www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পোল্ট্রি কাহিনী

বলার অপেক্ষা রাখে না, পোল্ট্রি তথা ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের ব্যবসায় দেশীয় খামারিদের বিপদ আসলেও ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিদেশি তথা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তারা যে দাবি জানিয়েছেন, আমরা সে দাবি সঠিক ও অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত মনে করি। কারণ, দেশীয় খামারিরা যেখানে কয়েক হাজার টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করতে গিয়েও এনজিওদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সেখানে কয়েক কোটি টাকাও সহজেই বিনিয়োগ করে। একই কারণে তাদের পক্ষে যে কোনো দামে ডিম ও মুরগি বিক্রি করা সম্ভব হয়। অন্যদিকে দেশীয় খামারিদের নাভিশ্বাস ওঠে। তার ওপর রয়েছে এনজিওদের সুদের ব্যবসা, যার পেছনেও প্রকারান্তরে বিদেশিরাই প্রধান ও নিয়ন্ত্রকের ভ’মিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, এমন অবস্থায় সরকারের উচিত দেশীয় খামারিদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়া। সরকারকে এমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যথেচ্ছ দামে ডিম ও মুরগি বিক্রি করতে না পারে। এজন্য প্রথমে ডিম ও মুরগির উৎপাদন ব্যয় হিসাব করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে বিক্রির ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দিতে হবে। ঘুষ ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার না হয়ে দেশীয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে খামারিরা যাতে সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারেন সে ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এনজিওদের ব্যাপারেও সরকারের দায়িত্ব কঠোর হওয়া। কারণ, এনজিওগুলো অতি উচ্চ হারে সুদ আদায় করে বলেও খামারিদের লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এভাবে সব মিলিয়ে আমরা এমন আয়োজন নিশ্চিত করার দাবি জানাই, দেশীয় খামারিরা যাতে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য না হন এবং তারা যাতে কম পরিমাণে হলেও লাভে থাকতে পারেন। আমরা মনে করি, সরকারের উচিত নি¤œ মানের ব্যবসা হিসেবে দেখার পরিবর্তে পোল্ট্রি ততা ব্রয়লার মুরগি ও  ডিমের ব্যবসাকেও দেশীয় একটি শিল্প খাত হিসেবে বিবেচনায় নেয়া এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার পাশাপাশি প্রোটেকশন বা নিরাপত্তা দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৯৯৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৭/০৬/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast