www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গ্যালারীতে নেই আগেরমত কোলাহল

শেষ যে কবে গিয়েছিলাম তোমায় নিয়ে
ক্রিকেট খেলা দেখতে মনে নেই
মিরপুরের গ্যালারিতে উল্লাসে মেতে উঠেছি বহুবার
মনে আছে সেই পূর্ণিমা হোটেলের কথা?
স্টেডিয়াম থেকে বের হয়ে রাস্তা পেরিয়ে ওপরপাশে গেলেই দেখা মেলে। কত যে সময় কাটিয়েছি। সেগুলি এখন স্মৃতি।
গত দেড়টা বছর গৃহে বন্দী আমরা সবাই। নেই খেলা আগের মতন। করা হয় না উল্লাস অনেক দিন। গ্যালারী শুন্য মাঠে খেলা হয় মাঝে মাঝে। টিভিতে দেখি আর অনলাইনে আনন্দ করি। জানিনা কবে আবার সব আগের মত হবে। তুমার সাথেও দেখা হয় নি অনেক দিন।

অনেকদিন পর একটা সিরিজ এসেছে, অনেক আশা ছিল দেখতে যাব কিন্তু আগের মত আর যাওয়া হল না। অস্ট্রেলিয়ার সাথে সিরিজ ভেবেছিলাম দেখব। গ্যালারী শূন্য দর্শকে খেলা চলছে। গ্যালারী ভর্তি দর্শক আর মিরপুরের সেই শব্দগুলি মিস করি।
বিশেষ করে যখন সাফল্য আসে তখন সবাই এক সাথে যেভাবে চিৎকার করতে থাকি।

এক সাথে খেলা দেখা আর আলাদা আলাদা দেখার ভেতর অনেক পার্থক্য আছে, মজা আগের মত নেই। খেলার সময় লাল সবুজ রংয়ের শাড়ি প্রায়ই কমবেশি সবাইকেই পড়তে দেখি। বাঘের গর্জনে চিৎকার করি আমরা গ্যালারিতে একসাথে সবাই মিলে। এখন আর চিৎকার করা হয় না, শুধুই কলম চলে অনলাইনে। নেই তেমন উৎসব। ম্যাচ জিতলেও যাওয়া হয় না বাইরে শ্লোগান দিতে।

এইসব দুঃখের মাঝেও কিছুটা ভালো লাগে যখন দেখি জয় লাভ করেছে টাইগারেরা। বাঘের থাবায় ক্যাঙ্গারুরা আহত দেখে কত যে আনন্দ লাগছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এমন সিরিজ গ্যালারিতে বসে না দেখতে পেরে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগছে। ভীষণ ইচ্ছে করছে ছুটে যাই।
হয়ত একদিন সব ঠিক হবে, তবে এই প্রথম জয়ের আনন্দ হয়ত আর পাব না এতটা এভাবে।

খেলার দিন সকালে স্টেডিয়ামে গেলে নানা রকম উৎসবের দেখা মেলে।
যেন একটা মেলা বসেছে কেউ মুখে লাল সবুজের পতাকা আঁকছে, কেউ বা কেনাকাটা করছে। বাংলা নববর্ষের মত লাগে অনেকটা। বাদাম খেতে খেতে খেলা দেখতেছি আর মাঝে মাঝে মনে হয় একটা ছয় মারুক আর বলটা আমার কাছে আসুক। সেই সৌভাগ্য আমার হয় নি, তবে ইচ্ছে করে যদি কখনো আমার কাছে আমি তখনি বলটা নিয়ে দৌর দিতাম। ফিরিয়ে দিতাম না। বলটা নিয়ে বাসায় এসে রেখে দিতাম।

কারেন্ট নেই বিকালে বসে আছি অপেক্ষায়, কারেন্ট গেলে গরম লাগে বাইরে গেলে নাকি পুলিশ আর্মিরা পেটাবে। তাহলে কেন তারা কারেন্ট নেয়? টাকা দিয়েই তো ব্যবহার করি ফ্রি তো না তাই না। কারেন্ট আসল যখন দেখি প্রায় ২ ৩ ওভার শেষ। উইকেটও দুইটি ওপেনার দুজনই আউত ছিল। রান খুব কম ছিল তখন। আর ম্যাচটা ধরেই নিয়েছিলাম হেরে যাবে টাইগাররা। তবে আশা ছিল, ঘুরে দাড়াতে পেরেছিল, প্রথম জয়টা উদযাপন করেছিলাম। ছিল না গ্যালারীর আনন্দ, তবে ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। জয় বাংলা হ্যাশট্যাগে ভরে গেছে। ক্যাঙ্গারুদের এভাবে হারাবে এটা সত্যিই আশ্চর্য লেগেছে যখন ছিল না অভিজ্ঞরা দলে।
ম্যাচ জিতলেও এখন গ্যালারীতে নেই কোলাহল।
এবার যদি কখনো যাই স্টেডিয়ামে তাহলে ফুল হাতে যাব, ফুল ছুড়ে দেব তাদের দিকে।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ২৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/০৮/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast