www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সুখ বিড়ম্বনা (জীবন থেকে নেয়া)

বোন ভাগ্নেদের বিদায় জানাতে রোম বিমানবন্দরে গেলাম। ওরা লন্ডন যাচ্ছে। এই প্রথম 'ফুমিসিনো লিউনার্দো দা ভিঞ্চি' বিমানবন্দরে যাই গণপরিবহনে। ওদের বিদায় দিয়ে আবারো গাড়িতে উঠব, বিমানবন্দরের বাস স্টপিছে এসে দেখি একটা গাড়ি, তাও আবার বহিরা (Fuori servizio) লিখে দাঁড়িয়ে আছে। আমি একটু ছায়ার জন্য নিচের টার্মিনালে দাঁড়িয়ে ফ্রি ওয়াই. ফাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।

আমাকে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে গাড়ির জন্য। পরবর্তী গাড়ি ছাড়বে (যদিও এখনো আসে নি) ০৫.১৫টায়।

৫টায় একটা গাড়ি আসে, সামনের মনিটরে লেখা আছে অস্টিয়া টু এয়ারপোর্ট। বুঝতে পারলাম এটা আবার অস্টিয়া যাবে। কখন যে করনেলিয়ার (আমার গন্তব্য) গাড়ি আসবে! কিছুক্ষণ পর দেখি মনিটরের লেখা পরিবর্তন হয়েছে, স্থানের নামটি অপরিচিত। আমার মনে সন্দেহ হলো। যেহেতু ভাষাগত সমস্যা একটা আছে, মনের সব কথা বিদেশীদের বুঝানো যায় না।

আমি আমার পাশে দাঁড়ানো এক মহিলাকে বললাম, এই বাসটি কোথায় যাবে? সে তার অজ্ঞতার কথা জানালো। আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরে কীনা বাসের ভিতর থেকে এক মহিলাযাত্রী বলল, এটা অস্টিয়া যাবে, তুমি কি অস্টিয়া যাবে? আমি না বলেও চিন্তাটা দুর করতে পারলাম না।

ভাবলাম ড্রাইভারকে জিগ্যেস করতে হবে, সে সিগারেট খেতে দুরে গেছে। সে আসলে তাকে জিগ্যেস করতে জানালো, এটা করনেলিয়া যাবে। আমার মতো কিছু  কিংকর্তব্যবিমূঢ় যাত্রী এবার বাসে চড়ল, আর বাসে বসে থাকা ফুর্তিমান যাত্রীরা বিরস মুখে নামতে লাগল।

আমি ঐ যেচে কথা বলা উপকারী মহিলার দিকে তাকালাম। আহ! বেচারি। ওর হলো স্বপ্ন ভঙ্গ (যদিও ওদের গাড়িও এক সময় আসবে )আমার হলো চিন্তা দুর।

এটাকে কী বলা যায়! মানে এই পরিস্থিতিকে?
পাঠক কী বলতে পারবেন........
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৮১২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/১০/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast