www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল রূপায়ণের আবিষ্কার ‘ইনটেলিজেন্ট অটোমেটিক হোম সিকিউরিটি সিস্টেম’

পত্রিকা পড়ে বিষয়টি অবগত হলাম। বাংলাদেশেও এ ধরণের আবিস্কারক আছে জেনে খুব ভালো লাগল। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানার নিরাপত্তা দেবে ‘ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট ভার্সটাইল হোম সিকিউরিটি’। ডিজিটাল সুরক্ষার এ বাড়িটি আবিষ্কার করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নিয়াজ মোস্তাকিম। তিনি বিভাগের প্রফেসর মো. খালিদ হোসেন জুয়েল ও প্রফেসর মো. খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এটি আবিষ্কার করেন। আধুনিক সিকিউরিটি ও সব সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে ‘স্মার্ট ইনটেলিজেন্ট হোম’-এর বাউন্ডারি লাইনে একটা কি-প্যাড আনলকড সিকিউরিটি গেট সিস্টেম আছে। এটি কি-প্যাডের মাধ্যমে পাস্ওয়ার্ড দিয়ে খুলতে হবে। এর সামনে একটা ডিসপ্লে এবং ইনডিকেটর লাইট আছে। দরজার সামনে কোনো ব্যক্তি এলে সেন্সরের মাধ্যমে অটো ক্যামেরা অন বা চালু হবে। বাড়ির মালিক ভিতর থেকে সবকিছু দেখতে পাবেন। ইচ্ছা অনুযায়ী বাড়ির মালিক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারবেন। বাড়ির ভিতরে প্রবেশের পর বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করলে হিউম্যান কাউন্টারের মাধ্যমে কতজন লোক ভিতরে প্রবেশ করল তা ডিসপ্লেতে দেখাবে এবং প্রবেশের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কক্ষের লাইট জ্বলে উঠবে। আবার কক্ষ থেকে সকলে বের হলে কক্ষের লাইট বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া ভিতরে পিআইআর নামে একটি মোশন সেন্সর রয়েছে যা কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করলে সরাসরি ভিডিও রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে সে তথ্য ফেসবুক ও স্কাইপের মাধ্যমে মালিকের নিকট পৌঁছে দেবে। রান্নাঘরের সুরক্ষায় বাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্লামা সেন্সর, যা ফায়ার সার্ভিসের নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে বাড়ির ঠিকানা জানাবে। গ্যাস সেন্সরের মাধ্যমে মালিকের ফোনে অডিও কল দিয়ে জানাবে এবং স্মোক সেন্সর যা এসএমএসের মাধ্যমে মালিককে জানাবে। ঘরের বিছানাতে বসেই লাইট, ফ্যান, এসি, কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করা যাবে। এ ছাড়া ওয়াটার সেন্সরের মাধ্যমে বৃষ্টি হলে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ হয়ে যাবে এবং ফেসবুকে পোস্ট দেবে। এ ছাড়া বাড়ির কোনো সদস্য বিপদে পড়লে রয়েছে ইমারজেন্সি সংকেত যার মাধ্যমে প্রতিবেশীকে ডাকা যাবে, দূর থেকে বাড়ির কোনো ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে জিএসএম মডিউল—যার মাধ্যমে এসি, ফ্যান, হিটার, চালু ও বন্ধ করা যাবে এবং বন্ধ বা চালু হলে মালিককে তা এসএমএসের মাধ্যমে জানাবে। আরো রয়েছে এসএমএসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত লকার, যা মেসেজ দিয়ে চালু ও বন্ধ করা যায়। এর সামনে কেউ এলে আই সেন্সরের মাধ্যমে তার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করবে এবং মালিক তাকে শনাক্ত করতে পারবে। রয়েছে ওয়াইফাই মডিউল ও বায়ুর চাপ পরিমাপের জন্য বায়োমেট্রিক প্রেসার সেন্সর। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল রূপায়ণের জন্য এই ‘ইনটেলিজেন্ট অটোমেটিক হোম সিকিউরিটি সিস্টেম’ একটি বড় মাইলফলক হতে পারে। উল্লেখ্য, নিয়াজ মোস্তাকিম নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুরের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার এ আবিষ্কার জনকল্যাণে ব্যবহৃত হোক এবং জনগণ উপকৃত হোক এটাই সবার প্রত্যাশা।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৬১৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০৫/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast