www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

উন্নয়নের সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

২০১৮ সালে পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। এরপর ঢাকায় যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে বহুগুণ। রাজধানী ঢাকাকে যানবাহনের ওই বাড়তি চাপ থেকে রেহাই দিতে সরকার ৫৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড
এক্সপ্রেসওয়ে চারটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে চারটির মধ্যে। তিনটি এক্সপ্রেসওয়েই নির্মাণ করা হবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বা পিপিপি ভিত্তিতে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ছয় লেন এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে ২৩৭ কোটি টাকা। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি টাকা। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি টাকা। আর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় দাঁড়াবে ৪০১ কোটি টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের সমান্তরালে ছয় লেনের একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেটের আগে সলিমপুর পর্যন্ত ২১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই ছয় লেন এক্সপ্রেসওয়েটি। তাতে থাকবে সাতটি ইন্টারচেঞ্জ। প্রকল্পের ২১৮ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি অংশ তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকা-কুমিল্লা, কুমিল্লা-ফেনী ও ফেনী-চট্টগ্রাম অংশ এই তিন অংশে ভাগ করে নির্মাণ করা হবে এটি। প্রকল্পটির বেশির ভাগ অংশ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ডানে পড়বে। বাঁয়ে থাকবে মেঘনা সেতুসহ কিছু স্থাপনা। প্রকল্পের কোনো কোনো অংশ হবে উড়াল। এটি হবে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত বা অ্যাকসেস-কন্ট্রোলড মহাসড়ক। ভূমি অধিগ্রহণ ও সেবালাইন সরানোর জন্য উন্নয়ন প্রকল্প ছক (ডিপিপি) তৈরি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা লাগবে ভূমি অধিগ্রহণে। বাকি অর্থ ব্যয় হবে নির্মাণকাজে। বড় প্রকল্প হওয়ায় একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। ২০১৮ সালে শুরু করে ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে : ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের ভৌত কাজ শুরু হতে যাচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে। যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে ইকুরিয়া-বাবুবাজার সংযোগ সড়কসহ মাওয়া পর্যন্ত ও পাচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর সঙ্গে যোগ হবে। এটি চালু হবে ২০১৯ সালের এপ্রিলে। তবে এর চার মাস আগেই পদ্মা সেতু চালু করার লক্ষ্য রয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা যেতে সময় লাগবে ৪২ মিনিট। ছয়টি ফ্লাইওভার ও ১৫টি আন্ডারপাস বিশিষ্ট নির্মিতব্য এক্সপ্রেসওয়ের কোথাও ট্রাফিক ক্রসিং থাকবে না। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন-পশ্চিম এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের সূচকে এগিয়ে যাবে। এভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের দিকে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৫৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/১১/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast