অসুস্থ সমাপ্তি
আমিও স্বনিয়ন্ত্রিত, শুধু ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নয়,কাঁদিনা আমি, আসেনা।নিয়ন্ত্রনের মূল অর্থ ‘ক্ষমতা’ আর ক্ষমতার বর্তমান অর্থ ‘উন্নতিতে সহায়তা’ বা পাশে দাঁড়ানো নয়; পঙ্গুকে ক্লাচ এগিয়ে না দিয়ে, দেখেও না দেখার ভান করা ,অথচ সেই পঙ্গুই যদি নিজের ক্লাচটি নিজে নিতে গিয়ে পড়ে ব্যাথা পেয়ে রাগ করে এবং উন্মত্ত হয়ে ভগবানকে দোষারোপ করতে করতে বাকী পঙ্গুদের কষ্টের ভাগীদার না করতে খুন করে,তখন সেটা হয়ে ওঠে দোষ,অপরাধ । ক্ষমতার বর্তমান অর্থের প্রকৃত ছবিটা ফুটে ওঠে তখনই ।
ঘটনাটি সেরকমই। নিয়ন্ত্রন, মূল্যবোধ শব্দগুলো বাবা শিখিয়েছিলেন । দীর্ঘ আটত্রিশ বছর রাষ্ট্রের অপব্যভার,অপমান,অবিচার সহ্য করে থাকা আমার বাবা আর উচ্চবিত্তের চোখে সমাজের এই ‘বস্তী’গুলোর মানুষকে প্রণাম তার/তাদের নিয়ন্ত্রনের জন্যে আর ধিক্কার নিজের সিংহসুলভ হৃদয়কে কিছু মানুষরূপী পশুর কাছে বিলিয়ে দেবার জন্যে । ধিক্কার নিজের পরিবারকে না খাইয়ে পরেশদার চালের ফুটো সারিয়ে দেওয়ার জন্যে অথবা বীথিদি গর্ভবতী বলে মায়ের সামান্য জমানো অর্থটুকু দিয়ে যথাসাধ্য করার জন্য।আজ তোমাকে, পরেশদাকে অথবা তোমার বীথিদিকে তো কখনো দেখিনি এই পরিশ্রমটা নিজের উন্নতির স্বর্থে, রাষ্ট্রের ভারসাম্যহীন এই নির্লজ্জ সমাজব্যবস্থার প্রতিবাদে খরচ করতে, তরোয়ালী মানসিকতাটার ধার কী এতই কমে গিয়েছিল বাবা? নাকি রাষ্ট্রের হাজার বছরের পাশবিক শোষনে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটাকে মন থেকে মুছে দিয়েছিল? মরতে তো একদিন হতোই, প্রতিবাদী বাবা হলে হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে যেতে,আমার হাতে মরতে হতোনা । এইভাবে খুন হতে হতোনা নিজের চোদ্দ বছরের মেয়ের হাতে ।
আর জানোতো, গরীবের মূল্যবোধ থাকতে নেই, বড়ই ভয়ংকর সেটা, ভূল শিখিয়েছিলে তুমি। ‘চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব হয় মা’, এই কথাটিতেই স্বপ্ন দেখা পেশায় রিকশাচালকের বছর দশেকের মেয়েটি তখন যে আর সবটা বুঝতে পারেনি । সততা আর গরিবির মেলবন্ধনটা যে বড়োই অদ্ভুত, নইলে কি আর ক্ষুধার্ত পেটে কিছু করতে বেরিয়েও উচ্চবিত্তের কামাসক্ত চোখের কামড়ে পড়তে হয়, বছর এগারোর মেয়েকে দেখেও যে পুরুষসমাজের যৌনাঙ্গ ইশারা করে ধিক্কার সে পুরুষকে আমার। আর কেন? মানসিক, শারীরিক যেকোনোভাবেই হোক, শোষণটা কেন ছাড়ছো না?শান্তি কি পাও? ভেবে দেখো সুখ শরীর দেয় সর্বদা, আর শান্তি মন; সুখ ক্ষণস্থায়ী শান্তিটা নয় ।নিজের ভেতরের পশুটা এক অদ্ভুত পাশবিক সুখ দেয়, মানসিক শান্তি নয়।
কিন্তু ওই যে আমি মেয়ে হয়ে, গরীব হয়েও সাহস দেখিয়েছিলাম ‘কিছু করতেই হবে’;কিন্তু এ সমাজ তো করতে দেবে না কিছু , প্রতিভা তাও গরীবের, ওসব ‘মিথ’, ওসব কিছু হয়না, ‘দুবেলা দুমুঠো যে খেতে পায়না তার আবার............ হাঃ
লড়াইটা সবার মতো করে ছাড়তে চাইনি, রাষ্ট্রকে যখন আটকাতে পারবোনা...তখন নিজেই, নাঃ এদুটোকেও বাঁচতে দেবো না,আমার একার মৃত্যুপরবর্তী জীবন এদের আরো গরীব করে দেবে । খাবারে বিষের দামও বোধহয় অনেক না?...হ্যাঃ হবে হয়ত, দেখতে হবে...
ঘটনাটি সেরকমই। নিয়ন্ত্রন, মূল্যবোধ শব্দগুলো বাবা শিখিয়েছিলেন । দীর্ঘ আটত্রিশ বছর রাষ্ট্রের অপব্যভার,অপমান,অবিচার সহ্য করে থাকা আমার বাবা আর উচ্চবিত্তের চোখে সমাজের এই ‘বস্তী’গুলোর মানুষকে প্রণাম তার/তাদের নিয়ন্ত্রনের জন্যে আর ধিক্কার নিজের সিংহসুলভ হৃদয়কে কিছু মানুষরূপী পশুর কাছে বিলিয়ে দেবার জন্যে । ধিক্কার নিজের পরিবারকে না খাইয়ে পরেশদার চালের ফুটো সারিয়ে দেওয়ার জন্যে অথবা বীথিদি গর্ভবতী বলে মায়ের সামান্য জমানো অর্থটুকু দিয়ে যথাসাধ্য করার জন্য।আজ তোমাকে, পরেশদাকে অথবা তোমার বীথিদিকে তো কখনো দেখিনি এই পরিশ্রমটা নিজের উন্নতির স্বর্থে, রাষ্ট্রের ভারসাম্যহীন এই নির্লজ্জ সমাজব্যবস্থার প্রতিবাদে খরচ করতে, তরোয়ালী মানসিকতাটার ধার কী এতই কমে গিয়েছিল বাবা? নাকি রাষ্ট্রের হাজার বছরের পাশবিক শোষনে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটাকে মন থেকে মুছে দিয়েছিল? মরতে তো একদিন হতোই, প্রতিবাদী বাবা হলে হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে যেতে,আমার হাতে মরতে হতোনা । এইভাবে খুন হতে হতোনা নিজের চোদ্দ বছরের মেয়ের হাতে ।
আর জানোতো, গরীবের মূল্যবোধ থাকতে নেই, বড়ই ভয়ংকর সেটা, ভূল শিখিয়েছিলে তুমি। ‘চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব হয় মা’, এই কথাটিতেই স্বপ্ন দেখা পেশায় রিকশাচালকের বছর দশেকের মেয়েটি তখন যে আর সবটা বুঝতে পারেনি । সততা আর গরিবির মেলবন্ধনটা যে বড়োই অদ্ভুত, নইলে কি আর ক্ষুধার্ত পেটে কিছু করতে বেরিয়েও উচ্চবিত্তের কামাসক্ত চোখের কামড়ে পড়তে হয়, বছর এগারোর মেয়েকে দেখেও যে পুরুষসমাজের যৌনাঙ্গ ইশারা করে ধিক্কার সে পুরুষকে আমার। আর কেন? মানসিক, শারীরিক যেকোনোভাবেই হোক, শোষণটা কেন ছাড়ছো না?শান্তি কি পাও? ভেবে দেখো সুখ শরীর দেয় সর্বদা, আর শান্তি মন; সুখ ক্ষণস্থায়ী শান্তিটা নয় ।নিজের ভেতরের পশুটা এক অদ্ভুত পাশবিক সুখ দেয়, মানসিক শান্তি নয়।
কিন্তু ওই যে আমি মেয়ে হয়ে, গরীব হয়েও সাহস দেখিয়েছিলাম ‘কিছু করতেই হবে’;কিন্তু এ সমাজ তো করতে দেবে না কিছু , প্রতিভা তাও গরীবের, ওসব ‘মিথ’, ওসব কিছু হয়না, ‘দুবেলা দুমুঠো যে খেতে পায়না তার আবার............ হাঃ
লড়াইটা সবার মতো করে ছাড়তে চাইনি, রাষ্ট্রকে যখন আটকাতে পারবোনা...তখন নিজেই, নাঃ এদুটোকেও বাঁচতে দেবো না,আমার একার মৃত্যুপরবর্তী জীবন এদের আরো গরীব করে দেবে । খাবারে বিষের দামও বোধহয় অনেক না?...হ্যাঃ হবে হয়ত, দেখতে হবে...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৬/১২/২০১৭ভালো লাগলো।
-
সাদিক আল আমিন ১৩/১২/২০১৭ভালো বলেছেন
-
মীর মুহাম্মাদ আলী ১৩/১২/২০১৭সুন্দর লেখা।।