বিম্বিত মুকুরে
বিম্বিত মুকুরে- নহরী আজরক
--
ছোটবেলা থেকে পড়ে আসছি বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এর কথা।
হিউয়েন সাঙ নিছক পরিভ্রমণ করে বেড়াতেন তা নয়,আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় হিউয়েন সাঙ এ অঞ্চলে না এলে আমাদের ঐতিহাসিকগণ বিরাট তথ্য সঙ্কটে পড়ে যেতেন।
পরিব্রাজক এ অঞ্চলে এসেছেন,প্রচুর ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন,সংরক্ষণও করেছিলেন।কার কাছ থেকে করেছিলেন? এই অঞ্চলের প্রাচীন জনগোষ্ঠীর থেকে,কোনও লিখিত বিবরণ থেকে,নথি থেকে,প্রাগৈতিহাসিক স্থান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তিনি বিশ্লেষণ করে আমাদের দিয়ে গেছেন প্রচুর ঐতিহাসিক তথ্য।
তিনি কেন এসেছিলেন? তাঁর একটা চাহিদা ছিল,জানার নেশা ছিল।"নহরী আজরক" কথাটি হিউয়েন সাঙ এর বিবরণ থেকে পাওয়া- এটি একটি নদীর নাম যা সুরমা নদীর প্রাচীন নাম বলে অনেকে অভিহিত করেছেন।
এই যে চীনা পরিব্রাজক এলেন জ্ঞানপিপাসা মেটাতে,পরিভ্রমণ করতে,এটা তাঁর নিজস্ব চাহিদা ছিল এবং মাঝখান থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়ে গেলাম,আমাদের ইতিহাস অন্বেষণ সহজ হল।
*
আমাদের দেশের লোকজনের মুর্গী ছাড়া বাকি সবকিছুতে ই তুমুল বিদেশপ্রীতি।
আজকাল মা বাবা কোনমতে ছেলেমেয়েকে বিদেশ পাঠাতে পারলে বেঁচে বর্তে যান।আর দেশটি হয় যদি আমেরিকা বা লন্ডন তাহলে তো জীবন একেবারে ধন্য।
কেউ লেখাপড়ার উছিলায়,কেউ কাজের উছিলায় কেউ সিটিজেনশীপ পেয়ে- বিমানে চড়ে,বিমানের চাকায় চড়ে, কেউ জাহাজে চড়ে স্বপ্নের দেশে চলে যাচ্ছে - প্রিয় জন্মভূমি ছেড়ে।
কী আছে ওখানে আর কী নেই ওখানে?
ওসব উন্নত দেশে নাকি সন্তানের ভবিষ্যৎ,যে দেশে ভালবাসা মায়া মানুষের মাঝে আজও আছে সেই দেশ ছেড়ে মায়ামমতাহীন যান্ত্রিক দেশে মানুষ কেন যায়?
ওই যে বললাম চাহিদা- চাহিদা আছে বলেই যায়।
ওখানে প্রাণ নেই,মায়া নেই,সবুজ নেই, আছে ঘড়ির কাঁটায় যান্ত্রিক জীবন যাপন, সেই দেশে আমাদের সন্তানেরা যায় সোনালী ভবিষ্যতের আশায়।
-
যে দেশে মা চিনে না সন্তানকে,সন্তান চিনে না মাকে- যে দেশে পারিবারিক বন্ধন আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়,যে দেশে অকেশনালি দেখা হয় মা বাবা ভাইবোনের সাথে,যে দেশে মানুষের দিকে তাকানোর সময় মানুষের নেই- সেই দেশের লোকজনের কাছে মানবতা, ভালবাসা শিখতে হবে আমাদের?
--
ভাবার বিষয় আছে বটে।চাহিদা এমন এক বিষয় যা এড়িয়ে যাবার উপায় নেই।যার যা চাহিদা সে তা পূরণের চেষ্টা করবেই।
যে ছেলে রোজ পলান্ন খায় তার পলান্নে রুচি থাকবে না,আর যে পলান্নের দেখা কালে ভদ্রে পায় সে তার জন্যই কাঙাল হবে।
-
তাই বলছি আমাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের গতিপথ নির্ধারণ করার চেষ্টা করি যে যার মত।ব্যর্থ হলে দোষ চাপাই,সফল হলে হাসি।
---০২/১২/২০১৯
--
ছোটবেলা থেকে পড়ে আসছি বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ এর কথা।
হিউয়েন সাঙ নিছক পরিভ্রমণ করে বেড়াতেন তা নয়,আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় হিউয়েন সাঙ এ অঞ্চলে না এলে আমাদের ঐতিহাসিকগণ বিরাট তথ্য সঙ্কটে পড়ে যেতেন।
পরিব্রাজক এ অঞ্চলে এসেছেন,প্রচুর ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন,সংরক্ষণও করেছিলেন।কার কাছ থেকে করেছিলেন? এই অঞ্চলের প্রাচীন জনগোষ্ঠীর থেকে,কোনও লিখিত বিবরণ থেকে,নথি থেকে,প্রাগৈতিহাসিক স্থান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তিনি বিশ্লেষণ করে আমাদের দিয়ে গেছেন প্রচুর ঐতিহাসিক তথ্য।
তিনি কেন এসেছিলেন? তাঁর একটা চাহিদা ছিল,জানার নেশা ছিল।"নহরী আজরক" কথাটি হিউয়েন সাঙ এর বিবরণ থেকে পাওয়া- এটি একটি নদীর নাম যা সুরমা নদীর প্রাচীন নাম বলে অনেকে অভিহিত করেছেন।
এই যে চীনা পরিব্রাজক এলেন জ্ঞানপিপাসা মেটাতে,পরিভ্রমণ করতে,এটা তাঁর নিজস্ব চাহিদা ছিল এবং মাঝখান থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়ে গেলাম,আমাদের ইতিহাস অন্বেষণ সহজ হল।
*
আমাদের দেশের লোকজনের মুর্গী ছাড়া বাকি সবকিছুতে ই তুমুল বিদেশপ্রীতি।
আজকাল মা বাবা কোনমতে ছেলেমেয়েকে বিদেশ পাঠাতে পারলে বেঁচে বর্তে যান।আর দেশটি হয় যদি আমেরিকা বা লন্ডন তাহলে তো জীবন একেবারে ধন্য।
কেউ লেখাপড়ার উছিলায়,কেউ কাজের উছিলায় কেউ সিটিজেনশীপ পেয়ে- বিমানে চড়ে,বিমানের চাকায় চড়ে, কেউ জাহাজে চড়ে স্বপ্নের দেশে চলে যাচ্ছে - প্রিয় জন্মভূমি ছেড়ে।
কী আছে ওখানে আর কী নেই ওখানে?
ওসব উন্নত দেশে নাকি সন্তানের ভবিষ্যৎ,যে দেশে ভালবাসা মায়া মানুষের মাঝে আজও আছে সেই দেশ ছেড়ে মায়ামমতাহীন যান্ত্রিক দেশে মানুষ কেন যায়?
ওই যে বললাম চাহিদা- চাহিদা আছে বলেই যায়।
ওখানে প্রাণ নেই,মায়া নেই,সবুজ নেই, আছে ঘড়ির কাঁটায় যান্ত্রিক জীবন যাপন, সেই দেশে আমাদের সন্তানেরা যায় সোনালী ভবিষ্যতের আশায়।
-
যে দেশে মা চিনে না সন্তানকে,সন্তান চিনে না মাকে- যে দেশে পারিবারিক বন্ধন আইন দ্বারা নির্ধারিত হয়,যে দেশে অকেশনালি দেখা হয় মা বাবা ভাইবোনের সাথে,যে দেশে মানুষের দিকে তাকানোর সময় মানুষের নেই- সেই দেশের লোকজনের কাছে মানবতা, ভালবাসা শিখতে হবে আমাদের?
--
ভাবার বিষয় আছে বটে।চাহিদা এমন এক বিষয় যা এড়িয়ে যাবার উপায় নেই।যার যা চাহিদা সে তা পূরণের চেষ্টা করবেই।
যে ছেলে রোজ পলান্ন খায় তার পলান্নে রুচি থাকবে না,আর যে পলান্নের দেখা কালে ভদ্রে পায় সে তার জন্যই কাঙাল হবে।
-
তাই বলছি আমাদের নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের গতিপথ নির্ধারণ করার চেষ্টা করি যে যার মত।ব্যর্থ হলে দোষ চাপাই,সফল হলে হাসি।
---০২/১২/২০১৯
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ০৬/০৪/২০২২অনবদ্য সংজন
-
আমি-তারেক ০৫/১২/২০১৯sundor theme...
-
নুর হোসেন ০৫/১২/২০১৯চমৎকার লিখেছেন, ভালো লাগলো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৪/১২/২০১৯ভালো লিখেছেন।
শুভেচ্ছা।