www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সিদ্ধিলাভ

একনাগাড়ে, অনেকদিন ধরে পিছনে লেগে থাকবার পর
উদ্‌ভ্রান্ত সন্ন্যাসীকে ঈশ্বর এবার কৃপা করে, দেখা দিলেন।
জিজ্ঞাসা করলেন : ‘বল বৎস, তোমার কি চাই ?’
দু’চোখে দু’হাজার বছরেরও বেশি খুশি নিয়ে
সন্ন্যাসী বলল : ‘প্রভু, আমি সিদ্ধিলাভ চাই ;
আর দু’দণ্ডের শান্তি চাই’।
প্রভু মুচকি হাঁসলেন, তারপর বললেন
‘সে তো আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই দিয়ে রেখেছি’।
সন্ন্যাসী তখন রাগ করে প্রভুকে জানায়
‘আপনি আমার সাথে ঠাট্টা করছেন ঠাকুর ?’
ঠাকুর এবার শক্ত হয়ে জবাব দিলেন
‘মোটেই না। শোনো বৎস, তোমার জন্য আমি সবকিছুই বন্দোবস্ত করে রেখেছিলাম। কিন্তু তুমি যদি কোনো কারণে তা না নিয়ে ভুল জিনিসের খোঁজ কর... তবে সেটা তোমার দোষ ; আমার না’।
সন্ন্যাসী রাগান্বিত হয়ে বলল
‘মিথ্যে ! এই যে আপনি এমন শীতল-শান্ত জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটাচ্ছেন
কিন্তু আমারটা কোথায় ?’
প্রভু বললেন, ‘ভেবে দ্যাখো, এর চেয়ে ঢের বেশি তোমাকে দিয়েছি। যেটা তোমার মায়ের কোল’।
— ‘আর এই যে আপনি যেখানে শুয়ে আছেন
এমন সুন্দর নরম-কোমল বিছানা ?’
— ‘তুমি শুধু শুধু আমাকে অপবাদ দিচ্ছ ! তোমাকেও দেওয়া হয়েছে প্রিয়া’।
— ‘আর এই যে বাগান, এত সুন্দর সুন্দর ফুল যার সাথে আর অন্য কারোরই তুলনা চলে না’।
— ‘ভুল। কেননা এর চেয়ে অনেক দামী তোমার কন্যা’।
সন্ন্যাসী এবার কাঁদতে শুরু করলেন। তিনি বুঝতে পারলেন কতবড় ফাঁকি তার জীবনে রয়ে গেছে। তাই তিনি প্রভুকে এবার অনুরোধ করলেন তার আগের শূন্য জীবনটা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
ঈশ্বর তাকে বললেন তা হয় না। কারণ তা সৃষ্টির বিরুদ্ধ। তার চেয়ে এখনো যে জীবনটা পড়ে আছে তা দিয়েই তিনি যেন খুঁজে নেন তার সিদ্ধিলাভ।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৫৯৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৩/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast