জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
হায় প্রবাস। যায় জীবন আসে টাকা অঝোর ধারায়। তবুও সুখ শান্তি অধরা।শিশুকালে মাটির বক্স ভেঙ্গে জমানো টাকায় যেই সুখ কেনা যেত এখন ব্যাগ ভর্তি টাকায়ও সেই সুখ অধরা।
মায়ের অকৃত্রিম মিহি মিহি একটু বেশী নজর অন্য ছেলে ও মেয়েদের প্রতি এক অলিখিত নিয়ম সেই সুখকে বাটখারায় ফেলতে বাধ্য করে।শত প্রশ্ন ও শত কথা বাবার উদাসীনতায় চাপা পড়ে প্রবাসের টাকায় করা ব্যাগ ভর্তি বাজারে।নিজ হাতে তৈরী মাটির পুতুল পানিতে ছুড়ে ফেলার মত ভাই বোনদের আচারন মনে করিয়ে দেয় মজিদ মিয়ার এরা কী কখনো আপনজন ছিলো।কর্কশ ভাষার আচারন মজিদ মিয়া হজম করে ভালোবাসার তাগিদ ও রক্তের বন্ধনে।
কিন্তু হোসনা বেগম এই রুক্ষ ও পক্ষপাতী আচারন মানতে নারাজ।তাঁর সোজা কথা আমি জলে ভাসা পদ্মফুল নয় কিংবা সহজ সরল মজিদ মিয়াও নয়। ঘরের সবাই আমার জামাইর রোজগার খাবে আবার তাকেই পাগল বলে ঘৃণা ও কটাক্ষ করবে তা চলতে দিতে পারি না আমি। এই জন্য সবার কাছে হোসনা বেগম খারাপ ও অভিযোগ সংসারে কাজ করতে চায় না। মজিদ মিয়া তাই হোসনা বেগমকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে।
একদিকে মা বাবা ও ভাই বোন আরেকদিকে সন্তান ধারণকারী স্ত্রী হোসনা বেগম। এক দিকে সমস্ত অতীত রোজগার হাওয়ায় উঠিয়ে দেওয়া রক্তের সম্পর্কগুলি। আরেকদিকে অস্তিত্ব ধারণ করা, ধর্ম সমাজ মেনে ভালোবাসা বিলীয়ে দেওয়া প্রীতিপ্রদ প্রিয়তমা।
কোন দিকে যাবে ভাবতেই মজিদ মিয়া শিউরে উঠে। আবার এখানে কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা ও সময়মতো বেতন না পাওয়া সব মিলিয়ে মজিদ মিয়ার দম বন্ধ হয়ে আসে কখনো কখনো। তবে এইসব চাপিয়ে মানসে ভেসে উঠে অচিরে সন্তানের বাবা হওয়ার পরম আনন্দ। যেনো অচেনা এক কচি মুখই অক্সিজেন বেঁচে থাকার।
গল্পঃপ্রবাস(৯)
মায়ের অকৃত্রিম মিহি মিহি একটু বেশী নজর অন্য ছেলে ও মেয়েদের প্রতি এক অলিখিত নিয়ম সেই সুখকে বাটখারায় ফেলতে বাধ্য করে।শত প্রশ্ন ও শত কথা বাবার উদাসীনতায় চাপা পড়ে প্রবাসের টাকায় করা ব্যাগ ভর্তি বাজারে।নিজ হাতে তৈরী মাটির পুতুল পানিতে ছুড়ে ফেলার মত ভাই বোনদের আচারন মনে করিয়ে দেয় মজিদ মিয়ার এরা কী কখনো আপনজন ছিলো।কর্কশ ভাষার আচারন মজিদ মিয়া হজম করে ভালোবাসার তাগিদ ও রক্তের বন্ধনে।
কিন্তু হোসনা বেগম এই রুক্ষ ও পক্ষপাতী আচারন মানতে নারাজ।তাঁর সোজা কথা আমি জলে ভাসা পদ্মফুল নয় কিংবা সহজ সরল মজিদ মিয়াও নয়। ঘরের সবাই আমার জামাইর রোজগার খাবে আবার তাকেই পাগল বলে ঘৃণা ও কটাক্ষ করবে তা চলতে দিতে পারি না আমি। এই জন্য সবার কাছে হোসনা বেগম খারাপ ও অভিযোগ সংসারে কাজ করতে চায় না। মজিদ মিয়া তাই হোসনা বেগমকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে।
একদিকে মা বাবা ও ভাই বোন আরেকদিকে সন্তান ধারণকারী স্ত্রী হোসনা বেগম। এক দিকে সমস্ত অতীত রোজগার হাওয়ায় উঠিয়ে দেওয়া রক্তের সম্পর্কগুলি। আরেকদিকে অস্তিত্ব ধারণ করা, ধর্ম সমাজ মেনে ভালোবাসা বিলীয়ে দেওয়া প্রীতিপ্রদ প্রিয়তমা।
কোন দিকে যাবে ভাবতেই মজিদ মিয়া শিউরে উঠে। আবার এখানে কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা ও সময়মতো বেতন না পাওয়া সব মিলিয়ে মজিদ মিয়ার দম বন্ধ হয়ে আসে কখনো কখনো। তবে এইসব চাপিয়ে মানসে ভেসে উঠে অচিরে সন্তানের বাবা হওয়ার পরম আনন্দ। যেনো অচেনা এক কচি মুখই অক্সিজেন বেঁচে থাকার।
গল্পঃপ্রবাস(৯)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
