www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আয়েশা নামা-১৫

ভারী কর্ণদুলিকা শ্রবণেন্দ্ৰিয়কে কিছুটা দলিত করলেও ঘরের বঁধুয়া হাসিমুখে তাহা মানিয়া নেয়।

প্রিয়তমের উদ্দেশ‍‍্যে চক্ষু যুগলে তার কাজলের রেখা
ঠোটে আবরণী রং শুধুমাত্র তার মনোরঞ্জনের জন‍‍্য।।

বুঝিলাম শুধু বৃক্ষ নয় ঘরের রাণীটিও আপনার জন‍‍্য সাজেনা।।
সেও ত‍্যাগী! বিপ্লবীদের চেয়ে কম নয়।

এমন গৃহরমণী কজনের কপালেই বা জুটে।

অথচ আমি দেখি বিবাহ উৎসবে বঁধুয়ার সে সাজ
গৃহ ঘরকোণে পতিকূলে তার উল্টো।।

কেউ আবার ভাবী পতির কল্পনায় শরত নিশিতে কাঁথা থেকে উঠিয়া সাজে।।। মুলতানি মাটি দিয়ে ত্বকের পালিশ করে।। পুরো হস্ত আবরণের সাথে মানানসই শাড়ি এবং বাজুবন্ধের সহিত সজ্জিত হইয়া
দর্পনের সামনে বটগাছের মতোন দাড়িয়ে থাকে।
কার জন‍‍্য এই সাজ।
কে এতো ত‍্যাগে কার জন‍‍্য সাজে।

অথচ তরুণী আয়েশা তার কর্ণদেশে হলুদ রংয়ের কসমস পুষ্প লাগাইয়া ডিপার্টমেন্টের বারান্দায় দাড়িয়ে শীতের রোদ পোহায় ।। একাকী তার সনে কেউ কথা কয়না কেন!

যেন তার আর কোনো সাজ নাই,।। কোনো নাই ময়দার আস্তরণ , কৃত্রিমতার প্রলেপ।।

কিসের উদ্দেশ‍‍্যে! কার লাগিয়া এই আয়োজন।
কার আত্মতুষ্টির জন‍‍্য।। স্বভাবগত কারণে আমার সাহস হয়না তাকে জিজ্ঞেস করি।

আয়েশা! প্রিয়তমেষু আয়েশা!

৬ ফাল্গুন ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সোমবার, ১৯.২.২০২৪
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১৪৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০২/২০২৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মধু মঙ্গল সিনহা ২০/০৪/২০২৪
    সুন্দর! মুগ্ধতা রইলো।
  • নাইস
  • শুভ কামনা
  • ফয়জুল মহী ২০/০২/২০২৪
    চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ। শুভ কামনা রইলো।
 
Quantcast