মোহিনীর সংসার
আনেক বড় মাঠের মাঝে একাবাকা একটি রাস্তা গেছে সুদূরে।কয়েকটা বাড়ি উঁচু যায়গায় ঘন বসতি গড়ে উঠেছে। সেখানে বিশাল বড় একটা আমগাছ আছে।তাই সবাই ঐ পাড়াটিকে আমপুলে পাড়া বলে।মহিন তার পরিবার নিয়ে ওখানে থাকে। মাঝে মাঝে কৃষকের কাজ করে কখনো বাজারে চায়ের দোকানে আড্ডায় নইতোবা জুয়া খেলার দানে।লেখা পড়ার মগজ নেই তবুও ভাবে জ্ঞানী,আসল বিষয় না ভেবে ফালতু বিষয় নিয়ে টানাটানি। একটি একটি করে দুইটা মেয়ে তার। তাই বউকে সে মারে দিনে কয়েকবার।সে শুধু কান্না করে বলে মেয়ে হয়ে জন্মানোই কি পাপ।কতোবার বলি তারে, প্রভু দিলে আমর কি দোষ।এ কথা কখনও বোঝেনা ময়নার বাপ।
মহিনীর তিন ভাই এর পরে সে এসেছে পরিবারে।অনেক আদুরে সে, তার বাবা নেই, মারা গেছে বছর কয়েক গত হয়েছে। তাকে নিয়ে অনেক আশা তাদের। বিয়ের সময় মতিন ৮০ হাজার টাকা যৌতুক চাই কিন্তু বিয়ের সময় কিছু টাকা খরচ হওয়ায় টাকা দিতে পারিনি। এই কারণেই সে মতিনের চোখের বিশ এবং সকল কাজের বাধা ।একদিন ঘটিলো শেষে মোহিনী বলছিল ঘরে নেই চাল নেই কোন বাজার। সে শুনে না শুনার ভান করে চলে গেলো।দুপুর বাজে ২টা বাচ্চা কান্না করছে খুদার তাড়নে।একটি কান্না করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেছে বারান্দার মাটির উপরে। সময় যখন ৩টা ১৫ তখন। তখন মহিন আসলো বাড়ি বললো মোহিনীকে, ভাত দে তাড়াতাড়ি। বলিল রান্না হয়নি দুপুরে কেউ খাইনি পিচ্চি গুলো ঘুমিয়ে গেছে না খেয়ে। মহিন ধরিলো তার চুল দিবো ছিড়ে বিটি। কি করেছিশ না রান্না করে।আর শুনলোনা তার কথা।ঘরের খিলের লাটি দিয়ে মেরে গা করিলো ব্যাথা।কান্নাই ভেঙেপড়ে মোহিনী। ফুলে য়ায় সর্ব দেহ,পারেনা বলতে কোন কথা।শুধু বলে..
আর কতো মারবে আমাকে?
মায়া নেই তোমার?
কি নিষ্ঠুর থকবোনা আর..
মহিন> কথা বলবিনা তুই, এনেছিশ কি তুই বাপের বাড়ি থেকে?
সে বলিল মার আমাকে আরো মার সব হিসাব পরিশোধ করবে আজ।
মহিনের রাগ চরম শির্শে শুনলোনা কোনো কথা কারো বাধা। অত্যাচার নির্জাতন এতো বেশি ছিলো যে,সে জ্ঞান হারালো অবশেষে। কে আনবে ডাক্তার? কে আনবে ঔষধ? মোহিনীর শাশুড়িও পক্ষ নেই ছেলের রোজ। অত্যাচারে সে পড়েআছে উঠানে। কয়েক ঘন্টা বাদে চোখ খুলে দেখে পড়ে আছে সেখানে।
জাগো নারী ঐক্য বধে,
ভেঙে দাও সকল অত্যাচারি হাত।
আর কত নির্যাতন সইবে এ জাত।
মহিনীর তিন ভাই এর পরে সে এসেছে পরিবারে।অনেক আদুরে সে, তার বাবা নেই, মারা গেছে বছর কয়েক গত হয়েছে। তাকে নিয়ে অনেক আশা তাদের। বিয়ের সময় মতিন ৮০ হাজার টাকা যৌতুক চাই কিন্তু বিয়ের সময় কিছু টাকা খরচ হওয়ায় টাকা দিতে পারিনি। এই কারণেই সে মতিনের চোখের বিশ এবং সকল কাজের বাধা ।একদিন ঘটিলো শেষে মোহিনী বলছিল ঘরে নেই চাল নেই কোন বাজার। সে শুনে না শুনার ভান করে চলে গেলো।দুপুর বাজে ২টা বাচ্চা কান্না করছে খুদার তাড়নে।একটি কান্না করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেছে বারান্দার মাটির উপরে। সময় যখন ৩টা ১৫ তখন। তখন মহিন আসলো বাড়ি বললো মোহিনীকে, ভাত দে তাড়াতাড়ি। বলিল রান্না হয়নি দুপুরে কেউ খাইনি পিচ্চি গুলো ঘুমিয়ে গেছে না খেয়ে। মহিন ধরিলো তার চুল দিবো ছিড়ে বিটি। কি করেছিশ না রান্না করে।আর শুনলোনা তার কথা।ঘরের খিলের লাটি দিয়ে মেরে গা করিলো ব্যাথা।কান্নাই ভেঙেপড়ে মোহিনী। ফুলে য়ায় সর্ব দেহ,পারেনা বলতে কোন কথা।শুধু বলে..
আর কতো মারবে আমাকে?
মায়া নেই তোমার?
কি নিষ্ঠুর থকবোনা আর..
মহিন> কথা বলবিনা তুই, এনেছিশ কি তুই বাপের বাড়ি থেকে?
সে বলিল মার আমাকে আরো মার সব হিসাব পরিশোধ করবে আজ।
মহিনের রাগ চরম শির্শে শুনলোনা কোনো কথা কারো বাধা। অত্যাচার নির্জাতন এতো বেশি ছিলো যে,সে জ্ঞান হারালো অবশেষে। কে আনবে ডাক্তার? কে আনবে ঔষধ? মোহিনীর শাশুড়িও পক্ষ নেই ছেলের রোজ। অত্যাচারে সে পড়েআছে উঠানে। কয়েক ঘন্টা বাদে চোখ খুলে দেখে পড়ে আছে সেখানে।
জাগো নারী ঐক্য বধে,
ভেঙে দাও সকল অত্যাচারি হাত।
আর কত নির্যাতন সইবে এ জাত।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০২/০৬/২০১৯Nice