একটি সুখের গল্প ২
আন্টি বেরিয়ে এসে আমাদের রিসিভ করে নিলেন ,পারলে আমাকে কোলে করে নেন ,ওর আন্তরিকতার কোনো তুলনা হয়না ।।আন্টি আমি যে অনেক বড় হয়ে গেছি,
আন্টি বললেন ,মায়ের কাছে মেয়ে কবে বড় হয়েছে রে ?
ঘরে ঢুকতে না ঢুকতে ওদের দুজনের হৈ হল্লা শুরু হয়ে গেলো ,
আণ্টি টেবিল ভরা রাজ্যের খাওয়ার আমাকে খাওয়ানোর জন্যে জোরাজুরী শুরু করলেন ...
মা বললেন ওকে এখন থেকে ডায়েটিং এর অভ্যাস করিয়েছি, মোটা হয়ে গেলে মানুষকে খুব বেখাপ্পা দেখায়,আমরা মা মেয়ে দুজনেই জিম-এ যাই রেগুলার ...
আন্টি বললেন , কি বলো! তাই তো তোমার ফিগার এখনো যথেষ্ঠ ভালো ...আমার সময় হয় না এতো বড় স্ংসার ম্যানেজ করতে গিয়ে আমি জিমে যাওয়ার সময় পাইনা ...
আমি আন্টির খাওয়ার চাপাচাপি থেকে বাঁচতে জামিলকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম পুরো যায়গাটা ঘুরে দেখতে ...
আগে যখন এসেছি মায়ের আঁচলে আঁচলে থাকতাম ...কখনো এমন ঘুরে দেখিনি অথবা এমন দেখার চোখ ছিলো না ...
আ্ঙ্কেল গোটা যায়গাটাকে সাজিয়েছেন মনের মাধুরী দিয়ে ...আঙ্কেল কি তাহলে বিজনেস পারপাজে ব্যবহার করছেন গোটা বাড়ী সংলগ্ন যায়গাটা , বিশাল বিশাল তিনটা দীঘির মতো পুকুর , কলা-পেপের প্লান্টেশন ,স্ট্রবেরীর প্রশস্ত বেড,ল্যান্ড্সকেপটাকে একটা পাহাড়ী লুকও দিয়েছেন , দেশী-বিদেশী দেবদারু গাছের এমন ব্যবহার পুরো যায়গাটাকে একটা স্বর্গীয় রুপ দিয়েছে...
একটু পর পর রয়েছে বাগানবিলাস, শিউলী ,বকুল আর লতানো বিভিন্ন ক্রিপারস ...কি তাদের রং! মনে হোলো সত্যিই আমি স্বর্গের মাঝে ঢুকে পড়েছি ...
একটা ডোবা মতো যায়গায় ফুটে আছে শরতকালের বিশাল বিশাল গাঢ় গোলাপী রঙএর শাপলা ,আমি মনে মনে আঙ্কেলকে ধন্যবাদ দিলাম ...he is really a creative guy!
পরে জেনেছি ঊনার দেশে-বিদেশে অনেক বিজনেস আছে আর প্রচুর লোককে উনি কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এসব ফার্মে...
আমার প্রায় দুপুর হয়ে গেলো গোটা যায়গাটা ঘুরে দেখতে ...আন্টি আমাকে আমাকে লাঞ্চ করানোর জন্যে লোক পাঠালেন, দশ-বারো বছরের জামাল ছেলেটা বেশ মাটির মতো স্বতস্ফূর্ত ...মুখে যেনো কথা ফুরায়না ...
খামার এর দিকটা থেকে ফেরার পথে মনে হোলো ...আরে রাতুলকে তো একবারও দেখলাম না ও গেল কোথায় ...আফ্টার অল আমার মফস্বলের একজন আডম্যায়ারার ...একা একা মনে মনে খুব হাসলাম ...মা জানতে পারলে খবর আছে ...আমার ব্যাপারে মা ভীষন নাক উঁচু ...মনে হয় উনার সন্ধানে কোনো রাজপুত্র-টুত্র আছে ...সেদিন কাকে যেনো বলছিলেন ...না বাবা এখন তো বিয়ের প্রশ্ন উঠেই না ...ওকে আমি বেসিক্যালি শহরে সেটেল করাবো...
আমি হাতে মুখে পানি দিয়ে আন্টিকে জিজ্ঞেস করলাম ,রাতুলকে তো দেখছি না , আন্টি, ও কোথায়?
তোমার আঙ্কেল ওকে পড়াশুনার পাশাপাশি বিজনেসে পার্ট টাইম ইনভলভ করিয়েছে ,তা না হলে ছেলেরা আকটিভ হয় না ...
আঙ্কেলের সাথে অনেকদিন দেখা হয় না , আজ হবে তো ?
''একটু দেরী হবে ঋতু , আমি ওকে জানিয়েছি যে তোরা এসেছিস ...''
খাবার টেবিলে রাতুল জয়েন করলো...কি হয়েছে ছেলেটার আজ দেখি আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে,মা -আন্টি দেখলে কি ভাববে? কি অস্বস্তিকর !
আমি কোনোমতে খেয়ে উঠে পড়লাম, ওদের ঢাউস ড্রয়িং রুমে কিছুক্ষন বসলাম ...একা একা অনেকক্ষণ হাসলাম ।।আন্টি পুডিং খেতে বললে কায়দা করে ওর চোখ ফাঁকি দিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম ...এখানেও শান্তি নেই ...রাতুলটা এখানে কি করছে !আমি চলে যাচ্ছিলাম ও আমাকে পেছন থেকে ডাকলো ...এই ঋতু কেমন আছিস ...তুই আমাকে আভয়েড করিস কেনো...কতোদিন পর তোর সাথে দেখা হলো কথাই বলছিস না আমার সাথে !
না,মানে দেখা তো হোলোই ...তুই কেমন আছিস ...তোর কোনো নতুন খবর আছে নাকি ?
আমার খবর কে রাখে ?
ভাব বাচ্যে কথা বলবি না ...
দ্যাখ আমার হাতে সময় কম তোর সাথে আমার জরুরী কথা আছে
কি জরূরী কথা ?
একদম ন্যাকামী করার চেষ্টা করবি না তাহলে যে কদিন এখানে আছি তোদের বাসায় আসা বন্ধ করে দেবো ...
তুই না আসলে আমি রোজ একবার তোদের ও বাড়ি তে যাবো...
যেয়ে দ্যাখ মাকে বলে দেবো...
য্তদূর মনে হয় আণ্টি আমাকে পচ্ছন্দ করেন ...
করে না এমন না , তবে রোজ রোজ যেয়ে দেখো তোমার টেংরী ভেঙ্গে দেবে ...
আমরা বিকেলের দিকে চলে এলাম , আমারা বিদায় নেওয়ার আগে আন্টি রাতুলের বড় বোনের বিয়ের ডেকোরেশনের দায়িত্ব আমার উপর
চাপিয়ে দিলো ...আমি আর্ট শিখেছি তাই বলে এতো বড় দায়িত্ব পালন করার যোগ্য আমি নই ...আমি ইতস্তত করছিলাম ...তার সাথে যোগ হয়েছে আজ বিকেলের নতুন অস্বস্তি ...
(চলবে)
আন্টি বললেন ,মায়ের কাছে মেয়ে কবে বড় হয়েছে রে ?
ঘরে ঢুকতে না ঢুকতে ওদের দুজনের হৈ হল্লা শুরু হয়ে গেলো ,
আণ্টি টেবিল ভরা রাজ্যের খাওয়ার আমাকে খাওয়ানোর জন্যে জোরাজুরী শুরু করলেন ...
মা বললেন ওকে এখন থেকে ডায়েটিং এর অভ্যাস করিয়েছি, মোটা হয়ে গেলে মানুষকে খুব বেখাপ্পা দেখায়,আমরা মা মেয়ে দুজনেই জিম-এ যাই রেগুলার ...
আন্টি বললেন , কি বলো! তাই তো তোমার ফিগার এখনো যথেষ্ঠ ভালো ...আমার সময় হয় না এতো বড় স্ংসার ম্যানেজ করতে গিয়ে আমি জিমে যাওয়ার সময় পাইনা ...
আমি আন্টির খাওয়ার চাপাচাপি থেকে বাঁচতে জামিলকে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম পুরো যায়গাটা ঘুরে দেখতে ...
আগে যখন এসেছি মায়ের আঁচলে আঁচলে থাকতাম ...কখনো এমন ঘুরে দেখিনি অথবা এমন দেখার চোখ ছিলো না ...
আ্ঙ্কেল গোটা যায়গাটাকে সাজিয়েছেন মনের মাধুরী দিয়ে ...আঙ্কেল কি তাহলে বিজনেস পারপাজে ব্যবহার করছেন গোটা বাড়ী সংলগ্ন যায়গাটা , বিশাল বিশাল তিনটা দীঘির মতো পুকুর , কলা-পেপের প্লান্টেশন ,স্ট্রবেরীর প্রশস্ত বেড,ল্যান্ড্সকেপটাকে একটা পাহাড়ী লুকও দিয়েছেন , দেশী-বিদেশী দেবদারু গাছের এমন ব্যবহার পুরো যায়গাটাকে একটা স্বর্গীয় রুপ দিয়েছে...
একটু পর পর রয়েছে বাগানবিলাস, শিউলী ,বকুল আর লতানো বিভিন্ন ক্রিপারস ...কি তাদের রং! মনে হোলো সত্যিই আমি স্বর্গের মাঝে ঢুকে পড়েছি ...
একটা ডোবা মতো যায়গায় ফুটে আছে শরতকালের বিশাল বিশাল গাঢ় গোলাপী রঙএর শাপলা ,আমি মনে মনে আঙ্কেলকে ধন্যবাদ দিলাম ...he is really a creative guy!
পরে জেনেছি ঊনার দেশে-বিদেশে অনেক বিজনেস আছে আর প্রচুর লোককে উনি কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এসব ফার্মে...
আমার প্রায় দুপুর হয়ে গেলো গোটা যায়গাটা ঘুরে দেখতে ...আন্টি আমাকে আমাকে লাঞ্চ করানোর জন্যে লোক পাঠালেন, দশ-বারো বছরের জামাল ছেলেটা বেশ মাটির মতো স্বতস্ফূর্ত ...মুখে যেনো কথা ফুরায়না ...
খামার এর দিকটা থেকে ফেরার পথে মনে হোলো ...আরে রাতুলকে তো একবারও দেখলাম না ও গেল কোথায় ...আফ্টার অল আমার মফস্বলের একজন আডম্যায়ারার ...একা একা মনে মনে খুব হাসলাম ...মা জানতে পারলে খবর আছে ...আমার ব্যাপারে মা ভীষন নাক উঁচু ...মনে হয় উনার সন্ধানে কোনো রাজপুত্র-টুত্র আছে ...সেদিন কাকে যেনো বলছিলেন ...না বাবা এখন তো বিয়ের প্রশ্ন উঠেই না ...ওকে আমি বেসিক্যালি শহরে সেটেল করাবো...
আমি হাতে মুখে পানি দিয়ে আন্টিকে জিজ্ঞেস করলাম ,রাতুলকে তো দেখছি না , আন্টি, ও কোথায়?
তোমার আঙ্কেল ওকে পড়াশুনার পাশাপাশি বিজনেসে পার্ট টাইম ইনভলভ করিয়েছে ,তা না হলে ছেলেরা আকটিভ হয় না ...
আঙ্কেলের সাথে অনেকদিন দেখা হয় না , আজ হবে তো ?
''একটু দেরী হবে ঋতু , আমি ওকে জানিয়েছি যে তোরা এসেছিস ...''
খাবার টেবিলে রাতুল জয়েন করলো...কি হয়েছে ছেলেটার আজ দেখি আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে,মা -আন্টি দেখলে কি ভাববে? কি অস্বস্তিকর !
আমি কোনোমতে খেয়ে উঠে পড়লাম, ওদের ঢাউস ড্রয়িং রুমে কিছুক্ষন বসলাম ...একা একা অনেকক্ষণ হাসলাম ।।আন্টি পুডিং খেতে বললে কায়দা করে ওর চোখ ফাঁকি দিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম ...এখানেও শান্তি নেই ...রাতুলটা এখানে কি করছে !আমি চলে যাচ্ছিলাম ও আমাকে পেছন থেকে ডাকলো ...এই ঋতু কেমন আছিস ...তুই আমাকে আভয়েড করিস কেনো...কতোদিন পর তোর সাথে দেখা হলো কথাই বলছিস না আমার সাথে !
না,মানে দেখা তো হোলোই ...তুই কেমন আছিস ...তোর কোনো নতুন খবর আছে নাকি ?
আমার খবর কে রাখে ?
ভাব বাচ্যে কথা বলবি না ...
দ্যাখ আমার হাতে সময় কম তোর সাথে আমার জরুরী কথা আছে
কি জরূরী কথা ?
একদম ন্যাকামী করার চেষ্টা করবি না তাহলে যে কদিন এখানে আছি তোদের বাসায় আসা বন্ধ করে দেবো ...
তুই না আসলে আমি রোজ একবার তোদের ও বাড়ি তে যাবো...
যেয়ে দ্যাখ মাকে বলে দেবো...
য্তদূর মনে হয় আণ্টি আমাকে পচ্ছন্দ করেন ...
করে না এমন না , তবে রোজ রোজ যেয়ে দেখো তোমার টেংরী ভেঙ্গে দেবে ...
আমরা বিকেলের দিকে চলে এলাম , আমারা বিদায় নেওয়ার আগে আন্টি রাতুলের বড় বোনের বিয়ের ডেকোরেশনের দায়িত্ব আমার উপর
চাপিয়ে দিলো ...আমি আর্ট শিখেছি তাই বলে এতো বড় দায়িত্ব পালন করার যোগ্য আমি নই ...আমি ইতস্তত করছিলাম ...তার সাথে যোগ হয়েছে আজ বিকেলের নতুন অস্বস্তি ...
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০৭/১১/২০১৩খুব ভালো হচ্ছে
-
אולי כולנו טועים ০৬/১১/২০১৩বেশ সুন্দর !
দারুন গতিময়, লেখায় প্রাণ রয়েছে। -
ইসমাত ইয়াসমিন ০৬/১১/২০১৩ভাল লাগল। অপেক্ষায় থাকলাম ।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০৬/১১/২০১৩দারুণ এগিয়ে যাচ্ছে।অপেক্ষায় থাকলাম।