www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হুমকিতে সামগ্রিক অর্থনীতি

২০১৬ সালে এর পরিমাণ ২২১০ কিলোক্যালরিতে এসে দাঁড়ায়। অতি দরিদ্র ৩৫ শতাংশ মানুষের ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ১৮০০ এর নিচে। রিপোর্ট অনুযায়ী অর্থনীতির আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস, ব্যাপক অর্থ পাচারের ফলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। জিডিপি’র অনুপাতে সেরকারী বিনিয়োগ স্থবির অবস্থায় আছে। ২০১১-১২ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত বেসরকারী খাতে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি গড়ে ১ শতাংশেরও কম।
অন্যদিকে দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার বাড়ছে। এই পাচারের পরিমাণ সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা। অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক তার যোগ্যতা ও সামর্থ্য সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিষ্ঠানটি তার নিজের খবরই রাখতে পারে না, অন্য খবর তো দূরের কথা। জিডিপি’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে কৃষি, এই খাতের প্রবৃদ্ধির হারও কমেছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে কৃষিতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৫ শতাংশ। এই হার ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে ৩.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। একইভাবে শিল্পখাত, রাজস্ব খাত এবং রফতানি খাতের প্রবৃদ্ধিও যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির ফলে চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই অবস্থা আমাদের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত মারাত্মক।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৭১৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০১/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast