www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

চরম নৃশংসতা নিয়ে ‘আইএস’ মতাদর্শীরা এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও

সাত বছর বিরতির পর আবার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে দুটি জঙ্গিগোষ্ঠী। আগের দুটি সংগঠনের ভেতর থেকে জন্ম নেওয়া এ দুই সংগঠন গত সাড়ে তিন বছরে ৬২টি হামলায় জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ৯৪ জন। এর মধ্যে সর্বশেষ গুলশানে হামলার মধ্য দিয়ে চরম নৃশংসতা নিয়ে হাজির হয়েছে আইএস মতাদর্শ অনুসরণকারী গোষ্ঠীটি। এ হামলার পর বাংলাদেশের নাম সন্ত্রাসবাদী হামলার বৈশ্বিক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে মাঠে নামা দুই জঙ্গি সংগঠনের একটি হলো আল-কায়েদার অনুসারী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (বর্তমান নাম আনসার আল ইসলাম) এবং অপরটি সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী ‘নব্য জেএমবি’, যারা নিজেদের আইএস দাবি করে। লক্ষ্যবস্তু বা টার্গেট এখন পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন হলেও দুটি সংগঠনই সালাফি বা আহলে হাদিস মতাদর্শী। দুই গোষ্ঠীরই সদস্যদের বড় অংশ তরুণ এবং ইংরেজিমাধ্যম স্কুল ও সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করা সচ্ছল পরিবারের সদস্য। ইংরেজিমাধ্যমে পড়ুয়া ও সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এ দেশে ধর্মভিত্তিক উগ্র গোষ্ঠীর তৎপরতা শুরু হয়েছে অন্তত দেড় দশক আগে। আর এর শুরুটা করেছে ধর্মভিত্তিক আরেক সংগঠন বর্তমানে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্রীর। এর পরপর যুক্ত হয় জামাআতুল মুসলেমিন নামে আরেক সালাফিবাদী সংগঠন, যার গর্ভ থেকে জন্ম নেয় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশে সক্রিয় আন্তর্জাতিক সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করে ২০০১ সালে। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্য থেকে হিযবুত তাহ্রীর মতাদর্শ এ দেশে আসে। সম্পূর্ণ নগরকেন্দ্রিক এই সংগঠন শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তু করে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৩ সাল থেকে হিযবুতের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে শুরু করে। শুরুর দিকে মূলত ঢাকার বিভিন্ন শীতাতপনিয়ন্ত্রিত মিলনায়তনে ঘরোয়া সভা-সেমিনার করত তারা। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে ঢাকায় মিছিল-সমাবেশ করে সংগঠনটি প্রথম দেশের গণমাধ্যমের দৃষ্টি কাড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) কয়েকজন শিক্ষকের নেতৃত্বে দেশে হিযবুত তাহ্রীরের যাত্রা শুরু হয়। মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার অ্যাডমিরাল হ্যারি হ্যারিস সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, ভারত-এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করছে আইএস।’ সাময়িকীটি বলেছে, মার্কিন সেনা কর্মকর্তার এই বক্তব্য এমন এক সময় এলো, যখন বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মতো এশিয়ার দেশগুলোয় একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। এখন দেশের অভ্যন্তরেও অনুকূল পরিবেশ থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। কেবল সামরিকভাবে পদক্ষেপ নিয়ে বা জঙ্গিদের মেরে দমন করা যাবে না। একটা রাজনৈতিক কৌশল থাকতে হবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে যুক্ত করা যায়।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৫১৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৬/০৮/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast