বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ ও ১৪২৮
করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে আমাদের বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ ও ১৪২৮ উদযাপন একেবারে মাটি হয়ে যায়। এই অদৃশ্য ভাইরাস গত বছর বাংলাদেশে ধরা পড়ে। চীনে এই ভাইরাস ধরা পড়ে বাংলাদেশে ধরা পড়ারও কয়েক মাস আগে। এ থেকে সাধারণ ছুটি ও বর্তমানে সর্বাত্মক লকডাউনের ফলে দেশ প্রায় অচল হয়ে যায়। এমতাবস্থায়, বাংলা নববর্ষ পালন তো দূরের কথা, যান বাঁচানোই ফরজ হয়ে দাঁড়ায়। জানিনা এই সর্বনাশী করোনা আর কত দিন থাকবে! এই করোনা বেশী দিন থাকলে একদিকে মানুষশুণ্য হয়ে যাবে এই পৃথিবীটা। তখন বাংলা নববর্ষ পালন করার কোন মানুষই পাওয়া যাবে না হয়তো! আর যদিও দুই/চার জন থাকে, তারা নববর্ষ যে কি তা একবারে ভূলেই যাবে!
এই নববর্ষে কত কিছুই না ছিলো আমাদের! সকালে মাটির পাত্রে ইলিশ মাছ ভাজা আর পান্তা ভাত খাওয়া। যে লোক সারা বছর একবারও পান্তা খায় না সেই ব্যক্তিই সকালে উঠে পান্তা খাওয়া শুরু করে। একেবারে পুর্ণাঙ্গ বাঙ্গালী। আর ইলিশের কথা বলতেই চাই না। বৈশাখ আসার আগেই ইলিশের দাম দুই/দিন গুন চড়া হয়ে যায়। বিশ্রি অবস্থা, আর কি। এর মধ্যে বৈশাখী মেলা মানুষের প্রধান আকর্ষণ। সকালে উঠেই রং-বেরং-এর জামা পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় যেতাম। মেলা মানে শাহবাগসহ পুরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সারাদিন ঘুরাঘুরি। মানুষ আর মানুষ। একেবারে বাঙ্গালীর সার্বজনীন উৎসব। যাকে বলে জনসমুদ্র আর কি! হাঁটার মাঝে মাঝে একটু একটু মুড়ি/মুড়কি খাওয়া আর দম নেয়া। সকালে বটতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ গান। একেবারে অপূর্বই লাগে! সেইরকম আর কি! ফকির আলমগীরের গান চলে শিশু পার্কের সামনে। অপূর্ব সুর লাহরী। না শুনলে অনুভব করা খুবই কঠিন। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চলে খন্ড নাটিকা আর গান। সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য দিনটি খুবই মূল্যবান। যে যা পাড়ে তাই নিয়ে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে চলতে থাকে তাদের মহড়া। এই দিনটি শেষ হয়ে গেলে আবার এক বছর পরে আসবে আবার সুযোগ, তাই হেলায় এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তারপর মঙ্গল শুভাযাত্রা তো আছেই। মঙ্গল শুভাযাত্রা তো নয় যেন বিশাল আকৃতির জীবজন্তু ও ভূত-পেত্নির অবয়ব দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো আর কি! এ এক বিশাল ব্যাপার। এতো কিছুর ভিড়ে কোন কিছুই শান্তিমত দেখার জো নেই।
এখন করোনার কারণে নববর্ষ ভাচ্যুয়ালি পালন করা শুরু হয়েছে। ভাচ্যুয়ালি অর্থ মাঠে না গিয়ে কার্য সম্পাদন করা। অনেকটা ’ধরি মাছ না ছুঁই পানি।’ হায়রে কি জামানা আসছে? করোনা যদি ছাড় না দেয় তবে এমনি করে কেটে যাবে আমাদের বেলা অবেলা।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ (১৪ এপ্রিল, ২০২১)
এই নববর্ষে কত কিছুই না ছিলো আমাদের! সকালে মাটির পাত্রে ইলিশ মাছ ভাজা আর পান্তা ভাত খাওয়া। যে লোক সারা বছর একবারও পান্তা খায় না সেই ব্যক্তিই সকালে উঠে পান্তা খাওয়া শুরু করে। একেবারে পুর্ণাঙ্গ বাঙ্গালী। আর ইলিশের কথা বলতেই চাই না। বৈশাখ আসার আগেই ইলিশের দাম দুই/দিন গুন চড়া হয়ে যায়। বিশ্রি অবস্থা, আর কি। এর মধ্যে বৈশাখী মেলা মানুষের প্রধান আকর্ষণ। সকালে উঠেই রং-বেরং-এর জামা পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় যেতাম। মেলা মানে শাহবাগসহ পুরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সারাদিন ঘুরাঘুরি। মানুষ আর মানুষ। একেবারে বাঙ্গালীর সার্বজনীন উৎসব। যাকে বলে জনসমুদ্র আর কি! হাঁটার মাঝে মাঝে একটু একটু মুড়ি/মুড়কি খাওয়া আর দম নেয়া। সকালে বটতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ গান। একেবারে অপূর্বই লাগে! সেইরকম আর কি! ফকির আলমগীরের গান চলে শিশু পার্কের সামনে। অপূর্ব সুর লাহরী। না শুনলে অনুভব করা খুবই কঠিন। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চলে খন্ড নাটিকা আর গান। সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য দিনটি খুবই মূল্যবান। যে যা পাড়ে তাই নিয়ে বিশাল জনসমুদ্রের সামনে চলতে থাকে তাদের মহড়া। এই দিনটি শেষ হয়ে গেলে আবার এক বছর পরে আসবে আবার সুযোগ, তাই হেলায় এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। তারপর মঙ্গল শুভাযাত্রা তো আছেই। মঙ্গল শুভাযাত্রা তো নয় যেন বিশাল আকৃতির জীবজন্তু ও ভূত-পেত্নির অবয়ব দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো আর কি! এ এক বিশাল ব্যাপার। এতো কিছুর ভিড়ে কোন কিছুই শান্তিমত দেখার জো নেই।
এখন করোনার কারণে নববর্ষ ভাচ্যুয়ালি পালন করা শুরু হয়েছে। ভাচ্যুয়ালি অর্থ মাঠে না গিয়ে কার্য সম্পাদন করা। অনেকটা ’ধরি মাছ না ছুঁই পানি।’ হায়রে কি জামানা আসছে? করোনা যদি ছাড় না দেয় তবে এমনি করে কেটে যাবে আমাদের বেলা অবেলা।
-স্বপন রোজারিও (মাইকেল), ১লা বৈশাখ, ১৪২৮ (১৪ এপ্রিল, ২০২১)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৫/০৪/২০২১Shuvo Noboborsho
-
ফয়জুল মহী ১৪/০৪/২০২১Happy new year
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৪/০৪/২০২১বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। সুন্দর লিখেছেন।