www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রুখতে হবে দুর্নীতি করতে হবে প্রতিরোধ

বর্তমান বাংলাদেশের উন্নতি দেখে দেশে অনেক লুকায়িত শ্ত্রুর হিংসা হচ্ছে। তারা নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশকে কিভাবে অস্থিতিশীল করা যায় সেই পরিকল্পনা করছে সারাক্ষণ। তারা দেশের শান্তি চায় না। দেশের মানুষের উন্নতি চায় না। দুর্নীতির মুকুট মাথায় পরে দেশের ক্ষতি করার জন্য নানা অপপ্রচার করছে। বর্তমানে সরকারে থাকা দলটি দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করছে এতে দেশ যেমন সামনের দিকে যাচ্ছে তেমনি দেশের মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের তা সহ্য হচ্ছে না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে, ক্ষমতার অত্যুজ্জ্বল আলোকে ধাঁধিয়ে গিয়ে দুর্নীতির মুকুট মাথায় নিয়ে তুঘলকি কায়দায় দেশ চালিয়েছিল। তাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশে লুটতারাজ চালিয়েছিল। বাংলার মানুষ তাদের এই আচারনকে মেনে নেয়নি তাই পরবর্তী নির্বাচনে তাদেরকে প্রতিহত করেছে। দেশকে সকল বাঁধা থেকে মুক্ত করে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে গঠন করেছে নতুন সরকার। এই সরকার তাদের দক্ষ নেতৃত্ব আর জনগণের শক্তিতেই দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ দেশে কোন আল কায়দা, আইএস নেই। শুধুমাএ ষড়যন্ত্রকারীরাই বিভিন্ন জঙ্গীগোষ্ঠির উত্থানের কথা বলে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত। সব সময়ই আমরা সারাদেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একত্রিত হয়ে দাঁড়িয়েছি, দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। আজ মহান আল্লাহর রহমতে পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় এ দেশ অনেক শান্তিতে আছে। এটা দেশবাসীর সফলতা। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু। অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সবার শ্রদ্ধা আছে। যে যার ধর্ম পালন করছে। তারপরও দেশের স্কুলের কোমলমতী শিক্ষার্থীদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে জঙ্গি বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বাধ্য করা হয়েছে অবলা নারী, এমনকি শিশুদেরকেও। এসব ষড়যন্ত কারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ, সমাজের সবাইকে সজাগ থাকার হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক দেশের উন্নয়নে বড় শত্রু। সবাই মিলে এদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে, তা নাহলে দেশের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। জঙ্গিরা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান কাউকে রেহাই দিচ্ছে না, হত্যা করছে। মানুষ হত্যা করে ইসলাম কায়েম হয় না, ইসলামে মানুষ হত্যার কথা বলা হয়নি। যারা মানুষ হত্যা করে ইসলাম কায়েম করতে চান, তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এ ধরনের চেষ্টা একদিনে হয়নি। ১৯৭১ সালের পর থেকেই দেশে এ চেষ্টা চলছে। তারা মানুষের পায়ের রগ কেটে এর উত্থান ঘটিয়েছিল। এরপর ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, হরতালের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা কখনো আইএস কখনো আলকায়দা, আনসারউল্লাহ বাংলাটিম পরিচয় দিয়ে আসছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে চলতে পারি তার জ্বলন্ত উদাহরণ রয়াছে বাংলাদেশর। এদেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ পছন্দ করে না। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ বলেই এর কোনোটিই আর টিকতে পারছেনা। তাই সন্ত্রাস ছেড়ে দেশের মানুষের পাশে দাড়িয়ে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করুন তাহলেই দেশের মানুষ আপনাদের পাশে থাকবে না হলে এর ভয়াবহ মুল্য আপনাকেই দিতে হবে।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৭৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৫/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast