ভিটামিন বি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা

বাঙ্গালি নাকি আবেগপ্রবণ জাতি। আবেগের ভালো ব্যবহার আমাদের দেশের সাহিত্য জগতে দেখা গেলেও এর সুন্দর কোন ইংরেজী প্রতিশব্দ ইগো ছাড়া, আমি খুজে পাইনি। বিদেশে ইগোকে কেউই ভালো বলেননা। এটি একটি মানসিক সমস্যা। আমাদের দেশে খারাপ বলা না হলেও বলা হয় , "বেশী আবেগ ভালো না"। দঃখিত আমার বাংলা সাহিত্য নিয়ে লিখার ইচ্ছা এখন নেই। তাই মূল কথায় আসি-
পরিমিত ভিটামিন বি গ্রহণ শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারী। সব ধরনের বি ভিটামিন ট্রাইফটোফেন নিয়ন্ত্রণ করে।
ট্রিটফোফ্যান একটি অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড যা অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে কাজ করে, যেমন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নাইট্রোজেনের ভারসাম্য এবং শিশুগুলির বৃদ্ধি। এটি নিয়াসিন তৈরি করে, যা নিউরোট্রান্সমিটার সেরোটোনিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। তবে এটি পরিমিত না থাকলেও সমস্যা। Tryptophan প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকতে পারে, তবে সম্পূরক মানুষের মধ্যে অনেক অপ্রীতিকর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

সবচেয়ে সাধারণ হয় গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, যা অন্তর্ভুক্ত:

অম্বল
পেট ব্যথা
belching
বমি এবং বমি বমি ভাব
অতিসার
ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি।
ভিটামিন বি অয়ান (থায়ামিন), এর ঘাটতির জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়, যেমন- হতাশা, অতিরিক্ত রাগ, সাধারণ উত্তেজনা সমস্যা (জিএডি) এবং ফবিয়াস (নির্দষ্ট জিনিস বা বিষয়ের প্রতি ভয়)। বি থ্রি( নিয়াসিন) কে চিন্তা বৃদ্ধকারী উত্তেজক বলা হয়। বি ফাইভ( পেন্টোথেনিক এসিড) এর হতাশার সাথে সংযোগ আছে। বি সিক্স( পাইরুডক্সিন), শরীরে সেরেটনিন ও ইএবিএ তৌরী করে। এগুলোর অভাবে নিউরোসেন্স, হতাশা ও রাগ বেড়ে যায়।
২০০৯ এ একটি গবেষণা বলছে, মধ্যম বয়সী মহিলাদের ফলিক এসিড বি ১২ এর অভাব হলে, বেশির ভাগই মানসিক সমস্যায় ভোগেন। বায়োটিনের (বিটামিন এইচ), এর ঘাটতি পেনক এটাক ও হতাশার সাথে জড়িত।
একটি পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, যা মাংশ, মাছ, ডিম, ডেইরী ফুড, হউলগ্রেইনস( লাল আটা, লাল চাল), সবুজ পাতাজাতীয় শাক সবজি, বিটরুট, মাশরুম, টক ফল, বাদাম এবং বিভিন্ন বিজ আমাদের দরকারী প্রচুর ভিটামিন বি সরবরাহ করতে পারে। যারা রেডি কেনা, প্রসেস খাদ্য বেশী গ্রহণ করেন তাদের বি সমস্যা হওয়া সাভাবিক। এক্ষত্রে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে বি কম্প্লেক্স সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যায়। -তথ্য সূত্র সিনিয়র লেক্চারার, উন্ডি গ্রিণ, ইউনি ব্রাডফোর্ডশায়ার।