জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
স্যার এই লোকটা অনেক ভালা। যে টাকা দিয়েছে তা দিয়ে মারে কালকেই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবো। মা পরিশ্রম একটু বেশী বেশী করে করতো । সারাদিন ফুল বিক্রি করে আবার সন্ধ্যায় এক বাসায় গিয়ে কাজ করতো তাঁরাও ভালা মানুষ আমার মাকে ভালোবাসতো বকাবকি করতো না। মা বার বার একটা কথাই বলে আমরা দুইবোন পড়ে শিক্ষিত হতে হবে। দরকার হলে মা নাকি আরো কাজ করবে।
বৃষ্টি আগে খেয়ে নাও, পরে কোথাও বসে কথা বলবো।
না স্যার আমি খেয়েই চলে যাবো। ঘরে আমার মা একা। বাসায় গিয়ে মাকে সব বলতে হবে।
বৃষ্টির চোখেমুখে আনন্দের আলো বিচ্ছুরণ।
প্রথম দিন দেখা হওয়ার পর আমি তোমাকে অনেক খুজেছি। আজ দেখা পেলাম তোমার l
আগে আমি রোজ স্কুলে যেতাম, ফুল বেঁচতে আমার মা আসতো। মা যখন অসুখে পড়লো তখন হতে আমি আসি। কখনো সিআরবি এলাকায় কখনো এখনো রেল স্টেশনে, আবার কখনো মেহেদিবাগ সড়কে কিংবা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বিপরীতে সড়কে দাঁড়িয়ে ফুল বিক্রি করি । ফুল বিক্রি করে দৈনিক দুইশ থেকে তিনশো টাকা আয় হয় তা দিয়ে আমরা মা মেয়ে ভাত খেতে পারি কিন্তু মার ভালা চিকিৎসা করাতে পারি নাই।
বৃষ্টি আজ খুব উচ্ছৃসিত কারণ মাকে ভালো ডাক্তার দেখাতে পারবে। অবিরাম কথা বলেই যাচ্ছে। হয়তো বস্তির এই মেয়েটা জীবনে কোনো দিন একসাথে দুই/তিন হাজার টাকা দেখেও নাই। আমিও মনে মনে স্থির করি যেভাবে হোক যেকোন ব্যবস্থায় হোক বৃষ্টির মায়ের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলবো । বৃষ্টির মা সুস্থ থাকলে মেয়েরা পড়াশোনা করে বড় হতে পারবে।
অসংখ্য মন্দ লোক নিয়ে সমাজ । তবে কিছু হলেও ভালো মানুষও আছে সমাজে যার কারণে সমাজ টিকে আছে। মন্দ লোক পরগাছার মত আজ নয় কাল সমাজ হতে নির্মূল হবেই হবে।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ (শেষ)
বৃষ্টি আগে খেয়ে নাও, পরে কোথাও বসে কথা বলবো।
না স্যার আমি খেয়েই চলে যাবো। ঘরে আমার মা একা। বাসায় গিয়ে মাকে সব বলতে হবে।
বৃষ্টির চোখেমুখে আনন্দের আলো বিচ্ছুরণ।
প্রথম দিন দেখা হওয়ার পর আমি তোমাকে অনেক খুজেছি। আজ দেখা পেলাম তোমার l
আগে আমি রোজ স্কুলে যেতাম, ফুল বেঁচতে আমার মা আসতো। মা যখন অসুখে পড়লো তখন হতে আমি আসি। কখনো সিআরবি এলাকায় কখনো এখনো রেল স্টেশনে, আবার কখনো মেহেদিবাগ সড়কে কিংবা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বিপরীতে সড়কে দাঁড়িয়ে ফুল বিক্রি করি । ফুল বিক্রি করে দৈনিক দুইশ থেকে তিনশো টাকা আয় হয় তা দিয়ে আমরা মা মেয়ে ভাত খেতে পারি কিন্তু মার ভালা চিকিৎসা করাতে পারি নাই।
বৃষ্টি আজ খুব উচ্ছৃসিত কারণ মাকে ভালো ডাক্তার দেখাতে পারবে। অবিরাম কথা বলেই যাচ্ছে। হয়তো বস্তির এই মেয়েটা জীবনে কোনো দিন একসাথে দুই/তিন হাজার টাকা দেখেও নাই। আমিও মনে মনে স্থির করি যেভাবে হোক যেকোন ব্যবস্থায় হোক বৃষ্টির মায়ের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলবো । বৃষ্টির মা সুস্থ থাকলে মেয়েরা পড়াশোনা করে বড় হতে পারবে।
অসংখ্য মন্দ লোক নিয়ে সমাজ । তবে কিছু হলেও ভালো মানুষও আছে সমাজে যার কারণে সমাজ টিকে আছে। মন্দ লোক পরগাছার মত আজ নয় কাল সমাজ হতে নির্মূল হবেই হবে।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ (শেষ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৮/১০/২০২৫nice