www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

স্বপ্ন দেখা পাপ(তৃতীয় পর্ব)

কিছুদিন পরে অনিকেতের বাড়ি হঠাৎ সেজে উঠল আলোকসজ্জায়,ভরে গেলো অথিতিতে।অনিকেতের বাবা তার এক বন্ধুর মেয়ে সঙ্গে তার আর্শীবাদের আয়োজন করল।খবর টা রিমির কানে যেতেই,সে তো কেঁদেকেটে অস্থির।সে কোন হিসাব মেলাতে পারছেনা,অনি শেষ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসার ছোট্ট চারাগাছ কে যৌবনে নিধন করলো।নীরবে কেঁদে যায় ভালোবাসা,চাপা পড়ে যায় সব আশা।ওদিকে অনিকেতের বাড়িতে রীতিমতো হৈ চৈ, হুল্লোরে যেন এক উৎসবের মেজাজ।অনিকেত ভাবল,"না,আর দেরী নয়,আর রিমির উপর রাগ করে থাকলে চলবেনা।এখন তাকে কিছু করতে হবে, তা না হলে তাদের স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাবে।এখন ও সময় আছে,আর দেরী করলে তার বাবা তাকে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে।"
একটু সুযোগ বুঝেই সে বেরিয়ে পড়লো দুঃসাহসিক অভিযানে,যে অভিযানে সফল হতে হলে তাকে শংকরের মত সাহস দেখাতে হবে।সে রিমির হোটেল রুমে প্রবেশ করতেই,রিমি তাকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারলো না।দুরন্ত ঘুর্ণী ঝড়ের মত তার দিকে ছুটে গেলো দিক বিদিক ঞ্জানশূন্য হয়ে অনির দিকে ছুটে গেলো।সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গালে জোরে চড় বসিয়ে দিয়ে অঅশ্রুধারায় ভেসে যেতে লাগল তার দুই অক্ষিপট।অনি তাকে বুকে টেনে নিয়ে,"তুমি কি ভেবেছো,আমি তোমাকে ঠকিয়েছি?তোমাকে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যকে মেয়েকে বিয়ে করব।আমি শুধু তোমাকে ভালোবেসেছি,বিয়ে শুধু তোমাকেই করব।তোমার উপর রাগ করে আছি মানে এই নয়,যে আমি তোমাকে ভুলে যাবো"। তার এই কথায় রিমির কালো মেঘ জমে থাকা হৃদয়ে যেন রবিরাজার কিরণ খেলে গেলো।সে মিথ্যা অভিমান দেখিয়ে অনির বাহু থেকে নিজেকে ছিন্ন করে একটু দূরে সরে দাঁড়াল।অনি আবেগ ভরা বাঙালী প্রেমিকের ন্যায় তার অভিমান ভাঙাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।এভাবে রাগ-অভিমান ভাঙাতে ভাঙাতে দুই নর-নারী মেতে উঠল যৌবনের উন্মত্ত খেলায়।এভাবে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত
হওয়ার পর রিমি তার প্রেমিকের হাত ধরে বেড়িয়ে পড়লো শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ্টিকে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য।

তাদের এই পালিয়ে যাওয়ার খবর জেনে গেলো তার পরিবার,গ্রামবাসী সকলে।অনিকেতের মা কান্নায় ফেটে পড়লো,তার বাবা রাগে গুমরে আছে।তার একমাত্র ছেলেটা শেষ পর্যন্ত একটা পতিতার হাত ধরে পালিয়ে গেলো,সে কি করে তার মুখ সমাজের সামনে দেখাবে।তার এত প্রভাব প্রতিপত্তি,ঐশ্বর্য সব কিছু ধুলোয় মিশে গেলো একনিমেষে।এসব কথা ভাবতে ভাবতে তিনি গ্রামবাসীদের নিয়ে তাদের খুঁজতে বেরিয়ে গেলো।অনিকেতকে কে খুঁজে পাওয়া গেলো বারাসাত ষ্টেশনে,সে ও রিমি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল।রিমি তাদের কে দেখে ভয়ে ঠক ঠক করে কাঁপতে লাগলো,সে অনির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো।অনিকেতের বাবা ভেবেছিল তার ছেলেকে মারতে মারতে বাড়ি নিয়ে যাবে এবং মেয়েটিকে গ্রামের যুবক ছেলেদের হাতে তুলে দেবে,তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে কি ব্যবহার করা যাবে।কিন্ত তাঁদের নিষ্পাপ দুটি মুখ ও রিমির মায়া জড়ানো চোখ দেখে তিনি সিদ্ধান্ত বদলে দিলেন।তিনি গ্রামবাসীদের শান্ত করে অনিকেতেকে বললেন,"তুই, এই মেয়েকে বিয়ে করবি ভালোকথা কিন্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে আসলি কেনো।আমি তোর বাবা,তোর সুখের জন্য আমি সবকিছু করতে রাজি আছি।তুই একবার আমাকে জানালে আমি এই মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে ঠিক করতাম।যাইহোক এখন বাড়ি চল।" তার বাবার কথায় অনিকেত আশ্বস্ত হল,তারপর তার বাবার কথামতো রিমিকে নিয়ে তার বাড়ি চলে আসল।তারপর বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে রিমি ও অনিকেতের বিয়ে হয়ে গেলো।গ্রামবাসী এই ঘটনায় খুবি ক্ষুব্ধ হলো,তারা আড়ালে অনিকেতের বাবাকে গালিগালাজ ও নিন্দা করতে লাগলো।গ্রামবাসী তাকে নিন্দা করলেও,এই ঘটনায় তার সুনাম দুরদূরান্তে ছড়িয়ে পরলো।সকলে তার এই মহান কর্মের জন্য,মহান হৃদয়ের জন্য তার প্রশংসা করলো।

দেখতে দেখতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন,'পাখা' দল অনিকেতের বাবাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর 'টিকিট' দিলেন।আর কেনোই বা 'টিকিট' দেবেনা,তার বাবার সুনাম এখন তুঙ্গে।'পাখা' দলের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি যতই খারাপ হোক না কেনো,এই সীটে অনিকেতের বাবাকে কেউ হারাতে পারবেনা।তিনি এখন প্রচারের আলোয়,তিনি যে দলের হয়ে দাঁড়াক না কেনো তিনি জিতে যাবেন।নির্বাচন সম্পন্ন হলো,অনিকেতের বাবা জয়লাভ করল।অনিকেতের পরিবার মহাখুশি,অনিকেতের মা তো বৌমা কে মা-লক্ষীর আসনে বসাল।এদিকে অনিকেতের চাকুরীতে যোগদানের সময় আসন্ন হলো,সে কলকাতায় চলে গেলো।কিন্ত সে রিমিকে সঙ্গে নিলোনা দুটি কারনে।প্রথমত, সে চাইল রিমি তার পরিবারের সঙ্গে থেকে ঘনিষ্ট হোক।দ্বিতীয়ত,সে একটা নতুন ফ্লাট কিনে তারপর রিমিকে নিয়ে যাবে।

চাকুরীতে তার বেশ ভালো মন বসে গেলো,নতুন 'কলিগ' দের সঙ্গে সে অল্প অল্প করে ঘনিষ্ট হতে শুরু করলো।রিমিকে যদিও সে খুব 'মিস' করছে,তবু সে ভাবল একটা ফ্লাট কিনে তারপর তাকে তার কাছে নিয়ে যাবে।একদিন সকালে 'অফিস' যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মত আজ ও সে ফোন করলো রিমিকে কিন্ত রিমির ফোন বন্ধ বলছে।সে ভাবল হয়ত তার ফোনে চার্জ নেই,তাই সে আর চেষ্টা করলকিছুদিন পরে অনিকেতের বাড়ি হঠাৎ সেজে উঠল আলোকসজ্জায়,ভরে গেলো অথিতিতে।অনিকেতের বাবা তার এক বন্ধুর মেয়ে সঙ্গে তার আর্শীবাদের আয়োজন করল।খবর টা রিমির কানে যেতেই,সে তো কেঁদেকেটে অস্থির।সে কোন হিসাব মেলাতে পারছেনা,অনি শেষ পর্যন্ত তাদের ভালোবাসার ছোট্ট চারাগাছ কে যৌবনে নিধন করলো।নীরবে কেঁদে যায় ভালোবাসা,চাপা পড়ে যায় সব আশা।ওদিকে অনিকেতের বাড়িতে রীতিমতো হৈ চৈ, হুল্লোরে যেন এক উৎসবের মেজাজ।অনিকেত ভাবল,"না,আর দেরী নয়,আর রিমির উপর রাগ করে থাকলে চলবেনা।এখন তাকে কিছু করতে হবে, তা না হলে তাদের স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যাবে।এখন ও সময় আছে,আর দেরী করলে তার বাবা তাকে অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে।"
একটু সুযোগ বুঝেই সে বেরিয়ে পড়লো দুঃসাহসিক অভিযানে,যে অভিযানে সফল হতে হলে তাকে শংকরের মত সাহস দেখাতে হবে।সে রিমির হোটেল রুমে প্রবেশ করতেই,রিমি তাকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারলো না।দুরন্ত ঘুর্ণী ঝড়ের মত তার দিকে ছুটে গেলো দিক বিদিক ঞ্জানশূন্য হয়ে অনির দিকে ছুটে গেলো।সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার গালে জোরে চড় বসিয়ে দিয়ে অঅশ্রুধারায় ভেসে যেতে লাগল তার দুই অক্ষিপট।অনি তাকে বুকে টেনে নিয়ে,"তুমি কি ভেবেছো,আমি তোমাকে ঠকিয়েছি?তোমাকে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যকে মেয়েকে বিয়ে করব।আমি শুধু তোমাকে ভালোবেসেছি,বিয়ে শুধু তোমাকেই করব।তোমার উপর রাগ করে আছি মানে এই নয়,যে আমি তোমাকে ভুলে যাবো"। তার এই কথায় রিমির কালো মেঘ জমে থাকা হৃদয়ে যেন রবিরাজার কিরণ খেলে গেলো।সে মিথ্যা অভিমান দেখিয়ে অনির বাহু থেকে নিজেকে ছিন্ন করে একটু দূরে সরে দাঁড়াল।অনি আবেগ ভরা বাঙালী প্রেমিকের ন্যায় তার অভিমান ভাঙাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।এভাবে রাগ-অভিমান ভাঙাতে ভাঙাতে দুই নর-নারী মেতে উঠল যৌবনের উন্মত্ত খেলায়।এভাবে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত
হওয়ার পর রিমি তার প্রেমিকের হাত ধরে বেড়িয়ে পড়লো শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ্টিকে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য।

তাদের এই পালিয়ে যাওয়ার খবর জেনে গেলো তার পরিবার,গ্রামবাসী সকলে।অনিকেতের মা কান্নায় ফেটে পড়লো,তার বাবা রাগে গুমরে আছে।তার একমাত্র ছেলেটা শেষ পর্যন্ত একটা পতিতার হাত ধরে পালিয়ে গেলো,সে কি করে তার মুখ সমাজের সামনে দেখাবে।তার এত প্রভাব প্রতিপত্তি,ঐশ্বর্য সব কিছু ধুলোয় মিশে গেলো একনিমেষে।এসব কথা ভাবতে ভাবতে তিনি গ্রামবাসীদের নিয়ে তাদের খুঁজতে বেরিয়ে গেলো।অনিকেতকে কে খুঁজে পাওয়া গেলো বারাসাত ষ্টেশনে,সে ও রিমি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিল।রিমি তাদের কে দেখে ভয়ে ঠক ঠক করে কাঁপতে লাগলো,সে অনির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরলো।অনিকেতের বাবা ভেবেছিল তার ছেলেকে মারতে মারতে বাড়ি নিয়ে যাবে এবং মেয়েটিকে গ্রামের যুবক ছেলেদের হাতে তুলে দেবে,তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে কি ব্যবহার করা যাবে।কিন্ত তাঁদের নিষ্পাপ দুটি মুখ ও রিমির মায়া জড়ানো চোখ দেখে তিনি সিদ্ধান্ত বদলে দিলেন।তিনি গ্রামবাসীদের শান্ত করে অনিকেতেকে বললেন,"তুই, এই মেয়েকে বিয়ে করবি ভালোকথা কিন্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে আসলি কেনো।আমি তোর বাবা,তোর সুখের জন্য আমি সবকিছু করতে রাজি আছি।তুই একবার আমাকে জানালে আমি এই মেয়ের সঙ্গে তোর বিয়ে ঠিক করতাম।যাইহোক এখন বাড়ি চল।" তার বাবার কথায় অনিকেত আশ্বস্ত হল,তারপর তার বাবার কথামতো রিমিকে নিয়ে তার বাড়ি চলে আসল।তারপর বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে রিমি ও অনিকেতের বিয়ে হয়ে গেলো।গ্রামবাসী এই ঘটনায় খুবি ক্ষুব্ধ হলো,তারা আড়ালে অনিকেতের বাবাকে গালিগালাজ ও নিন্দা করতে লাগলো।গ্রামবাসী তাকে নিন্দা করলেও,এই ঘটনায় তার সুনাম দুরদূরান্তে ছড়িয়ে পরলো।সকলে তার এই মহান কর্মের জন্য,মহান হৃদয়ের জন্য তার প্রশংসা করলো।

দেখতে দেখতে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন,'পাখা' দল অনিকেতের বাবাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর 'টিকিট' দিলেন।আর কেনোই বা 'টিকিট' দেবেনা,তার বাবার সুনাম এখন তুঙ্গে।'পাখা' দলের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি যতই খারাপ হোক না কেনো,এই সীটে অনিকেতের বাবাকে কেউ হারাতে পারবেনা।তিনি এখন প্রচারের আলোয়,তিনি যে দলের হয়ে দাঁড়াক না কেনো তিনি জিতে যাবেন।নির্বাচন সম্পন্ন হলো,অনিকেতের বাবা জয়লাভ করল।অনিকেতের পরিবার মহাখুশি,অনিকেতের মা তো বৌমা কে মা-লক্ষীর আসনে বসাল।এদিকে অনিকেতের চাকুরীতে যোগদানের সময় আসন্ন হলো,সে কলকাতায় চলে গেলো।কিন্ত সে রিমিকে সঙ্গে নিলোনা দুটি কারনে।প্রথমত, সে চাইল রিমি তার পরিবারের সঙ্গে থেকে ঘনিষ্ট হোক।দ্বিতীয়ত,সে একটা নতুন ফ্লাট কিনে তারপর রিমিকে নিয়ে যাবে।

চাকুরীতে তার বেশ ভালো মন বসে গেলো,নতুন 'কলিগ' দের সঙ্গে সে অল্প অল্প করে ঘনিষ্ট হতে শুরু করলো।রিমিকে যদিও সে খুব 'মিস' করছে,তবু সে ভাবল একটা ফ্লাট কিনে তারপর তাকে তার কাছে নিয়ে যাবে।একদিন সকালে 'অফিস' যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মত আজ ও সে ফোন করলো রিমিকে কিন্ত রিমির ফোন বন্ধ বলছে।সে ভাবল হয়ত তার ফোনে চার্জ নেই,তাই সে আর চেষ্টা করল না।.................চলবে
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৮২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২২/১০/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সোলাইমান ২৭/১০/২০১৭
    জীবন সত্য ! জীবনে অধিক সত্য সেখানে বাস্তব বড্ড নির্মম !
  • Mahbubur Rahman ২২/১০/২০১৭
    ভাল হয়েছহে
  • মধু মঙ্গল সিনহা ২২/১০/২০১৭
    দারুণ
 
Quantcast