www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মধুকবির বীরাঙ্গনারা(3)

(পরবর্তী অংশ)
তৃতীয় সর্গে শিশুপালের সঙ্গে বিবাহে অরাজি রুক্সিণী পত্র লিখেছেন বিষ্ণু অবতার দ্বারকানাথ(কৃষ্ণ)-কে।পত্রের প্রথমেই পত্রের মূল উদ্দেশ্য ব্যক্ত করেছেন রুক্সিণী-'নমি ও রাজীব-পদে,/রুক্সিণী,-ভীষ্মক-পুত্রী,চিরদাসী তব,/তার,হে তারক,তারে এ বিপত্তি-কালে!' শেষ বাক্যটিতে অনুপ্রাস অলঙ্কারের এমন অপরূপ প্রয়োগ রসিক পাঠকমাত্রকেই যুগপৎ মোহাবিষ্ট ও নিঃশঙ্ক করবে মধুসূদনের প্রতিভা সম্পর্কে।আবার নারীসুলভ লজ্জায় রুক্সিণীর মনের কথা মধুকবির প্রকাশ করেছেন এইভাবে-'দেবে সাক্ষী করি বরি দেবনরোত্তমে/বরভাবে! নারী দাসী,নারে উচ্চারিত/নাম তাঁর,স্বামী তিনি; কিন্তু কহ,শুন,/পঞ্চমুখে পঞ্চমুখ জপেন সতত/সে নাম,-জগত-কর্ণে সুধার লহরী!' এইভাবে মনের মানুষটির পরিচয় দিতে দিতে রুক্সিণী বলে ওঠেন-'কি লজ্জা!ভাবিয়া দেখ,হে দ্বারকাপতি।/কেমনে অধর্ম্ম কর্ম্ম করিবে রুক্সিণী?/স্বেচ্ছায় দিয়াছে দাসী,হায়,এক জনে/কায় মনঃ;অন্য জনে-ক্ষম,গুণনিধি!' একই সঙ্গে সমর্পণ ও চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং সততার প্রকাশ ঘটে এই বাক্যগুলিতে।পত্রের শেষে রুক্সিণী দ্বারকানাথকে আহ্বান জানাচ্ছেন-'হর মোরে!হরে লয়ে দেহ তাঁর পদে,/হরিলা এ মনঃ যিনি নিশার স্বপনে!'
(ক্রমশ)
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৪৪৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/১১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast