www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বন্দী

আমার ঘুম ভাঙে,
বন্ধ দুচোখের উপর,
স্নিগ্ধ একটা রোদ পরে..
মা অফিস যাওয়ার আগে
পর্দা টা সরিয়ে দিয়ে যান।

আগে অবশ্য আমাকে টেনেও
ঘুম থেকে তোলা যেতো না..!!
মা অফিস যাবার সময়, আমার ঘুম
ভাঙ্গানোর মহাযুদ্ধটা করে যেতেন,,

কিংবা বুয়া তার মাইকস্বরূপ গলার
আওয়াজে আমার ঘুম টা ভাঙ্গাতো।

এখন, মা অফিসে বেরোয় ৮ টায়
বাবা আরও সকালে...!!
বুয়াও নেই...!!
তাই সাড়ে আট টা নটায়,
স্নিগ্ধ রোদই আমাকে জাগিয়ে তোলে

টেবিলের উপর সাজানো ব্রেডে,
বাটার ভরিয়ে খেতে আমার
আর একটুও আলসেমি লাগে না।

দুপুরের খাবার টাও,
গরম করে খেয়ে নিতে পারি।
একটা সময় মনে হতো,
ছুটির দিন মানেই ঘুরবো,
ঘুমাবো, খাবো আর সারাদিন,
হুম সারাটা দিন..!

টিভি দেখব, ফোন চালাবো,এনজয় করবো....!!!!!
এ কেমন অন্যরকম ছুটি
কে জানে....???.....
যে ছুটির দিনে,
টিভি দেখতেও একঘেয়েমি উঠে যায়..!
যে ছুটির দিনে,
ফোন স্ক্রিনে চোখ লাগিয়ে
রাখতেও বিরক্তি ধরে যায়..!

ইশ...!
বাবা আর মায়ের অফিস টাও
যদি ছুটি হতো..!!
তাহলে বোধয় সত্যিই আমার ছুটিটাও একটু হলেও অন্যরকম হতো!

আমার অবসর টা কাটে
না মানে..!
যদিও আমার পুরো দিনটাই
অবসরের মধ্যেই পড়ে,,তাও..!
খাওয়া, পড়া, ঘুম বাদে,
যে সময় টুকু থাকে....
আমি আমার দক্ষিণখোলা
জানালার পাশে বসে থাকি..

যেদিন আকাশ টা খুব
পরিষ্কার থাকে,,,,
সেদিন আকাশ টার দিকে তাকিয়েই
পুরোটা সময় কাটিয়ে দেই
যদিও ঢাকার বাতাসে ফ্রেশনেস
বলতে কিছু নেই তাও,,

ওই নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে
নিজেকে খুব মুক্ত লাগে।
মনে হয় ওই সাদা মেঘগুলোর
সাথে আমিও ভেসে যাই

ওই আকাশের বুকে..!
নীলের মাঝে....!!!

আর যেদিন,
আকাশ টা কালো করে আসে
প্রকৃতির অন্ধকারাচ্ছন্নতায়,
আমার মনটাও কেমন যেনো
অন্ধকার হয়ে আসে..!

আবার নিমিষেই যখন
ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে,
তখন আমার মনটাও,
বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে নেচে ওঠে

আমার বেলার শুরু,
আর আমার বেলার শেষ
সারাটাদিনে আমি একাই সূচনা,
আর একাই সর্বশেষ..!

আমার সারাটা দিনের আনন্দ,
ওই আকাশের নীলের মাঝে,
কিংবা,
বৃষ্টির মন মাতানো ছন্দে।।

একাকিত্ব,
এমনিই আমার নিত্যদিনের সঙ্গী
আর এখন তো,
আমি লকডাউনে বন্দী।।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ২৮৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/১০/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast