www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নির্বাচন নির্বাসন

দেশের নির্বাচনব্যবস্থা কি নির্বাসনের পথে পাড়ি দিয়েছে? নির্বাচনের প্রতি ভোটারদের দিন দিন অনাগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়া এবং নিরুৎসাহ দেখা দেয়ায় এই প্রশ্নের জন্ম হয়েছে। এই পরিস্থিতির দায় না সরকার নিচ্ছে আর না নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্টরা এজন্য কখনো রাজনৈতিক দলগুলোর উপর আবার কখনো জনসাধারণের উপর চাপানোর চেষ্টা করছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। অন্যদিকে এনিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে চলেছেন রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, এই ‘নির্বাচনবিমুখতা’ শেষ অবধি ‘গণতন্ত্রবিমুখতা’য় পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ভোটের দিনের আগেই বিশেষ প্রতীকের পক্ষে আগাম সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার ঘটনা এখন সর্বজন স্বীকৃত। ভোট নিয়ে দেশে এখন নতুন বাগধারা সৃষ্টি হয়েছে, ‘ভোট দিলেও পাস না দিলেও পাস’- অতএব ভোট দিতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে বিনা ভোটে নির্বাচনের ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছে সর্বত্র। ২০০৮-এর সংসদ নির্বাচনে সংসদের অর্ধেকসংখ্যক এমপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়ার পর এবার উপজেলা নির্বাচনেও এই রেকর্ড দেখা যাচ্ছে। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট ছাড়াই নৌকা প্রতীকের ১১০ চেয়ারম্যান এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে উৎসাহী ভোটারের পরিবর্তে কুকুর-ছাগলের উপস্থিতি নির্বাচন ব্যবস্থাকেই যেন ব্যঙ্গ করছে। ভোটকক্ষের ভেতরে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা অলস সময় পার করে থাকেন। অপরদিকে নির্বাচনে কতো পার্সেন্ট ভোট পড়লো তা নিয়ে ইসির মাথাব্যথা নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। এসব কারণে নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থা ফেরানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৪৬৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৪/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast