জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
বৃষ্টিকে দেখে আমি যেনো স্থির হয়ে আছি। আমি তাকে ডাক দিচ্ছি না কারণ ভদ্রলোক কারটা পুটপাতে জায়গা মত রেখে বৃষ্টির সাথে কথা বলছে। হয়তো বেশী করে ফুল কিনবে।
তোমার মুখ এত শুকনো দেখাচ্ছে কেনো? তুমি কী আজ কিছু খাওনি? সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন ।
বৃষ্টি তখন কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, না স্যার, আজ একটাও ফুলের মালা বেঁচতে পারিনি। তাই আজ আমার কপালে খাওন জুটে নাই। স্যার আমার মা অনেকদিন ধইরা খুব অসুস্থ। মা আগে ফুল বিক্রি করতো এখন আর কামে যাইতে পারে না।
সাহেব বললেন, তোমার মাকে ডাক্তার দেখাও। চিকিৎসা করাও, তাহলেই তোমার মা সুস্থ হয়ে যাবে।
বৃষ্টি একটা বড় দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে , তিন বেলা খাওনই জুটে না আমাগো, আমার মায়েরে ডাক্তার দেখামু কেমনে? এত টাকা পামু কই?
দুঃখের কথা শুনে সাহেবের চোখ জলে ভিজে যায়।
বৃষ্টি আবার বলে, স্যার নেবেন ফুল? নেন না স্যার, আজ সারাদিন কিছুই খাইনি।
আমি এখনো একপাশে দাঁড়িয়ে কথা শুনে যাচ্ছি।
সাহেব বললেন, তুমি স্কুলে যাওনা বৃষ্টি?
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, স্যার ঠিকমতো এখন খাইতে পাই না। পেটের দায়ে রাস্তায় ঘুইরা ঘুইরা ফুল বেচি। স্কুলে যামু কেমনে? সাহেব তার মানিব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে বৃষ্টির হাতে দিয়ে বললেন,
এই টাকা দিয়ে তোমার মাকে ডাক্তার দেখিও, আর খাবার কিনে খাও।
বৃষ্টি এক ঝটকায় হাত সরিয়ে বলে, স্যার আমি ভিক্ষা নেই না। আমার মা বিছানায় শুয়ে শুয়েও রোজ বলে ভিক্ষা নিবি না। পরিশ্রম করবি আল্লাহ একদিন ফল দিবে।
সাহেব বললেন, ঠিক আছে, তোমার সবগুলো ফুলের মালা আমাকে দিয়ে দাও, আমি কিনে নিচ্ছি। এখন টাকাটা নাও। বৃষ্টি খুশি হয়ে সাহেবের হাত থেকে টাকাগুলো নিল।
তারপর বলল, স্যার আপনি অনেক ভালা মানুষ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেনো আপনের ভালা করে।
তারপর আবার বলে, আমি গরিব অসহায়। মা ছাড়া এই দুনিয়ায় আমার কেউ নেই। হেই মায়েরও অহন এমন খারাপ অসুখ হইছে । ফুল বেইচা অহন আমার খাওন জুটে। স্যার আপনেরা ফুলের গন্ধ নিলে- আমি ভাতের গন্ধ পাই।
বৃষ্টির কথা শুনে আমার চোখে জল এসে যায়। কিন্তু আমি গরিব এক কলেজ শিক্ষক যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আমাকে অনেক সময় দাড়িয়ে থাকতে দেখে বৃষ্টি আমার কাছে আসে এবং সাথে সাথে চিনেও যায়। সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
চলো কোথাও খেতে খেতে কথা বলবো। এত দিন কোথায় ছিলে কী করছ সব সব কথা। সে এখন স্কুলে যায় না , মার এতই অসুখ বিছানা হতে উঠতে পারে না। ডাক্তার দেখানো হয় না টাকার অভাবে। তাকে সারাদিন ফুল বিক্রি করতে হয়।
খল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকা অলংকরণ। (৬)
তোমার মুখ এত শুকনো দেখাচ্ছে কেনো? তুমি কী আজ কিছু খাওনি? সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন ।
বৃষ্টি তখন কাঁদো কাঁদো গলায় বলল, না স্যার, আজ একটাও ফুলের মালা বেঁচতে পারিনি। তাই আজ আমার কপালে খাওন জুটে নাই। স্যার আমার মা অনেকদিন ধইরা খুব অসুস্থ। মা আগে ফুল বিক্রি করতো এখন আর কামে যাইতে পারে না।
সাহেব বললেন, তোমার মাকে ডাক্তার দেখাও। চিকিৎসা করাও, তাহলেই তোমার মা সুস্থ হয়ে যাবে।
বৃষ্টি একটা বড় দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে , তিন বেলা খাওনই জুটে না আমাগো, আমার মায়েরে ডাক্তার দেখামু কেমনে? এত টাকা পামু কই?
দুঃখের কথা শুনে সাহেবের চোখ জলে ভিজে যায়।
বৃষ্টি আবার বলে, স্যার নেবেন ফুল? নেন না স্যার, আজ সারাদিন কিছুই খাইনি।
আমি এখনো একপাশে দাঁড়িয়ে কথা শুনে যাচ্ছি।
সাহেব বললেন, তুমি স্কুলে যাওনা বৃষ্টি?
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, স্যার ঠিকমতো এখন খাইতে পাই না। পেটের দায়ে রাস্তায় ঘুইরা ঘুইরা ফুল বেচি। স্কুলে যামু কেমনে? সাহেব তার মানিব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে বৃষ্টির হাতে দিয়ে বললেন,
এই টাকা দিয়ে তোমার মাকে ডাক্তার দেখিও, আর খাবার কিনে খাও।
বৃষ্টি এক ঝটকায় হাত সরিয়ে বলে, স্যার আমি ভিক্ষা নেই না। আমার মা বিছানায় শুয়ে শুয়েও রোজ বলে ভিক্ষা নিবি না। পরিশ্রম করবি আল্লাহ একদিন ফল দিবে।
সাহেব বললেন, ঠিক আছে, তোমার সবগুলো ফুলের মালা আমাকে দিয়ে দাও, আমি কিনে নিচ্ছি। এখন টাকাটা নাও। বৃষ্টি খুশি হয়ে সাহেবের হাত থেকে টাকাগুলো নিল।
তারপর বলল, স্যার আপনি অনেক ভালা মানুষ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেনো আপনের ভালা করে।
তারপর আবার বলে, আমি গরিব অসহায়। মা ছাড়া এই দুনিয়ায় আমার কেউ নেই। হেই মায়েরও অহন এমন খারাপ অসুখ হইছে । ফুল বেইচা অহন আমার খাওন জুটে। স্যার আপনেরা ফুলের গন্ধ নিলে- আমি ভাতের গন্ধ পাই।
বৃষ্টির কথা শুনে আমার চোখে জল এসে যায়। কিন্তু আমি গরিব এক কলেজ শিক্ষক যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আমাকে অনেক সময় দাড়িয়ে থাকতে দেখে বৃষ্টি আমার কাছে আসে এবং সাথে সাথে চিনেও যায়। সালাম দিয়ে জড়িয়ে ধরে।
চলো কোথাও খেতে খেতে কথা বলবো। এত দিন কোথায় ছিলে কী করছ সব সব কথা। সে এখন স্কুলে যায় না , মার এতই অসুখ বিছানা হতে উঠতে পারে না। ডাক্তার দেখানো হয় না টাকার অভাবে। তাকে সারাদিন ফুল বিক্রি করতে হয়।
খল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকা অলংকরণ। (৬)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নুরনবী সরকার ০৬/১০/২০২৫সুন্দর উপস্থাপন
-
রবিউল হাসান ২৬/০৯/২০২৫আছি, গল্পের সাথে।