www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আত্ন সৌন্দর্য

ভিতরের সৌন্দর্যের স্বরূপ কি, কিভাবে তা প্রকাশিত হয়? ভিতরের সৌন্দর্যই যদি সব হয় তবে পুষ্পরাজি কেন নিজেকে উজাড় করে, নিজেকে রাঙ্গিয়ে মৌমাছিকে কাছে ডাকে, কেন বৃষ্টির ফোঁটাগুলি রংধনুতে বদলে যায় সূর্যের দেখা পেলে? কারন প্রকৃতি সৌন্দর্যের প্রত্যাশী, তার সন্তুষ্টি মেলে সৌন্দর্য তুলে ধরার মধ্যে। বাহিরের সৌন্দর্য কে বলা যেতে পারে ভেতরের সৌন্দর্যের দৃশ্যমান রূপ যা আমাদের চোখের আলোর মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়। তবে এমন নয় যে বাহিরের পোশাকি রূপ বা আভিজাত্যের স্পর্শ বা অন্যকে মুগ্ধ করার কথা বলছি, বলতে চাইছি আমাদের ভেতরের আলোর কথা - অন্তরের আলো যা আমাদের আত্নার রূপ। আমাদের চোখ আমাদের আত্নার আয়না, যা দেখা যায়না আমাদের ভেতরে লুকিয়ে আছে তাই এখানে অভিব্যক্ত হয়। আয়নার মত বলেই, কারো চোখের দিকে তাকালে মানুষ নিজেকেই দেখতে পায়। তাই অপরিচ্ছন্ন আত্না নিয়ে কেউ কারো চোখের দিকে তাকালে নিজের হীনতাই চোখে পরবে।


সৌন্দর্য সর্বত্রই বিদ্যমান। আমি, তুমি, আপনি সবাই সৌন্দর্যের আধার, সংশয় ঘটে তখনি যখন আমরা আমাদের নিজ রূপ, মৌলিকতা ভুলে গিয়ে অন্যের চোখে ক্রমাগত নিজেকে যাচাই করি। আমরাই আমাদের আত্ন সৌন্দর্য কে অস্বীকার করি কারন অন্যরা তা দেখতে পায়না। নিজেকে মেনে নেয়ার বা মেলে ধরার পরিবর্তে আমরা আমাদের চারিপাশকে বড্ড অনুকরণ করি। আমরা অন্যের চোখে নিজেকে খুঁজতে যেয়ে, নিজের প্রকৃত সৌন্দর্যকে হারিয়ে ফেলি।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৬১৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/০৩/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মানিক হোসেন ১০/০৪/২০১৮
    দারুন লিখেছেন কবি।শুভেচ্ছা রইলো।
  • আবু কওছর ১৮/০৩/২০১৮
    আমাদের সবারই আগে নিজেকে জানার চেষ্টা প্রয়োজন, আমার আমিত্বকে আবিস্কার করতে পারলে আমি নামক ফুল সু-প্রষ্ফুটিত হবেই।
    চমৎকার লিখেছেন আপনি।
    শুভকামনা থাকলো।
 
Quantcast