www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ফায়ার সেইফটি

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার মধ্যে ছোট বড় মিলে ১ হাজার ১২৬টি বিপণিবিতানের মধ্যে মাত্র ৪৬টির অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা রয়েছে বাকী ১০৮০ বিপণীবিতান অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। এতে ৯৬ ভাগ বিপণিবিতানেরই অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা নেই বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। 
সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ঢাকার প্রায় সব হাসপাতাল, আবাসিক হোটেল, বিপণিবিতান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় নগরের সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৪৩৩টি হাসপাতালের মধ্যে ২৪৮টি হাসপাতালকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৭৪টিকে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস। 
একইভাবে ঢাকার মোট ৯৯৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ৮৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ৯৪টিকে ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে। শতকরা হিসাবে প্রায় ৯৮ ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলার পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই। 
সূত্র জানায়, ঢাকার ৩২৬টি আবাসিক হোটেল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস ২৪৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৭০টি। শতাংশের হিসাবে ঢাকার ৯৭ ভাগ হোটেলই ঝুঁকিপূর্ণ। 
সবশেষে ফায়ার সার্ভিস ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ৬৯২টি শাখা পরিদর্শন করে ৬৪৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। আর খুবই ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে ১৭৩টি ব্যাংক শাখা। 
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, অগ্নিঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রথম দফা নোটিশ পাঠানো হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে। এরপর এপ্রিল-মে মাসে পুনরায় ওইসব প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে গিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিন্দুমাত্র নমুনাও দেখা যায়নি। পরে ওইসব প্রতিষ্ঠানকে দ্বিতীয় দফা নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তার পরও সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে রিপোর্ট করেনি।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৬৪০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/০৮/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast