www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

উন্নয়নের পথে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেয়ার কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করছে সরকার। উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে আমাদের মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, মতান্তরে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। আজ বলতে দ্বিধা নেই, প্রবৃদ্ধির এ ধারা যদি অব্যাহত থাকত, তাহলে আমরা ১৯৯৬-’৯৭ সালেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারতাম। আর এখন আমাদের অবস্থান থাকত অনেকটা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে। তবে আমাদের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার পথ মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ নয়। রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যাপক সম্পদ ধ্বংস, অশুভ তৎপরতার মাধ্যমে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের ভীতি প্রদর্শন, বিশ্ববাসীর কাছে দেশকে একটি সন্ত্রাসী ও মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টার মাঝেও উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়রূপে অটল হিমালয়ের মতো চির উন্নত শিরে দাঁড়িয়ে আছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কর্মসৃজন, খাদ্য উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আমদানি ও রফতানি কোন সূচকেই আমরা আর পিছিয়ে নেই। অগ্রগতি হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতে। দারিদ্র্য ও অসমতা হ্রাসসহ আর্থসামাজিক খাতের প্রায় প্রতিটি সূচকেই রয়েছে আমাদের সাফল্য। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বীকৃতিতে ধন্য আমার প্রিয় দেশ। বিশ্বব্যাপী সুধী সমাজে ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অন্যতম প্রথম সারির দেশ। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সীমিত সম্পদের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দারিদ্র্য বিমোচন করে বাংলাদেশ বিশ্বসমাজে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এত সব সাফল্য ও অর্জন বাংলাদেশকে আজ এক অনন্য উচ্চতায় এনে দাঁড় করিয়েছে। মূলত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা সমৃদ্ধির পথে হাঁটছি। সোনা ছড়ানো সমৃদ্ধি আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সময় এসেছে সাহসী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোর পথে অভিযাত্রার। ২০৪১-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের ৮-১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। এ জন্য উৎপাদনের উপকরণ পুঞ্জীভূতকরণের পাশাপাশি এগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে ব্যাপকভাবে। নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত ব্যবস্থাপনার আওতায় দেশের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আনতে হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। নিশ্চিত করতে হবে উৎপাদন নৈপুণ্যের উৎকর্ষায়ন। স্বপ্ন তো আমাদের দেখতেই হবে। স্বপ্ন না দেখলে তা পূরণ হবে কী করে! আমরা তো স্বপ্ন দেখারই জাতি। আমরা ক্রিকেট নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি বলেই আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে পৌঁছে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে পেরেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। ৪৫ বছর পর জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশের ৪৬তম বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গত ৮টি অর্থবছর ধরে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে এবং এই সচলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে আরোহণ করেছে, তাতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। ক্রমেই সমৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে দেশ। সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের বৃত্তটি ভেঙ্গে দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী অর্থবছরে দেশ ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বপ্নকে বাস্তবে তালুবন্দী করে ২০১৮ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে চায়। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের সব সূচকই উর্ধগামী। এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করলেও বাংলাদেশ পিছিয়ে যায়নি, নিজস্ব অর্থে তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মধ্য আয়ের মহাসড়কে বাংলাদেশ এখন দৃপ্ত পায়ে ছুটে চলেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই এখন বাস্তবতা। এই বাস্তবতা শুধু দেশবাসীকে নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও এ বিশ্বাস জন্মিয়েছে যে, সঠিক ও যুগোপযোগী পরিকল্পনা এবং আত্মপ্রত্যয় থাকলে উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৭৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ৩১/০৮/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast