দ্যা ব্লক ম্যাজিক (স্টোরি অফ সিরিয়াল কিলিং)
**এক**
অাজ রাতে চাঁদ ওঠেনি।
চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে থাকার কথা নয় তাই বলে।রাস্তা জুঁড়ে রোড লাইট জ্বলছে।
তুঁষার অাজ নিজেকে অালোতে মানাতে পারছে না। অাজকে তাদের একমাত্র পরিচয় চোর।লাশ চোর। অন্ধকারেই তাদের অাজ ভালো মানাতো।
সামনে মহানন্দে হাটতে থাকা শরীফকে দেখে কিছুদিন অাগের কথা মনে পরে যায় ওর।
হঠাৎ করেই অালম ভাই ওদের প্রস্তাবটা দিয়ে বসেন। "প্রেতচর্চার ব্যাপারে তো তোমাদের অাগ্রহের কমতি নেই দেখছি,তা শেখার মতো সাহস অাছে তো??
দুজনেই বুঝতে পারে-এর পেছনে লুকোন অাছে একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত-ওরা শিখতে চায় কি না -সেটা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
শরীফ অার তুঁষারের ক্ষমতা পাবার তীব্র লোভ এর কাছে পরাস্ত হল অালম ভাইয়ের সন্দেহ্।
তার প্রেক্ষিতেই তালিম নিতে থাকে ওরা!নিয়মিত চক্রে বসতে বসতে অনেকটিই অাগাতে পেরেছে প্রেতসাধনারর দিকে।কিন্তু এক একটা স্টেজ পার হতেই যেন বছর লেগে যাবে। এতো সময় নষ্ট করা চলবে না।দু'মাস যেতে না যেতেই অার ভালো লাগে না শরীফের। অালম ভাইকে চেপে ধরে তুলনামূলক একটা শর্টকাট পথ দেয়ার জন্য!!
শর্টকাট??? ভ্রু নামিয়ে বলেন অালম ভাই।
জ্বী, ভাই।অাছে না কোন?মুখে অাশা ফুটিয়ে জানতে চায় শরীফ।
অাসলে ব্যাপারটা শয়তানের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত!শর্টকাট খুঁজতে গেলে ন্যাস্টি ওয়েতে কাজ করতে হবে।
"এই পথে যেহেতু এসেছি-ই একদিন না একদিন তো ন্যাস্টি হতেই হবে"-সোজা-সাপ্টা উত্তর দেয় শরীফ।তাছাড়া এরকম অসীম ক্ষমতার জন্য ওটুকু করতে রাজি অাছি অামরা,কি বলিস তুঁষার???
প্রতিউত্তরে সামান্য ঘাড় বাকায় তুঁষার। সে রাজি অাছে।
কাজেই পদ্ধতিটা বলে দেয় রানা।
তিনদিনের মাঝে অপঘাতে মারা যাওয়া তরুণীর লাশ থেকে হৃৎপিন্ড আর যকৃত কেটে বের করে নিতে হবে।
যকৃতটাকে আধা কেজি পিয়াজের সাথে মিশিয়ে তিন চামচ করে রক্ত দিয়ে রান্না করতে হবে। রক্তগুলো অবশ্য শরীফ আর তুষার এরই – অর্থাৎ যারা সাধনাতে লিপ্ত তাদেরই হতে হবে।
যকৃতটাকে ভালো ভাবে রান্না করে খেয়ে ফেলতে হবে ঠিক রাত বারোটাতে। সেই সাথে আওড়াতে হবে স্প্যানিশ কিছু
বাক্য।
বাক্যগুলো বের করে ওদের মেসেজ করে দেন অালম ভাই।
হৃৎপিন্ডের ভিন্ন কাজ আছে।
ওটার মাঝে দুই হাতের কানিঅাঙ্গুল ঢুকিয়ে মধুর সিরাপে ডোবাতে হবে।তারপর সেখান থেকে তিন ফোটা নিয়ে চা'য়ের সাথে মিশিয়ে নিয়ে সেই চা পান করতে হবে যকৃৎ ভক্ষণের পরপরই।চা'য়ের চা পাতা অবশ্য অাগে লাশ ঢাকার কাজে ব্যবহৃত হতে হবে।
এক রাতেই কয়েক স্তর উপরে ওঠা যায় এই একটা মাত্র টাস্কেরর মাধ্যমে।
সবকিছু জোগাড় হয়ে গেছে।লাশের গা ঢাকা চা-পাতাও!কাজেই অাজ ওরা এখানে।
যাচ্ছে একটা কবরস্থানে।দু'দিন অাগে মারা যাওয়া তরুণীর লাশ চুরি করে অানতে।
একটু দূরেই কবরস্থান দেখা যাচ্ছে।
এই দিকটায় কোন অালো নেই।ইলেক্ট্রিসিটির সব লাইন কেটে দেয়া হয়েছে নাকি??
একটু থমকায় তুঁষার।
অারে বেটা নাচতে নেমে এখন উঠানকে বাঁকা বললে কি চলবে??গজ গজ করে শরীফ।
শরীফের ফোনের অদ্ভুত রিংটোন নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে খান খান করে দেয়।অালম ভাইয়ের ফোন কল।
"তোমরা কি লাশ অানতে গেছ?
"জ্বী, ভাই।অামরা কবরস্থানেরর সামনে।"অাবডেট দেয় শরীফ।
অারেকটা ব্যাপার অাছে।সিদ্ধি লাভের জন্য কেবল লাশের ব্যাপারটাই যথেষ্ঠ ছিল না"।
(চলবে)
অাজ রাতে চাঁদ ওঠেনি।
চারপাশটা ঘুটঘুটে অন্ধকারে ঢেকে থাকার কথা নয় তাই বলে।রাস্তা জুঁড়ে রোড লাইট জ্বলছে।
তুঁষার অাজ নিজেকে অালোতে মানাতে পারছে না। অাজকে তাদের একমাত্র পরিচয় চোর।লাশ চোর। অন্ধকারেই তাদের অাজ ভালো মানাতো।
সামনে মহানন্দে হাটতে থাকা শরীফকে দেখে কিছুদিন অাগের কথা মনে পরে যায় ওর।
হঠাৎ করেই অালম ভাই ওদের প্রস্তাবটা দিয়ে বসেন। "প্রেতচর্চার ব্যাপারে তো তোমাদের অাগ্রহের কমতি নেই দেখছি,তা শেখার মতো সাহস অাছে তো??
দুজনেই বুঝতে পারে-এর পেছনে লুকোন অাছে একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত-ওরা শিখতে চায় কি না -সেটা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
শরীফ অার তুঁষারের ক্ষমতা পাবার তীব্র লোভ এর কাছে পরাস্ত হল অালম ভাইয়ের সন্দেহ্।
তার প্রেক্ষিতেই তালিম নিতে থাকে ওরা!নিয়মিত চক্রে বসতে বসতে অনেকটিই অাগাতে পেরেছে প্রেতসাধনারর দিকে।কিন্তু এক একটা স্টেজ পার হতেই যেন বছর লেগে যাবে। এতো সময় নষ্ট করা চলবে না।দু'মাস যেতে না যেতেই অার ভালো লাগে না শরীফের। অালম ভাইকে চেপে ধরে তুলনামূলক একটা শর্টকাট পথ দেয়ার জন্য!!
শর্টকাট??? ভ্রু নামিয়ে বলেন অালম ভাই।
জ্বী, ভাই।অাছে না কোন?মুখে অাশা ফুটিয়ে জানতে চায় শরীফ।
অাসলে ব্যাপারটা শয়তানের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত!শর্টকাট খুঁজতে গেলে ন্যাস্টি ওয়েতে কাজ করতে হবে।
"এই পথে যেহেতু এসেছি-ই একদিন না একদিন তো ন্যাস্টি হতেই হবে"-সোজা-সাপ্টা উত্তর দেয় শরীফ।তাছাড়া এরকম অসীম ক্ষমতার জন্য ওটুকু করতে রাজি অাছি অামরা,কি বলিস তুঁষার???
প্রতিউত্তরে সামান্য ঘাড় বাকায় তুঁষার। সে রাজি অাছে।
কাজেই পদ্ধতিটা বলে দেয় রানা।
তিনদিনের মাঝে অপঘাতে মারা যাওয়া তরুণীর লাশ থেকে হৃৎপিন্ড আর যকৃত কেটে বের করে নিতে হবে।
যকৃতটাকে আধা কেজি পিয়াজের সাথে মিশিয়ে তিন চামচ করে রক্ত দিয়ে রান্না করতে হবে। রক্তগুলো অবশ্য শরীফ আর তুষার এরই – অর্থাৎ যারা সাধনাতে লিপ্ত তাদেরই হতে হবে।
যকৃতটাকে ভালো ভাবে রান্না করে খেয়ে ফেলতে হবে ঠিক রাত বারোটাতে। সেই সাথে আওড়াতে হবে স্প্যানিশ কিছু
বাক্য।
বাক্যগুলো বের করে ওদের মেসেজ করে দেন অালম ভাই।
হৃৎপিন্ডের ভিন্ন কাজ আছে।
ওটার মাঝে দুই হাতের কানিঅাঙ্গুল ঢুকিয়ে মধুর সিরাপে ডোবাতে হবে।তারপর সেখান থেকে তিন ফোটা নিয়ে চা'য়ের সাথে মিশিয়ে নিয়ে সেই চা পান করতে হবে যকৃৎ ভক্ষণের পরপরই।চা'য়ের চা পাতা অবশ্য অাগে লাশ ঢাকার কাজে ব্যবহৃত হতে হবে।
এক রাতেই কয়েক স্তর উপরে ওঠা যায় এই একটা মাত্র টাস্কেরর মাধ্যমে।
সবকিছু জোগাড় হয়ে গেছে।লাশের গা ঢাকা চা-পাতাও!কাজেই অাজ ওরা এখানে।
যাচ্ছে একটা কবরস্থানে।দু'দিন অাগে মারা যাওয়া তরুণীর লাশ চুরি করে অানতে।
একটু দূরেই কবরস্থান দেখা যাচ্ছে।
এই দিকটায় কোন অালো নেই।ইলেক্ট্রিসিটির সব লাইন কেটে দেয়া হয়েছে নাকি??
একটু থমকায় তুঁষার।
অারে বেটা নাচতে নেমে এখন উঠানকে বাঁকা বললে কি চলবে??গজ গজ করে শরীফ।
শরীফের ফোনের অদ্ভুত রিংটোন নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে খান খান করে দেয়।অালম ভাইয়ের ফোন কল।
"তোমরা কি লাশ অানতে গেছ?
"জ্বী, ভাই।অামরা কবরস্থানেরর সামনে।"অাবডেট দেয় শরীফ।
অারেকটা ব্যাপার অাছে।সিদ্ধি লাভের জন্য কেবল লাশের ব্যাপারটাই যথেষ্ঠ ছিল না"।
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইমরান খাঁন সুজল ২০/০৮/২০১৭ধন্যবাদ।
-
আলম সারওয়ার ০৫/০৬/২০১৭ভাল লাগল আমার লেখাকে আরো গতিশীল করা করার জন্য শুভেচ্ছা
-
শরীফ আহমাদ ২৭/০৫/২০১৭চলতে থাকুক রহস্যময়তা......।ধন্যবাদ.....
-
সাঁঝের তারা ২৬/০৫/২০১৭চলতে থাকুক ...