ঝন্টুর একটা নীড় দরকার
আকাশ কালো মেঘে ঢাকা। মনেহচ্ছে না এখন ঠিক দুপুর। ঝন্টু ক্লান্ত দেহ নিয়ে ফুটপাতে বসে আছে। অনেকেই খাবার হাতে হেঁটে যাচ্ছে। অমিয়র হোটেলেও বেশ ভিড়, সবাই দুপুরের খাবার খাচ্ছে। ঝন্টুর খাওয়া হচ্ছে না। তবে ভেজা চোখে খুব নজর দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইচ্ছে হয় থাবা দিয়ে কারো হাত থেকে অথবা প্লেট থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে আসতে। তবে সাহস হচ্ছে না।
বসে থাকতে তার একদমই ভালোলাগে না। ক্ষুধার্ত পেট আর শুকনো জিহ্বাটা বেড় করে হাঁটতে শুরু করলো সে। আকাশে বিদ্যুৎচমকায়। দুপুরটাকে ঝন্টুর জীবনের মতো লাগে। ঠিক অন্ধকারও নয় আবার আলোকিতও নয়। আবছা আবছা। জীবনের সাথে এ-দুপুরকে মিলিয়ে নিয়ে ডাস্টবিনে খাবার খোঁজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝন্টু।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির জল বরফের মতো ঠান্ডা, তার-উপর আবার শীলা পড়ছে। ক্ষুধা নিয়েই ঝন্টু দৌড়াতে শুরু করলো। একটা সময় শহরের এই ফুটপাতে তার ভেজা হতো খুব আনন্দ নিয়ে। বয়সের কারণে আজ আর ভেজা হয় না। বৃষ্টিতে ভেজার বয়স তার শেষ। দৌড়ে সব ছাড়িয়ে ঝন্টু আবাসিক এলাকায় ঢুকলো। যে বাড়ির সামনেই গেল সে বাড়ির গেটই বন্ধ। গেটের একটু পাশে দাড়াতেই লাঠি নিয়ে ছুটে আসে কেউ। একটা একটা করে সব বাড়ির সামনে তার যাওয়া হলো তবে কোথাও জায়গা হলো না। কপালে যা জুটলো তা হলো মানুষের গালি ও আবার একটা দৌড়ের অনুপ্রেরণা। লাঠি হাতে ছুটে আসা কিশোর, তরুণ, যুবক ও বৃদ্ধের দিকে তাঁকিয়ে ঝুন্টু পুরোটা বৃষ্টিই দৌড়ালো। কারো গেটের পাশে কিংবা বারান্দায় তার ছোট্ট এই দেহটার একটু জায়গা হলো না। হবেই বা কেন? পবিত্র মানবজাতির কাছে তার অপবিত্র নাপাক একটা জাতির জায়গা না হওয়ারই কথা।
দৌড়াতে দৌড়াতে আবার সেই ফুটপাতের দিকে রওনা, কাপতে কাপতে হাঁটছে। রোদ উঠছে, ফুটপাতের অন্যান্য কুকুরগুলো রোদে গা শুকাচ্ছে। আলোকিত হলো শহর। বৃষ্টিতে ভিজে অন্ধকার হলো ঝন্টুর জীবন। শহরের একটু আগের দুপুরের সাথে তার জীবন এখন মিলে না। এ-শহর, এ-শহরের দুপুর, এ-শহরের বৃষ্টি, বৃষ্টির খাবার, সব শুধু মানুষের জন্য। এই শহরের কোন কিছুতেই তার অধিকার নেই। গেটের পাশেও তার একটু আশ্রয় নেয়ার অধিকার নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবন তার কেটে যায় ফুটপাতে ও ডাস্টবিনে। এ-শহরে মানুষের সাথে তারও থাকা হয় তবে পুরোটা আলাদাভাবে। কাঁপতে কাঁপতে তার জীবনের শেষ এসে মিশলো ডাস্টবিনে....
বসে থাকতে তার একদমই ভালোলাগে না। ক্ষুধার্ত পেট আর শুকনো জিহ্বাটা বেড় করে হাঁটতে শুরু করলো সে। আকাশে বিদ্যুৎচমকায়। দুপুরটাকে ঝন্টুর জীবনের মতো লাগে। ঠিক অন্ধকারও নয় আবার আলোকিতও নয়। আবছা আবছা। জীবনের সাথে এ-দুপুরকে মিলিয়ে নিয়ে ডাস্টবিনে খাবার খোঁজার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঝন্টু।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। বৃষ্টির জল বরফের মতো ঠান্ডা, তার-উপর আবার শীলা পড়ছে। ক্ষুধা নিয়েই ঝন্টু দৌড়াতে শুরু করলো। একটা সময় শহরের এই ফুটপাতে তার ভেজা হতো খুব আনন্দ নিয়ে। বয়সের কারণে আজ আর ভেজা হয় না। বৃষ্টিতে ভেজার বয়স তার শেষ। দৌড়ে সব ছাড়িয়ে ঝন্টু আবাসিক এলাকায় ঢুকলো। যে বাড়ির সামনেই গেল সে বাড়ির গেটই বন্ধ। গেটের একটু পাশে দাড়াতেই লাঠি নিয়ে ছুটে আসে কেউ। একটা একটা করে সব বাড়ির সামনে তার যাওয়া হলো তবে কোথাও জায়গা হলো না। কপালে যা জুটলো তা হলো মানুষের গালি ও আবার একটা দৌড়ের অনুপ্রেরণা। লাঠি হাতে ছুটে আসা কিশোর, তরুণ, যুবক ও বৃদ্ধের দিকে তাঁকিয়ে ঝুন্টু পুরোটা বৃষ্টিই দৌড়ালো। কারো গেটের পাশে কিংবা বারান্দায় তার ছোট্ট এই দেহটার একটু জায়গা হলো না। হবেই বা কেন? পবিত্র মানবজাতির কাছে তার অপবিত্র নাপাক একটা জাতির জায়গা না হওয়ারই কথা।
দৌড়াতে দৌড়াতে আবার সেই ফুটপাতের দিকে রওনা, কাপতে কাপতে হাঁটছে। রোদ উঠছে, ফুটপাতের অন্যান্য কুকুরগুলো রোদে গা শুকাচ্ছে। আলোকিত হলো শহর। বৃষ্টিতে ভিজে অন্ধকার হলো ঝন্টুর জীবন। শহরের একটু আগের দুপুরের সাথে তার জীবন এখন মিলে না। এ-শহর, এ-শহরের দুপুর, এ-শহরের বৃষ্টি, বৃষ্টির খাবার, সব শুধু মানুষের জন্য। এই শহরের কোন কিছুতেই তার অধিকার নেই। গেটের পাশেও তার একটু আশ্রয় নেয়ার অধিকার নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবন তার কেটে যায় ফুটপাতে ও ডাস্টবিনে। এ-শহরে মানুষের সাথে তারও থাকা হয় তবে পুরোটা আলাদাভাবে। কাঁপতে কাঁপতে তার জীবনের শেষ এসে মিশলো ডাস্টবিনে....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০২/০৬/২০২০ভালোবাসা ও শুভ কামনা।