www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

তুমিময় গণিত রহস্য

আমার শৈশব পা ফেলেছিল একটা রেইনট্রি গাছের ছায়,
সুবাস নিয়েছিল কদম ফুলের,
একটা গোল বৃত্তের চতুর্দিকের রহস্য ছিলো মধ্যবিন্দুতে।
আমার জন্ম হিমেল বাতাসের মৃদুস্বরে, অনুরাধা ঋতুতে!
একটা ঝাউ গাছে কদু'র ডগা,কুমড়ার ফুল,শিমের বিচি অঙ্কুরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে উঠলো,
অবাঞ্ছিত লতাগুল্ম ঝলসে গেল।
আহামরি রব রব কাণ্ড! নিয়তির নিয়মকর্তার কাছে অনবদ্য রয়ে গেলাম আমি।
ব্যাপ্তিচাল ঘুর্ণিপাকে গেথে দিলেন তোমার চত্তরে,
গ্রীষ্ম,বর্ষা আর হেমন্তের বিরক্তিতে।

আমি দেখলাম, খেলা থামিয়ে দিয়ে রঙের ছোঁয়ায়;
অতিক্রমনীয় একটা সম্ভাবনার কপাট নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বুদ্ধিমত্তার আড়ালে।
লাবন্যতায় একাধিক সাধু সন্যাসীর ধ্যানমৌন,
প্রতারণায় ঢেকে যাচ্ছে,
এর পচন রহস্য "লাউ গুড় গুড় বুড়ি গেল অনেক দূরের" কাল্পনিক চিত্র পেইন্ট করে!
আমি গ্রীক কিংবা মিশরীয় ইকুয়েশনে পাল্লায় তুলি তোমার বিবেক,
পিরামিডের ভীতর রহস্য গণিতের ভাগশেষ শূন্য হলো,
তুমিটা নিঃশেষে বিভাজ্য হলে না!

আমি বড় হলাম,বিবেক জাগলো
বুড়িগঙ্গার পঁচা পানিতে নাচন দেখলাম শর্ষে ভূতের!
চা'কফির স্বাদ যদি ঘোলে মিটে যায়,কে যাবে চাকচিক্যের ওশনায়?
প্রিয়তমা আজকাল ডিস্টিল ওয়াটারে জণ্ডিস ঝাড়ে,
আমি ঐ হলুদরঙ জমা করি আক্রান্ত হবো বলে!
কি নিয়তি!
আমি আজ নতুন বর্ষার রঙধনু হয়ে এক আসমানে পাখা মেলি,
দেখে পরিবর্তিত ঋতু,চায় গ্রীষ্ম।

এতদিন পরে আমি তোমাকে নিঃশেষ বিভাজ্য করলাম,
ভাগশেষ শূন্য হলো,
বৃত্তের কেন্দ্র জমিতে নামিলো,
ঊষাশূন্য সকালে রেইনট্রির ফল কুড়ালাম ঝাউয়ে বেয়ে ওঠা বেতের ঝুড়িতে!
তবুও নীলকান্ত মণীর দেখা না পেয়ে গোখরা সাপের মাথায় ইচ্ছাকৃত হাত বুলালাম,
বিষ ঢেলে দিল, নীল বিষ!
অবক্ষয় হলো একটা মেটে ভগ্নাংশ শরীরের।
ডাহুক আমায় বললো!
তুমি পার্থক্য বুঝলে না, পানকৌড়ি আর আমাতে।












স্টারলিং লন্ড্রী লিমিটেড
১৩-৬-২০২০
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ২৯৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০২/০৮/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast