জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন
কিছুদিন যাবত তুমি মানসিক অশান্তিতে আছো। কী হয়েছে বলো না, তোমার কী শরীর খারাপ করছে তাও বলো না। কেমন যেনো মন মেজাজ রুক্ষস্বভাবের হয়ে গিয়েছে , কিছু বললে মেজাজ দেখাও।
বউয়ের চোখে ধরা পড়ে যায় আমি বৃষ্টির খোঁজ না পেয়ে হতাশায় আছি। দেখা হলেও তেমন আর কী করতে পারবো। এই একটু বসে কথা বলা বৃষ্টিকে একটু কিছু খাওয়ানো এই আর কী। এবং আমার লাইব্রেরি হতে বই নিয়ে পড়তে বলা। ভাবছি , রাস্তা কিংবা পার্কে যেই সব পথশিশু কিংবা দুস্থশিশু ফুল বিক্রি করে তাদের নিয়ে তাদের সুযোগ সুবিধামত সপ্তাহে একদিন ইংরেজি শিখাবো এতে শিক্ষিত লোক এবং বিদেশীরা আকৃষ্ট হবে।
ফুল বিক্রেতা অনেকে তাদের বাবা-মায়ের খোঁজ পর্যন্ত জানেন না। কেউ তাদের ছোট ভাই-বোন অথবা অসুস্থ্য বাবা-মায়ের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে ফুল বিক্রি করে। তবে ইদানীং ফুল বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে কিছু প্রতিবন্ধী শিশুও। তারা ভিক্ষা না করে অভিনব পদ্ধতিতে ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। “ফুল নিবেন স্যার ফুল নিবেন” বলা অনেক ফুলের চেহারা গোলাপকেও হার মানায়। কখনো কখনো বস্তি পুড়ে যায় কিংবা সরকার ভেঙ্গে দেয় তখন আরো বিপদে পড়ে যায় এইসব শিশুরা। বাজে ব্যবহার বাজে প্রস্তাব এদের যেনো জন্মগত পাওনা। তবে এদের সবার সুপ্ত একটা মন আছে যা প্রজাপতি হয়ে আকাশে উঠতে চায়, পড়াশোনা করে মানুষ হতে চায়।
মেহেদিবাগ একটা রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে যখন গাড়িগুলি দাঁড়ালো বৃষ্টি দৌঁড়ে গিয়ে বলে স্যার মালা নিবেন বুকুল ফুলের মালা। আমি নিজ হাতে যন্ত করে বানিয়েছি। আমি বৃষ্টিকে দেখে অদূরে দাঁড়িয়ে সব দেখছি। মন প্রচণ্ড খুশি হলেও তার কাজের ব্যত্যয় গড়াতে চাইনি। কালো রংয়ে গাড়িটার ভিতর এক বয়স্ক লোক বসা। উনি হয়তো সরকারি কোনো বড় কর্মকর্তা।
অনেক সুন্দর মালা স্যার! আপনের বিবি সাহেবরে দিলে উনি অনেক খুশি হইবো'।
সাহেব বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখলেন উশকোখুশকো চুল, পরনে ছেঁড়া মলিন জামা, রোগা পাতলা মেয়েটির মুখখানা একদম শুকনো দেখাচ্ছে। সাহেব বললেন, তোমার নাম কি?
বৃষ্টি শুকনো মুখে উত্তর দিল, স্যার আমার নাম বৃষ্টি। সাহেব আবার জিজ্ঞেস করলেন তোমার মুখ এত শুকনো দেখাচ্ছে কেনো?
বৃষ্টি নাম শুনেই আমার রক্ত টগবগ করে উঠলো। মনে হচ্ছে আমার ছোট মেয়েটাকে ফিরে পেলাম বহুদিন পর।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ (৫)
বউয়ের চোখে ধরা পড়ে যায় আমি বৃষ্টির খোঁজ না পেয়ে হতাশায় আছি। দেখা হলেও তেমন আর কী করতে পারবো। এই একটু বসে কথা বলা বৃষ্টিকে একটু কিছু খাওয়ানো এই আর কী। এবং আমার লাইব্রেরি হতে বই নিয়ে পড়তে বলা। ভাবছি , রাস্তা কিংবা পার্কে যেই সব পথশিশু কিংবা দুস্থশিশু ফুল বিক্রি করে তাদের নিয়ে তাদের সুযোগ সুবিধামত সপ্তাহে একদিন ইংরেজি শিখাবো এতে শিক্ষিত লোক এবং বিদেশীরা আকৃষ্ট হবে।
ফুল বিক্রেতা অনেকে তাদের বাবা-মায়ের খোঁজ পর্যন্ত জানেন না। কেউ তাদের ছোট ভাই-বোন অথবা অসুস্থ্য বাবা-মায়ের ওষুধের টাকা জোগাড় করতে ফুল বিক্রি করে। তবে ইদানীং ফুল বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে কিছু প্রতিবন্ধী শিশুও। তারা ভিক্ষা না করে অভিনব পদ্ধতিতে ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। “ফুল নিবেন স্যার ফুল নিবেন” বলা অনেক ফুলের চেহারা গোলাপকেও হার মানায়। কখনো কখনো বস্তি পুড়ে যায় কিংবা সরকার ভেঙ্গে দেয় তখন আরো বিপদে পড়ে যায় এইসব শিশুরা। বাজে ব্যবহার বাজে প্রস্তাব এদের যেনো জন্মগত পাওনা। তবে এদের সবার সুপ্ত একটা মন আছে যা প্রজাপতি হয়ে আকাশে উঠতে চায়, পড়াশোনা করে মানুষ হতে চায়।
মেহেদিবাগ একটা রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে যখন গাড়িগুলি দাঁড়ালো বৃষ্টি দৌঁড়ে গিয়ে বলে স্যার মালা নিবেন বুকুল ফুলের মালা। আমি নিজ হাতে যন্ত করে বানিয়েছি। আমি বৃষ্টিকে দেখে অদূরে দাঁড়িয়ে সব দেখছি। মন প্রচণ্ড খুশি হলেও তার কাজের ব্যত্যয় গড়াতে চাইনি। কালো রংয়ে গাড়িটার ভিতর এক বয়স্ক লোক বসা। উনি হয়তো সরকারি কোনো বড় কর্মকর্তা।
অনেক সুন্দর মালা স্যার! আপনের বিবি সাহেবরে দিলে উনি অনেক খুশি হইবো'।
সাহেব বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখলেন উশকোখুশকো চুল, পরনে ছেঁড়া মলিন জামা, রোগা পাতলা মেয়েটির মুখখানা একদম শুকনো দেখাচ্ছে। সাহেব বললেন, তোমার নাম কি?
বৃষ্টি শুকনো মুখে উত্তর দিল, স্যার আমার নাম বৃষ্টি। সাহেব আবার জিজ্ঞেস করলেন তোমার মুখ এত শুকনো দেখাচ্ছে কেনো?
বৃষ্টি নাম শুনেই আমার রক্ত টগবগ করে উঠলো। মনে হচ্ছে আমার ছোট মেয়েটাকে ফিরে পেলাম বহুদিন পর।
গল্পঃ অন্যের সৌন্দর্যের অলংকার অলংকরণ (৫)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/০৯/২০২৫নাইস
-
রবিউল হাসান ২২/০৯/২০২৫বৃষ্টি নামটার সাথে আমারও অনেক আবেগী স্মৃতি আছে। ভালো লেগেছে পড়ে।